জুয়েল সরকার
এভাবে আর কতক্ষণ সহ্য করব!
হয়তো আমারি ভুল হচ্ছে। আর কিছুক্ষণ দেখি, তারপর না হয় কিছু একটা করার কথা ভাববো।
(দশ মিনিট পরে)
নাহ…এবার আমি পরিষ্কার আরেকবার দেখলাম…আমাকেই দেখছে। নৌকায় আরও তো পাঁচজন আছে আমাদের গ্রুপের…আর আছে গোটা পঞ্চাশেক লোক। কিন্তু আর কারও দিকে তো না…দেখছে আমাকেই। কেউ এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে (বিশেষ করে…) আমার না, বড্ড আতঙ্ক আতঙ্ক লাগে।
ভাল করে দেখলাম এবার তাকে…কানের পাশ বেয়ে নেমে এসেছে রুক্ষ চুল…বসে আছে বলে তা কোমর ছাড়িয়ে প্রায় নৌকোর পাটাতন ছুঁয়েছে। নদীর হওয়ায় কয়েকটি উড়ে মুখের ওপরে… সেগুলো না সরিয়ে সে দূরে পাড়ের দিকে দেখছে, আর মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে আমার বারোটা বাজাচ্ছে।
আসলে কিন্তু এখন ন’টা বাজে। সেই সকালে ট্রেন ধরেছি, চলেছি সুন্দরবনের পথে…ক্যানিং থেকে গাড়ি করে সোজা চুনোখালি। সেখান থেকে উঠেছি এই নৌকায়…একে ঠিক নৌকো বলে না…পেছনে একটি ইঞ্জিন জুড়ে দেওয়া হয়েছে যে।
আমি ছাড়া আছে আরও পাঁচজন- শুভ, সায়ন নিয়াজ, সুকেশ আর অসীম।
কিন্তু আমার এই বিপদে একজনও এগিয়ে এল না, যাক গে এসব কথা…
নারীরা চিরকালই আমার মনে গভীর দাগ কাটে (আমার সকল বন্ধুরাই জানে), তাই এক নারীর থেকে দৃষ্টি সরালাম আরেক নারীর দিকে। পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রের পায়ের কাছে নিঃসঙ্গ তার অবস্থান।…কাছে গেলে নোনা গন্ধ পাওয়া যায় তার শরীরের…কী অদ্ভুত, কী আশ্চর্য এক অপেক্ষায় যেন বসে আছে তার রূপের নৈবেদ্য সাজিয়ে আর তাতে নুনের পরিমাণ একটু বেশিই।…কিন্তু তাতে স্বাদ কমেনি একটুও, শুধু বেড়েছে। ব্যাকরণ বলছে, লাবণ্য শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থই হল লবণের ভাব বেশি। আমি লাবণি বলে ডাকব?
নৌকোয় বসেই বুঝেছি, যে যাত্রার শুরুতে এমন ‘দ্বৈত নারীর’ আবির্ভাব সে যাত্রা অন্তত আমার মন ভরাবে।…
খামখেয়ালি শহরটাকে ছেড়ে যত দূরে যেতে লাগলাম ততই ভাল লাগছিল।…বাতাসে ধুলো, কোলাহল আর দূষণের পরিমাণ স্নিগ্ধতার আর শীতলতার সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে কমছিল।
বিদ্যাধরী বেয়ে ক্রমে এগোচ্ছি মুকুলের বাড়ির দিকে…বড়-মোল্লাখালি। গতবছর গ্যাংটক সফরে মুকুলের সঙ্গে পরিচয়। ওর বাড়িতে যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম তখনই। মুকুলের বাড়ি সুন্দরবন লাগোয়া বড় মোল্লাখালিতে।
দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা নৌকা-বাইচ খেলার পরে যখন বড় মোল্লাখালি নৌকোর ঘাটে পৌছালাম, খিদেয় আমাদের সকলেরই তখন হামাগুড়ি দেবার জোগাড়। তবে মন ভরে গেল যখন দেখলাম, আমাদের থেকে হাত-দশেক দূরে মুখে একগাল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মুকুল। কিন্তু ডক্টর হাজরা, এ যে অন্য মুকুল। আমার দেখা শহুরে মুকুল নয়। এর কোমরে গামছা বাঁধা, এলোচুল, পায়ে হাওয়াই চটি আর সঙ্গে রয়েছে একটি সাইকেল।…
মেঠো রাস্তায় হেঁটে চলছিলাম আমরা সপ্তর্ষি।…কবিতায় পড়েছিলাম পাকা ধানের গন্ধের কথা…আজ হলফ করে বলতে পারি, সেই ঘ্রাণ আমাদের মত শহুরে জীবদের বিস্মিত করবেই। উঁচু রাস্তা, রাস্তার দু’ধার নীচে চাষের জমিতে গিয়ে মিশেছে। কত কী যে চাষ হচ্ছে!
চলতে চলতে হঠাৎ নেমে পড়তে হল পাশের ফাঁকা মাঠে। তাড়াতাড়ি পৌঁছতে শর্টকাট। সামনে চার রাস্তার মোড় পেরিয়ে মুকুলের বাড়ি।
ঘরে ঢুকেই অবাক! আমরা যারা ওয়াই-ফাই, ইন্টারনেট, স্মার্টফোন সর্বস্ব জীবন কাটাই, তারা অবাক হব বৈকী! দেখি, যে ঘরে আমাদের থাকার ব্যাবস্থা হয়েছে, সেখানে বিদ্যুৎ-সংযোগ করা হচ্ছে, এই প্রথমবার। তা-ও শুধুমাত্র আমরা এসেছি বলে লাগানো হয়েছে নতুন সিলিং-ফ্যান। শহুরে মেকি ভদ্রতার সম্মুখীন হয়েছি বহুবার। কিন্তু এই অকপট বিনয়ের সামনে মন দ্রবীভূত হল। বাড়িতে মুকুলের মা, বাবা, ভাই আর ঠাকুমা। যদিও বাড়ি পৌঁছে ভাইয়ের দেখা পাইনি।…
মধ্যাহ্নে আহার সেরে সবেমাত্র একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। হঠাৎ মুকুলের উদয়। বলে-“তোমরা ঝাঁপ দেখতে যাবে?” সবার একযোগে প্রশ্ন, ‘ঝাঁপ’! সে আবার কী? মুকুল ‘ঝাঁপে’র বর্ণনা দিল বটে, কিন্তু তা আমার কান অবধি পৌঁছাল না। চোখ জুড়ে ভাত-ঘুম। এই সময় কি এসব ঝাঁপাঝাঁপি পোষায়? স্রেফ ‘না’ বলে দিলাম। চোখ বোজার আগে শুধু দেখলাম – মুকুলের বর্ণনাতেই হোক বা আর কিছুতে, সবাই ‘ঝাঁপ’ দেখতে যাওয়ার জন্য ব্যস্তসমস্ত হয়ে তৈরি হচ্ছে। তখন কি আর জানতাম, আমি যখন চরম কনফিডেন্সের সঙ্গে ভাতঘুম দিচ্ছি, তখন আমার থেকে মাত্র কয়েকশো গজ দূরে হয়ে চলেছে সুন্দরবনের বহু বছরের পুরনো ধর্মীয় আচার, ‘ঝাঁপ’। আর যার সাক্ষী হয়ে থাকছে আমারি সঙ্গে আসা আরও পাঁচ জোড়া শহুরে চোখ। হায় মূর্খ!…
আমার হাতে তার কোমল মাখন রঙা হাত রেখেছে সে। তার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা আজ সকালে, নৌকায়! সেই এলোচুল, সেই উদাস চোখ মেয়েটি এখন আমার পাশে চোখের ইশারায় কথা বলছে আমরা বসে আছি মুকুলদের ঘরের চালে। পাশে একটি চালকুমড়োও আছে… সকালে যে কথা বলা হয়নি, তা এখন গুছিয়ে কোনও মতে বলতে যাব এমন সময় সে দিল এক পেল্লাই ঝাঁপ। পড়ল গিয়ে পাশের বাড়ির চালে…তারপর আরেক ঝাঁপ…ভালবাসার মানুষকে এভাবে ঝাঁপাতে দেখে আঁতকে উঠলাম…ঘুম ভেঙে গেল। কিঞ্চিৎ হালকা হওয়ার জন্য দাওয়ায় এসে বসলাম… দেখি বাবুরা ‘ঝাঁপ’ দেখে ফিরছেন। আমার অদ্ভুত ঝাঁপদর্শন চেপে গিয়ে ওদের ঝাঁপকথন শুনলাম।
চড়কের মেলায় যেমন ধারাল অস্ত্র ব্যাবহার করা হয়। ঝাঁপের ক্ষেত্রেও তাই। তবে বিপদ, ঝুঁকি আর ভয়াবহতা চড়কের মত নয়। পরস্পর থেকে দশ ফুট (তার বেশিও হতে পারে)দূরত্বে দু’টি বাঁশ পুঁতে, তাদের গোড়া থেকে প্রায় দশ-বারো ফুট উঁচুতে, মাটির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে একটি বাঁশকে ওই বাঁশ দুটির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়।…পরের বাঁশটি আরও দশ ফুট উঁচুতে একই ভাবে বাঁধা হয়। যেন কোনও বড় আকৃতির মই মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে, যাতে মাত্র দুটি ধাপ রয়েছে- প্রথমটি মাটি থেকে ১০ ফুট উঁচুতে। আর দ্বিতীয়টি আরও ২০ ফুট। সার্কাসে দেখেছিলাম জিমন্যাস্টরা যখন নানারকম খেলা দেখাতেন, তাদের সুরক্ষার জন্য নীচে ‘সেফটি নেট’ লাগানো থাকত।
‘ঝাঁপ’ এর ক্ষেত্রেও অনেকটা তেমন। অংশগ্রহণকারীরা অনেক উঁচু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েন মাটির ওপর উলম্ব করে রাখা ধারাল অস্ত্রের উপর। কিন্তু এই অস্ত্রের ওপরে টান করে ধরে রাখা অনেকগুলি সমান্তরাল দড়ি, এগুলি সার্কাসের ‘সেফটি-নেটে’র মতো কাজ করে। দড়িগুলি টেনে ধরে রাখেন আয়োজক ও দর্শকেরা। যেহেতু দড়ির তৈরি এই ‘সেফগার্ড’টি ধারাল অস্ত্রের থেকে বেশ খানিকটা ওপরে ধরে রাখা হয়, তাই বিপদের আশঙ্কা কম থাকে। তবে শুনেছি ‘ঝাঁপ’ দিতে গিয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।
‘ঝাঁপে’র বর্ণনা শুনতে শুনতে বারবার পিলে চমকে উঠছিল। আমার চমকে যাওয়া পিলেকে শান্ত করতেই বোধহয় সন্ধ্যেবেলা সবাই রওনা দিল চায়ের দোকানের দিকে।
দোকানটি যেন মুম্বইয়ের শেয়ার মার্কেটের মতো! ভিড়ে ভারাক্রান্ত। আশেপাশে আরও গোটা দশেক দোকান আছে…সব মিলিয়ে একে বিগ-বাজারের ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা চলে। যদিও এটি তেমন ‘বিগ’ নয়। আর ‘বাজার’ও ঠিক বলা চলে না…সমস্ত জায়গাটা জুড়ে রয়েছে একটা অলস কিন্তু কোলাহলহীন ভিড়। চা-পান পর্ব শেষ করে গিয়েছিলাম মুকুলের মামা-বাড়ি। যেখানে দুপুরবেলা চলছিল ‘ঝাঁপ’ পর্ব। শতরঞ্চি পেতে খানিক গল্প করে আবার আটটা নাগাদ ঘুরতে বের হলাম আমরা। আর বিস্ময়টা অপেক্ষা করেছিল সেখানেই।
এই পথেই মুকুলের স্কুল। অনেক বড় এলাকা জুড়ে স্কুলটি। ভেতরে বিরাট মাঠ। তার এক পাশে কিছু ঘরে আলো জ্বলছে। মুকুল বলল-ওরা এখানের বোর্ডিং-ছাত্র। স্কুলের বর্ণনা দিল, ছেলেবেলায় করা অনেক দুষ্টুমির কথা অক্লেশে বলে যেতে থাকল। যেন কেউ আনমনে স্মৃতির পাতা ওলটাচ্ছে।…
মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগে, লেখকেরা, বড় বড় কবিরা কত সহজে কোনও দৃশ্যের বর্ণনা দেন। আসলে তাদের সবার লেখাই তাদের গভীর জীবন দর্শনেরই প্রতিবিম্ব। আর আমার, রুচির বড্ড অভাব। মুকুলের মামা-বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সোজা চলে এসেছি এখানের দুর্গামণ্ডপ নদীর পারে। বিটিসি ঘাটে। যদি ভাল লেখক হতাম হয়তো বর্ণনা দিতাম সেই রাতের। সেই তারায় ভরা আকাশের। রাতের আকাশে যে এত তারার মিছিল, তা আগে জানা ছিল না। অনেক দূর পর্যন্ত কোনও বিদ্যুৎ আলো নেই…আছি শুধু আমরা সাতজন…আর আমাদের অদূরে নদীর মাঝে নোঙর ফেলে ভেসে আছে একটি ছোটো নৌকো।…
‘একেবারে ছেলেমানুষ’ আর ‘খুব অভিজ্ঞ’ এই দুই প্রকার মানুষ সবসময় তাদের মনোরঞ্জনের উপকরণ খুঁজে বেড়ায়। কোনওখানে বা কোনও কাজে তাদের রুচির সমকক্ষ কিছু খুঁজে না পেলেই তারা সেদিক থেকে মুখ ফেরায়। প্রতি মুহূর্তে তাদের রুচির বদল হতে থাকে। আমাদের এই ‘সপ্তর্ষি’ দলের প্রায় প্রত্যেকেরই একই দশা। বাইরেটা অভিজ্ঞ আর ভেতরে ছেলেমানুষ…তাই খানিক প্রকৃতি দর্শনের পর সবাই নদীপারে বসে আগামী কাল কীভাবে আর কোথায় ঘুরতে যাওয়া হবে সেই মিটিং জুড়ে দিল।
আমার চোখ জুড়ে ছিল রাতের সাদা-কালো পোট্রেট আর কানে ভেসে আসছিল জোয়ারের জলের শোঁ শোঁ শব্দ। একে একে ঘাটের সিঁড়ি ডুবিয়ে জোয়ারের জল আমাদের পা-ছোঁয়ার মতলব করছিল।
রাত বাড়ছিল। এ অঞ্চলে রাত দশটা হল মধ্যরাত। বাড়ির দিকে পা বাড়ালাম। ঘাট থেকে সবে রাস্তায় উঠেছি, হঠাৎ রাস্তার ধারে একটা প্রায়-অন্ধকার ঘরে চোখ পড়ল। হ্যারিকেনের আবছা আলোয় দেখলাম, এক বৃদ্ধ দম্পতি তাদের দিন শেষের গ্রাস তুলছেন। ঘরে কোনও আসবাব নেই। আছে কিছু পরিত্যক্ত সামগ্রী। তবে তা এদের বলে মনে হল না। মুকুলকে জিজ্ঞাসা করায় বলল, আয়লায় এঁরা ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন। মন ভার হল যেন খানিক। একটু পিছিয়ে পড়েছিলাম।…
আমার সামনে চলছে দুজন- নিয়াজ আর সুকেশ। একই মেসে থাকছে গত কয়েক বছর ধরে। একে অপরের অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতে করতে এরা কখন গভীর বন্ধুতায় জড়িয়ে পড়েছে তা নিজেরাই জানে না। ওদের সামনে সায়ন আর অসীম। অনেক গুণ আছে সায়নের (তাই তো টিম লিডার)। অসীম শান্ত আর কর্মঠ। কোনও কাজে ‘না’ বলতে শুনিনি এতদিনে। আর আছে শুভ। এ ছেলের দু’টি বিয়ে- প্রথম স্ত্রী উদ্ভিদবিদ্যা আর দ্বিতীয়টি ক্যামেরা। ওর সদাহাস্য মুখের আড়ালে আছে এক চিন্তাশীল সরল বিবেচক সত্তা।…ছোটো থেকে শরৎচন্দ্র, রবি ঠাকুর পড়ে বড় হওয়া মুকুলের বর্ণনা কী দেব? ও আমার কাছে এই ছোটো গ্রামের প্রতীক, সারা লেখা জুড়ে তো শুধু ওই।
রাতে খেতে বসে বিস্তর হাসাহাসির পরে যখন বিছানায় উঠলাম তখন টের পেলাম সারাদিনের ক্লান্তির। আমাদের সবার জেদ ছিল যে, সবাই একটু কষ্ট করে হলেও একই ঘরে শোব। হলও তাই। তবে ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি আসন্ন বিপদের। সবে তন্দ্রা এসেছে, এমন সময় এক অপার্থিব গন্ধে এই অন্ধকার ঘরেও চোখে অন্ধকার দেখলাম।…ধড়মড়িয়ে উঠে বসলাম…বোঝার চেষ্টা করলাম ব্যাপারটা…বুঝেও গেলাম। আমার পাশে নিষ্পাপ শিশুদের মতো করে শুয়ে থাকা এই ছয় অতিমানবের মধ্যে কোনও একজনই এই গন্ধের উদ্ভাবক। কী আর করা! সকালে পাওয়া ধানের গন্ধের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমনোর চেষ্টা করতে লাগলাম….তাতে সাফল্য এল।
আমাদের এই সুন্দরবন সফরে একটি মাত্র চরিত্র যে আজ সারাদিন প্রচ্ছন্ন অবস্থায় ছিল, তা আগে বুঝিনি। কে জানত আগামীকাল সে আবার আবির্ভূত হবে তার ‘প্রতাপ’শালী চরিত্র নিয়ে।
(চলবে)