জুয়েল সরকার
প্রশ্নঃ- আইনক্সে বসে পপকর্ন চিবোতে চিবোতে রবার্ট ডাউনির ‘আয়রন ম্যান’ দেখেছ?
উঃ- হ্যাঁ, একেবারে থ্রি-ডি চশমা লাগিয়ে দেখেছি স্যার।
প্রশ্ন২- ভিক্টোরিয়ার মাঠে ছোলা ভাজা খেতে খেতে ছাতার নীচে কপোত-কপোতী দেখেছ?
উঃ- আরে হ্যাঁ! আলবাত দেখেছি।
প্রশ্ন৩- মুকুলের গ্রামের মতো সকাল দেখেছ?
উঃ- নাক-কান মুলে বলছি, দেখিনি গো দেখিনি।
না দেখার কারণ কী? আছে, অনেক কারণ আছে।
দিনের শুরুটা খুব আলাদা যে। এখানে সকাল হয় না, ‘আসে’। তাল, সুপুরি, আম, বটের আড়াল ভেদ করে ‘আসে’।…ধানের শিষের মাথায় হাত বুলিয়ে ‘আসে’।… হালকা উষ্ণ রোদ আর ফুরফুরে বাতাস নিয়ে ‘আসে’।
আমার জন্য যদিও সকালের শুরুটা এতটাও মনোরম ছিল না, যতটা বললুম। সকালে ঘুম ভাঙল এক বিষম ভীমকায় পদাঘাতে। মনে হল, পশ্চাৎদেশে যেন একটি বি-শা-ল উল্কা এসে পড়ল। ওই নির্মম পদাঘাতকারীকে আজ পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারিনি। সকালের সর্বশেষ ক্যান্ডিডেট হিসেবে ঘুম ভাঙল আমার। চোখ কচলে উঠে বসতেই শুনি কাকিমা (মুকুলের মা) বলছেন- ‘চা- বসাচ্ছি, সবাই নিয়ে যেও।’ যতই হোক, সকালে মুখ না ধুয়ে, কিছু মুখে তুলতে মন চায় না। উঠোনে নামতেই, নিয়াজ এসে সুপ্রভাত জানাল আর একগাল হেসে এগিয়ে দিল একটা নিম ডাল। অনেক দিন পর দাঁতুন সারলাম নিম ডাল দিয়ে।
সুন্দরবন সফরের কথা লিখতে বসে বারবার হেসে ফেলছি কয়েকটা কথা ভেবে, সত্যি কতটা ঠুনকো আমার এই শহুরে জীবন, কতগুলো মিথ্যে আর ভেজাল ছেয়ে আছে চারপাশে। সেজন্যই বোধহয় যখন আমাদের মতো প্রাণীরা এমন গ্রাম-সবুজের কোলে এসে পড়ে, তখন কত জোর করে গ্রাম্য হওয়ার চেষ্টা করে। সব ছোটো ছোটো জিনিসের সঙ্গে নিজের শহুরে জীবনের তুলনা টানে। সামান্য নিমের ডাল হাতে নিয়েও ভাবে-‘একেই বলে গ্রাম্য ফ্লেভার। আর যাই হোক, আমি কিছুটা তো গাঁইয়া হলুম।’
মুখ ধুয়ে সবে ঘরে ফিরেছি, দেখি, বাড়ির পুকুর থেকে মাছ ধরার তোড়জোড় চলছে। মাছ শিকার করতে মুকুল রণ সাজে। হাতে অস্ত্র জাল। রণসাজ বলতে, গামছা। বাড়িতে মাছেদের সঙ্গে তাদের পোস্টমর্টেমের পর দেখা হয়। আজ তাদের জ্যান্ত দেখব। চায়ের কাপ নিয়েই পুকুর পাড়ে হাটা দিলাম।
বুঝতে পারছি, আজ কিছু আলাদা হতে চলেছে। বাড়ির প্রায় সবাই উপস্থিত পুকুর পাড়ে। আমরা ছ’জন, মুকুলের ঠাকুমা (গোপন সূত্রে খবর, ইনিই মুকুলকে মাছ ধরা শিখিয়েছেন)। এছাড়া আছে মুকুলের ভাই-প্রতাপ আর ওদের ভগ্নিপতি। আমরা দর্শক আর ক্রিজে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড় মুকুল। ব্যাট চালাল মুকুল, থুড়ি, জাল ফেললো। ঝপাং শব্দে দিনের প্রথম জাল পড়ল পুকুরে। এরপর একে একে প্রতাপ আর ভগ্নিপতি মহাশয়ও মাছেদের এক হাত নিলেন। তবে সত্যের প্রতি অনুগত থাকতে হলে বলতেই হবে, ঠাকুমার যোগ্য ছাত্র প্রতাপ। ওর জালে মাছেরা যেন নিজে থেকেই ধরা দিচ্ছিল। আমাদের সুকেশও মাছ ধরায় কিছু কম যায় না। ততক্ষণে বালতিতে জমেছে হরেক রকমের মাছ। বাটা, কই, ফলি, পোনা…।
সকালে নিমন্ত্রণ ছিল মুকুলের মামাবাড়িতে। আমি খানিক বাদে পৌঁছলাম। গিয়ে দেখি, সবাই বেপাত্তা। খাওয়া শেষ করে খুঁজতে বেরোলাম। আর আবিষ্কার করলাম, ছ’টি অকালকুষ্মাণ্ড একসঙ্গে পুকুর পাড়ে বসে ডাবের শাঁস খাচ্ছে। সায়নের মুখের কাছে লেগে খানিক শাঁস। শুভর গোঁফ চুঁইয়ে পড়ছে ডাবের জল। সবাই জেল পালানো কয়েদির মতো হামলে পড়েছে যেন। ডাব-পর্ব সেরে ঘুরতে বেরলাম। পুকুর পেরিয়ে দিগন্ত বিস্তৃত জমি। বেশিরভাগেই ধান চাষ হচ্ছে। কোথাও সদ্য ফসল কাটা হয়েছে। আবার কোথাওবা চড়া রোদে মাটি ফেটে চৌচির হওয়া প্রশস্ত মাঠ। জমির আল ধরে হাঁটছি আমরা। কিছু দূরেই কচি ঘাসে ভরা খোলা মাঠ। আর মাঠের মাঝে ছোটো একটি পোড়োমন্দির।
ঘনঘোর বর্ষায় শুধু নাবালজমিতেই জল জমে। উঁচু জায়গায় তার কোনও ঠাঁই নেই। এখানে ঘুরতে এসে খালি মনে হচ্ছে, মনের নাবালজমিতেও বুঝি প্রকৃতির মাটির পরত জমেছে। এখানে ক্লেশ, হতাশা, চিন্তার জায়গা কোথায়? তাই যখন মাঠের এক প্রান্তে, চাষের জন্য কাটা খাল দেখলাম, চানের লোভ সামলানো গেল না। খালে বড় জোর হাঁটু জল, তার নীচে হাঁটু সমানই কাদা। কোনও নিষেধ নেই এখানে। তাই সবার আগে কাণ্ডটা ঘটালাম আমিই। জুতো, গেঞ্জি খুলে সটান জলে। শুভ, সায়ন, অসীমও যোগ দিল। এরপর যা শুরু হল তার বর্ণনা দিলে রবি ঠাকুর স্বর্গ থেকে দোয়াত-কলম ছুঁড়ে মারবেন। খালের শান্ত আর পরিষ্কার জল ক্ষণিকেই উত্তাল আর ঘোলাটে হয়ে উঠল। মুকুল, সুকেশ আর নিয়াজ খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল আমাদের কর্দম নৃত্য। দু’একবার উঠে আসতেও বলল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি কাদার তালের ক্ষেপণাস্ত্র ছুটল ওর দিকে। বিরোধিতা বন্ধ।
হাঁটু জলেই কখনো চিৎ সাঁতার, কখনও ডুব-সাঁতার আবার কখনও বাটারফ্লাই স্ট্রোকের মহড়া দিচ্ছি। সদ্য পঁচিশ ছোঁয়া চার ছেলে-ছোকড়া কখন যে ছেলেবেলায় পৌঁছাল তা টের পেল না ওরা। বলা বাহুল্য, খাল থেকে ওঠার পর একে অপরকে দেখে ‘আইডেনটিটি ক্রাইসিস’-এ ভুগেছিলাম।
বাড়ি ফিরে আবার ভদ্রস্থ চান। তারপর খেতে বসা। দুপুরে খাবারের পাতে পড়েছিল, সকালে ধরা টাটকা মাছ আর অনেকখানি যত্ন।
বিকেলে মুকুলের মামাবাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই সবাই নিদ্রাদেবীর আরাধনায় ব্রতী হলাম।…
পুকুরের চারপাশে দাঁড়িয়ে সবাই। কে নেই সেখানে?… কাকু-কাকিমা, শুভ, নিয়াজ, সায়ন, সুকেশ, অসীম, মুকুল। প্রতাপ আর ভগ্নিপতিও উপস্থিত। সবার চোখ আটকে মুকুলের ঠাকুমার দিকে। হাতে মাছ ধরার জাল। তড়িৎ গতিতে তিনি সেটা এক বিশেষ কায়দায় মেলে দিলেন পুকুরের বুকে। সঙ্গে সঙ্গে জলে আলোড়ন শুরু। খুব বড় কিছু বেঁধেছে। ঠাকুমা পেরে উঠছেন না। যতই জাল পাড়ের দিকে টানা হচ্ছে, সবার উৎকণ্ঠা তত বাড়ছে। আলোড়ন বাড়তে বাড়তে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। কিন্তু সবশেষে এ কী? ওটা কী? মানে, ওটা কে? জালের মধ্যে কাদামাখা আমি, ছটফট করছি!
তড়াক করে লাফিয়ে উঠলাম। স্বপ্ন! আবার সেই মর্কট-মার্কা স্বপ্ন!
ঘড়ি বলছে, আধ-ঘণ্টা হল শুয়েছি। কী আর করা। আর ঘুম আসবে না। এখন,সবাই যখন ভাত-ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি রাস্তায় বেরুলাম।
এদিকটায় জলা জমি, বেশিরভাগটাই পানায় ভর্তি, রাতের বেলায় মাঠ বলে ভ্রম হয়। তবে শান্ত এলাকা। রাস্তার ধারে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ইউক্যালিপটাস। কিছু পাকা বাড়ি আছে, কিন্তু বেশির ভাগই খড়ের চালা দেওয়া মাটির ঘর। যেন বহু কলাকুশলী অনেক সময় নিয়ে এঁকেছে দুপুরের এই পোট্রেট। মগ্ন হয়ে বসে আছি। হঠাৎ, দুপুরের নিস্তব্ধতা ছিন্ন করে আমার পাশ দিয়ে ছুটে গেল দুই নাবালক। ওরা খেলছে। মাঝে একবার থেমে, কোমর থেকে প্রায় খুলে পরা প্যান্টটাকে তাগার সাহায্যে কোনওমতে আটকে আবার ছুট লাগাল ওদের মধ্যে একটি। ওদের আটকায় সাধ্য কার?
ঘড়ির কাঁটা যখন ভদ্রতার ঘর ছুঁলো। আমরা মুকুলের দাদুবাড়ি পৌঁছলাম। মাটির ঘর। বাড়ির পাশে পাড়-বাঁধানো পুকুর। আর তাকে ঘিরে আম, লেবু আর নানারকম ফুলের গাছ। উঠোনে ধানের গোলা, তুলসী মঞ্চ। আর একপাশে রয়েছে হাঁসমুরগির ছোট খোঁয়াড়।
আমাদের সবার মধ্যে সুকেশকে দাদুর বেশ মনে ধরেছে। কেন জানি না। আমাদের সবার জন্য এল বেলের শরবত, তারপর চা। ভালবাসার এই এক বিচিত্র গতি! কে, কেন, কীভাবে ভালবাসার অধিকারী হয় সে এক অপার রহস্য। দাদুর স্নেহের উৎস খোঁজার আর সময় হল না। আমরা ঠিক করেছি, আজ রাত কাটাব মাঝনদীতে! তার তোড়জোড় আছে না! গতকাল থেকেই নীল নকশা তৈরি হচ্ছিল। ঠিক করেছিলাম, লঞ্চ ভাড়া করে রাত কাটাব মাঝনদীতে ভেসে। পরদিন সকাল হলেই বেড়িয়ে পড়ব সুন্দরবনের উদ্দেশে।
বুদ্ধদেব গুহের লেখা কোনও এক বইয়ে পড়েছিলাম, বনকে উপভোগ করার জন্য ‘মনে বন আর বনে মন থাকা চাই’। আমরা তো বনে মন মুছতেই এসেছি। আগামীকাল সারাদিন লঞ্চে থাকা হবে। দুপুরের মেনুতে হবে ভাত আর মুরগির ঝোল। তাই মুকুলের দাদুবাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা বাজারের পথে হাঁটা লাগালাম সবাই। তেল-মশলা-সবজি ইত্যাদির সঙ্গে কেনা হল একটা জ্যান্ত মুরগি।
রাতে বাড়ি ফিরে, উঠোনে মাদুর পেতে বসল গানের আসর। চপল হিন্দি গান থেকে শুরু করে লালনগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত কিছুই বাদ গেল না। মুড়ি-বাদাম আর কাকিমার হাতের চা খেতে খেতে সঙ্গীত লহরী।
রোমাঞ্চকর রাতযাপনের প্রস্তুতি শুধু মনে নয়, শরীরেও যে চলছিল, শিহরণ তার প্রমাণ। রাতের আহার শেষে যাত্রা শুরু। সঙ্গে লটবহর। নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর রান্নার সামগ্রী। মুকুলের বাড়ি থেকে লঞ্চ পর্যন্ত অনেকখানি হাঁটা পথ। আর এখানে রাত আটটার পরই যেন প্রাচীন-প্রস্তর যুগের মধ্যরাত নেমে আসে। এখন তো ন’টা! রাস্তায় খানিক চলার পর নামলাম ফাঁকা মাঠে। এ মাঠের যেন শেষ নেই। ঘন অন্ধকার, ফাঁকা মাঠে প্রেতের মতো হেঁটে চলেছি আমরা সাত মূর্তি আর ঝোলায় দুলতে দুলতে চলেছে একটি জ্যান্ত মুরগি। সে এক আশ্চর্য ক্যারাভান!
লঞ্চে পৌঁছে আমরা অবাক। নামটি তার ‘মা বিনতা’। যানবাহনের নামে স্থানীয় প্রভাব থাকেই। যেমন বাসমালিকের গ্রামে শীতলার প্রভাব থাকলে বাসের নাম ‘মা শীতলা’ হবেই। সুন্দরবন মানেই এখানকার মানুষের কপালে ‘সাপের লেখা, বাঘের দেখা’ প্রবাদ জাগ্রত। বিনতা বিষ্ণুরবাহন গড়ুরের মা। গড়ুর সাপেদের যম। ভয়টাও নিশ্চয় আরও বেশি। তাই বোধহয় এমন নাম। কী নেই দোতলা বিনতায়! রান্নার ঘর, দুটো ছোটো বাথরুম (কমোড সহ), সুষ্ঠু ভাবে গোছানো বিছানা- যাতে কম করে দশজন স্বচ্ছন্দে ঘুমোতে পারে। ওপরতলায় অনেক বড় খোলা ডেক, যার দু’ধারে কাঠের রেলিং দেওয়া। ডেকের শেষ প্রান্তে বসার জন্য দু’টি বেঞ্চ পাতা। মা বিনতা এলাহি আয়োজন করে রেখেছে । চালক লঞ্চ নিয়ে এলেন মাঝ নদীতে। এখানেই নোঙর ফেলে আজ রাতে ভেসে থাকবে আমাদের জল-রথ। জিনিসপত্র নীচে রেখে সবাই জড়ো হলাম ছাদে অর্থাৎ ডেকে।
প্রথমে চরম উত্তেজনা নিয়ে গল্প শুরু হলেও খানিক বাদেই সব ঝিমিয়ে পড়ল। জোলো হাওয়ায় বেশ শীতও লাগছিল। আমি আর শুভ ছাড়া আর কেউ বিছানার ডাক অবহেলা করতে পারল না।
এরপর…এরপর শুধু ধোঁয়া…অনেকখানি ধোঁয়া। কিছু স্মৃতিচারণ আর দুই বন্ধুর ‘কোয়ালিটি টাইম’। দিনকাল ভাল নয়। দয়া করে ভুল বুঝবেন না।
শুভ ঘুমোতে গেল এক’টা নাগাদ। আমি কবজিতে এঁটে বসা ঘড়িটা খুলে পকেটে রাখলাম। খুলে দিলাম জামার দু’টো বোতাম। হাওয়ার সঙ্গে পরিচিত হতে।এখন ঠান্ডা হাওয়া ঝাপটা মারছে মুখে। বুকে।
দীপকদা, আমাদের বড়দাকে, একবার বলতে শুনেছিলাম-‘ জীবনটাকে ভাল করে না ছানলে, ভাল লেখক হওয়া যায় না’।…সত্যই তো, আমরা কতটা বুঝি এখন? সময়ের ঘড়ি আমাদের কোশগুলিকে বড় করছে, বুড়ো করছে। অনুভূতি দিচ্ছে কি? পোড় খাওয়াচ্ছে? মানে অভিজ্ঞ বানাচ্ছে? মনে ভিড় অনেক প্রশ্নের। নাহ, এদের তাড়াতে হবে।…
এরপর…আবার একরাশ ধোঁয়া। চাঁদের আলো বাধ সেধেছে, তাই ডেকের ওপরে অন্ধকার নেই এতটুকুও। ঢেউয়ের তালে এতবড় লঞ্চটাও দুলে উঠছে থেকে থেকে। দূরে নদীর ওপার থেকে একটানা ভেসে আসছে কীর্তনের শব্দ। যে অঞ্চলের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ এখনও একটা ‘আড়ম্বর’, সেখানে রাতভর মাইক বাজিয়ে কীর্তন হচ্ছে! মূর্তি পূজোই আজকাল লক্ষ্য আর জীবন হয়তও উপলক্ষ্য, কে জানে?
বিছানায় এসে শুতেই, চোখের পাতা ভার হয়ে এল। লঞ্চের কিনারায় নদীর জল আঘাত হানছে। ফলে একটানা ছলাৎ ছলাৎ শব্দ।আওয়াজটার কি সম্মোহন ক্ষমতা আছে? কেন জানি না মনে হচ্ছে, আমাদের লঞ্চটা ঢুকে পড়েছে কোনও এক দৈত্যের মুখের ভেতর।
দৈত্যটা যেন মৃদু শব্দে কুলকুচি করে চলেছে।
(চলবে)
নিজের গ্রামের কথা শুনে ভালো লাগলো