পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

যেখানে ব্রহ্মকমল ফোটে— দ্বিতীয় পর্ব

দীপশেখর দাস

সকাল ৬টায় এলার্ম দেওয়া ছিল। তার একটানা ঘ্যানঘ্যানে বিছানা ছাড়তে বাধ্য হলাম। দীনেশদা ঘরে নেই। লোকটার চায়ের প্রচণ্ড চাহিদা। নিশ্চয় চায়ের খোঁজেই গেছে। নিকেশ গতকালের পথকষ্টে এখনও অসাড়। এদিকে ভোর থেকেই আকাশের মুখ ভার। মুষলধারে না হলেও ভালোই জল ঝরাচ্ছে সে। আজ বোধহয় আর হেমকুণ্ডে যাওয়া হল না। ঘংঘরিয়া থেকে হেমকুণ্ড প্রায় ৭ কিলোমিটার। এই বৃষ্টিতে এতটা হাঁটা দুষ্কর।

দীনেশদা চা নিয়ে ফিরতে সংশয় প্রকাশ করলাম। কিন্তু দাদাটি দিন নষ্ট করতে রাজি নয়। তাছাড়া তার মতে, আল্পাইন অঞ্চলের আবহাওয়া খুবই খামখেয়ালি। এই অঝোরধারা, তো আবার তেজি রোদ। অথবা ঠিক উল্টোটা। তাছাড়া কালও তো বৃষ্টি হতেই পারে। কথাটা ফেলার নয়। রেনকোট গায়ে চড়াতে হল চটপট।

ঝাঁপ দিয়েছে লক্ষ্ণণগঙ্গা।

আসলে হেমকুণ্ড চলেছি ব্রহ্মকমলের সন্ধানে। ব্রহ্মকমল নিয়ে বাঙালির কাব্য আছে। আছে অনেক গল্পগাথাও। আর আছে ব্রহ্মকমল নিয়ে মানুষের নানা ভুল ধারণা। যারা কোনও দিন চাক্ষুষ করেনি গল্প শুনে, তাতে কল্পনার রঙ চড়িয়ে কতই না গল্প ফেঁদেছে। কেউ গল্পে বলেন, সে নাকি বিশালাকার পদ্ম। একজন মানুষের ভার সহজেই বহন করে। তেমনই মিথ গেঁথেছেন, ব্রহ্মার আসন কমলই হল ব্রহ্মকমল। বিষ্ণু ভক্তেরা বলেছেন, বিষ্ণুর আসন কমল। অনেক গল্প শুনেছি। তাই এবার চাক্ষুষ করার পালা।

ঘর থেকে বেরিয়ে একটা ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধর হোটেলে ‘নাস্তা’ করা হয়েছিল। খাবারের দোকানটা একদম ঘংঘরিয়ার প্রান্তের দিকে। গতকাল রাতেই এর সন্ধান পেয়েছিলাম। আসলে হেমকুণ্ড সাহেব, আর তার পার্শ্ববর্তী ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস এখন নামী ট্যুরিস্ট প্লেস। তাই সমুদ্রতল থেকে ৩০০০ মিটার উপরে গড়ে উঠা বেসক্যাম্পেও বেশ বড়সড় সব রেঁস্তোরা। খাবার দাম স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চড়া। ট্যুরিস্ট নামক প্রাণীর আবির্ভাব মানেই এলাকার সর্বনাশ। ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতায় খুব বুঝেছি।

পথের পাশে।

আমরা একদিনের ট্যুরিস্ট নই। তাই ওসব রেঁস্তোরাও আমাদের জন্য নয়। সাধ্য আর সাধের মধ্যে বিস্তর ফারাক। সাধ্যের মধ্যে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে এই বুড়ো খুড়োর দোকানের সন্ধান। প্রধানত ঘোড়াওয়ালারাই এঁর খদ্দের। খুড়োর কাছেই খবর নিলাম, ঘংঘরিয়া যাবার ঘোড়ার দর। যদিও ঘোড়ায় চড়ার কোন বাসনাই আমাদের নেই। আমাদের পদব্রজেই যেতে হবে। নাহলে ‘কালেকশন’ কমে যাবে। জানা গেল, শুধু ওপরে উঠতে ঘোড়া পিছু ভাড়া ১১০০ টাকা। তিনটে ঘোড়া নিলে চেনাজানা লোক থাকায় ৯০০ টাকা প্রতি ঘোড়া মিলবে। হিমালয়ে গেলে শুনেছিলাম কামনা, বাসনা, লোভ ত্যাগ করতে হয়। তাই ঘোড়া প্রতি ২০০ টাকার ডিসকাউন্ট অবলীলায় ছাড়তে পেরেছিলুম।

ঘংঘরিয়া এলাকাটা বেশ জমাটি। ছোট জায়গার মধ্যে হলেও অনেক ঘরবাড়ি এখানে। সবই হোটেল নয়তো দোকান ঘর। আর সব থেকে বড় বাড়িটা গুরুদ্বার। এই সিমেন্ট বালি পাথরের আধুনিক পৃথিবীই এখানে প্রকট।

বৃষ্টি-কুয়াশায় পাড়ি।

হেমকুণ্ড যাবার জন্য সিমেন্ট বাঁধানো রাস্তা। ঘোড়সওয়ারি যাত্রীদের জন্যই এ ব্যবস্থা। তাতে আবার সিড়ির মত ধাপ কাটা। ট্রেকিংয়ের মজা এ রাস্তায় পাওয়া যায় না। কিছুটা রাস্তা পরপরই খাবারের দোকান। চা থেকে চাটনি সবই মেলে। অবশ্যই মাছ-মুরগি বাদ। সিমেন্ট বালির জঞ্জাল ত্যাগ করে বাইরে আসতেই আসল প্রকৃতির ঝলকে মুগ্ধ হলুম। ঘংঘরিয়া থেকে খানিক দূরেই এক বিশাল জলপ্রপাত। হেমকুণ্ড থেকে নেমে আসা লক্ষ্মণগঙ্গা ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুষ্পবতীর কোলে। পাথরে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যাওয়া জলবিন্দুগুলো ধোঁয়াধার করেছে জায়গাটিকে।

দীনেশদার অভিজ্ঞতার তারিফ করতেই হল। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও একপ্রকার জোর করেই আমাদের রাস্তায় নামিয়েছেন তিনি। ঘংঘরিয়া ছেড়ে কিছুটা উপরে উঠতেই বৃষ্টি একটু থামল। যদিও আকাশ পরিস্কার হল না। এক অদ্ভুত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। কুয়াশার মতো পাতলা সাদা মেঘ হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। চারিদিক ধোঁয়ায় ভরে গেলে যেমন হয় সেরকম অবস্থা। চলার পথ প্রশস্ত। তাই পথ চলতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু চারপাশের যেসব ছবি পথকষ্ট দূর করে তারা সবাই মুখ লুকিয়েছে মেঘের আবরণে।

দীনেশদা, দ্য টিমলিডার।

লক্ষ্য ছিল দুপুর ১টার মধ্যে হেমকুণ্ড পৌঁছব। ট্রেকিংয়ে ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তা আমরা তিন সাড়ে তিন ঘণ্টায় পার করতে পারি। সেই হিসাবেই সাড়ে ন’টায় বেস ক্যাম্প ছেড়েছি। ভেবেছিলাম আগে হেমকুণ্ড যাব। তারপর নামার সময় মন দেব কালেকশনে। কিন্তু আকাশের যা অবস্থা ফেরার পথে হয়তো আলো থাকবে না। অগত্যা চড়ার পথেই আমাদের কালেকশন আরম্ভ হল। সময় যত বাড়তে লাগল মেঘের ঘনত্ব বাড়তে থাকল। খানিক পরেই আবার নামল অঝোরধারা। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলতে থাকলাম।

চলার পথে আমাদের সংগ্রহ।

রাস্তা শেষ হয়ে এল। কিন্তু বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ নেই। উপরন্তু ক্রমশ বেগ বাড়াচ্ছে সে। উপরে একটা জায়গায় পৌঁছে দেখলাম রাস্তা দু’দিকে ভাগ হয়ে গেছে। একটি উঠেছে সোজা উপরের দিকে। যদিও একে রাস্তা না বলে সিঁড়ি বলাই ভাল। পাথর আর সিমেন্ট বাঁধিয়ে ধাপ করে দেওয়া হয়েছে তাতে। দ্বিতীয়টা সামনের দিকে কিছুটা গিয়ে একটা ঢাল করে উপরের দিকে উঠেছে। পাহাড়ি রাস্তা যেমন হয়। ঠিক এই বিভাজনের জায়গাতেই একটা চায়ের দোকান। ঠিক হল, একপথে চড়া হবে। আর নামা হবে অন্যপথে।

বৃষ্টি ভিজে এতটা রাস্তা চলার পর এক কাপ চা বনতা হি হ্যায়। কথায় আছে যেখানে দেখিবে ছাই…। তা-ই বটে। চায়ের দোকানেই অমূল্য খবরটা পাওয়া গেল। দোকানের ছোকরাকে এটাওটা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল। দীনেশদা দেশের লোকেদের সঙ্গে সহজেই আলাপ জমাতে সক্ষম হচ্ছিল। ছোকরা জানাল, হেমকুণ্ড সাহেবেই ব্রহ্মকমল পাওয়া যাবে। যদিও দু’একটা। যদি আরও খানিক পাহাড় বেয়ে ওঠা যায় তবে…। কথাটা আর শেষ করেনি সে। আমরাও আর ঘাঁটাইনি তাকে। পথনির্দেশ পেয়ে গিয়েছি। বিল মিটিয়েই চটপট রওনা দিলাম। পাহাড় বাইতে হবে।

হেমকুণ্ড সাহিব।

হেমকুণ্ড সাহেবের মন্দিরটা অনেকখানি আটচালার মতো। সামনে একটা বড়সড় জলাশয়। মন্দিরেই ঠিক পাশেই গুরুদ্বার। দর্শনার্থীদের এখানেই আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে। সাত কিলোমিটার পথ চড়ে খিদে ভালোই পেয়েছে। এক জামবাটি করে খিচুড়ি আর পায়েস নিমেষে পেটে সেঁধিয়ে গেল। হেমকুণ্ড সাহেবের প্রবেশ পথেই দেখা পেয়েছি তার। কিন্তু ও বড়ই ম্লান। স্বাভাবিক ছটা তার নেই। মনে হল কেউ তাকে তার বন্য ঘর থেকে উৎখাত করে প্রতিষ্ঠা করেছে এখানে। মন ভরল না। সুতরাং পাহাড় বাইতেই হবে।

পাহাড় চড়াটা কিন্তু মসৃণ হল না। বৃষ্টি এখনও চলছে। এদিকে খানিক উপরে উঠতেই হেমকুণ্ড সাহেবের প্রতিনিধিদের নজরে পড়ে গেছি। নীচে থেকে তর্জন গর্জন শুরু হয়ে গেছে। অগত্যা নিম্নাগমন। তাদের সাফ কথা, মন্দির দেখো আর ফিরে যাও। উপরে যাওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু আমরাও নাছোড়বান্দা। হদিশ যখন পেয়েছি হাসিল করবই গুপ্তধন। অনেক বাকবিতণ্ডা শেষে মন্দির প্রধানকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে এবং আমাদের কাজ সংক্ষেপে বুঝিয়ে ছাড় পাওয়া গেল। অবশ্য আমাদের আটকানোর কারণটাও তিনি বলেছিলেন। পাহাড় বাইতে গিয়ে কেউ দুর্ঘটনায় পড়লে তার দায় বর্তাবে মন্দির কর্তৃপক্ষের উপর। তাই পর্যটকদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা।

হেমকুণ্ডের জলের উৎস এই ঝরনাগুলোই।

তার আগেই অবশ্য সাংঘাতিক একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের জেদাজেদি দেখে এক বৃদ্ধ আগ্রহী হয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, কী করি আমরা? কী করতে এসেছি? টিমলিডার দীনেশদা জানিয়েছিলেন যথাসম্ভব সহজ করে। আমরা রিসার্চ করতে এসেছি। এখান থেকে নমুনা নিয়ে কলকাতায় ফিরে রিসার্চ করব। শুনেই বৃদ্ধের বিস্মিত উক্তি, ‘পাগল হ্যায় ক্যা আপলোগ?’ আমরাও বৃদ্ধের উক্তিতে অবাক। বৃদ্ধ আমাদের কাজ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, নমুনা আমরা নিয়ে যেতে পারব না। বিস্ময়ের মাত্রা বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত ভাঙলেন তিনি। একটা বিশাল ভুর্জপত্র বৃক্ষ দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা কী করে আপনারা কলকাতায় নিয়ে যাবেন! আপনাদের বাপ-পরদাদাও পারবেন না। ওপড়াতে পারবেন!’ বৃদ্ধের গাঁয়ের এক ছোকরাও নাকি রিসার্চ করতে দেশের বাইরে গিয়েছিল। শেষে হালে পানি না পেয়ে গাঁও বাপস! শুনে আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলুম।

হেমকুণ্ডের বিমর্ষ ব্রহ্মকমল।

পাহাড় চড়তে বাধা এলেও পাহাড় আমাদের কোনও বাধা দেয়নি। উন্মুক্ত করে দিয়েছিল সে নিজেকে। আর তার চারিপাশকে। আমরা তখন সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৪২০০ মিটার উপরে। একদিকে পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের দল ভেসে আছে। আর মেঘের শেষে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে পর্বতশ্রেণি। নৈসর্গিক দৃশ্য। ঠিক যেন মহাভারত, মহালয়া প্রচারের সময় টিভির পর্দায় ফুটিয়ে তোলা স্বর্গের প্রতিচ্ছবি। অথবা শিল্পীর তুলির টানে আঁকা কোনো ল্যান্ডস্কেপ। অন্যদিকে জলাশয়খানি। জলাশয়ের একপ্রান্ত দিয়ে প্রবলবেগে নীচের দিকে চলেছে সেই লক্ষ্মণগঙ্গা। জলাশয়ের শেষে সুউচ্চ পাহাড়। সেই সবুজ পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে অনেকগুলো জলধারা। জলাশয়ের অফুরান জলের উৎস ওরাই। জলাশয়ের দিক বরাবর এগোতেই দেখা পেলাম তাদের। শয়ে শয়ে ছড়িয়ে আছে তারা। কোথাও একাকী, আবার কোথাও দল বেঁধে। এক আলোআঁধারির পরিবেশে অসংখ্য প্রদীপ জ্বলছে যেন। মনে হচ্ছে, হাতের আঙুলগুলোকে নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে সাজিয়ে কোন নৃত্য বিভঙ্গ তৈরি করেছে সে। অমোঘ তার আকর্ষণ। সেই আকর্ষণকে নস্যাৎ করা কারও পক্ষেই সম্ভবপর নয়।

মেঘের পাহাড়।

দেখলাম আর জানলাম। চক্ষুকর্ণের বিবাদ দূর হল। যা শুনেছিলাম সবই ভুল। যা দেখলাম সেটাই সত্যি। কমল আর ব্রহ্মকমলের অবস্থান দুই বিপরীত মেরুতে। কমল ফোটে জলে। ব্রহ্মকমল ডাঙায়। আর উদ্ভিদবিদ্যার জ্ঞান বলে, ব্রহ্মকমল একটি সূর্যমুখী গোত্রীয় গাছ। উচ্চতা মেরে কেটে এক থেকে দেড় মিটার। গাছের পাতাগুলো সরু। ব্রহ্মা নিরাকার। তাঁকে হয়তো ধারণ করলেও করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে ব্রহ্মকমল মানুষের দু’টো আঙুলের বেশি ভার বইতে পারবে না। পুষ্পবিন্যাস ঢাকা থাকে পত্রমঞ্জরী দিয়ে। বাইরের আঘাত আর পোকামাকড় থেকে ফুলকে বাঁচাতেই এই ব্যবস্থা। ফুল থেকে তীব্র গন্ধ বেরোয়। পতঙ্গদের আকৃষ্ট করে তাদের সাহায্যে পরাগযোগ ঘটানোই যার লক্ষ্য। সুবাস মাদকতা ছড়ায় চারপাশে।

সন্ধান মেলার খুশিতে সহ-অভিযাত্রী নিকেশ।

হেমকুণ্ড সফর সফল। দু-একটা ব্রহ্মকমলের আশায় পাড়ি দিয়েছিলাম। দঙ্গলে পেয়েছি তাদের। এবার ঘরে ফেরার পালা। পাহাড় বেয়ে নামতে নামতেই ৫টা বেজে গেল। মন্দিরের প্রহরীরা আমাদের নিয়ে বিচলিত। পথমাঝে নাকি বিপদ আছে। সন্ধ্যা হলে ভালুকের দেখা মেলে। তাই হাতে অন্তত লাঠি রাখতে হবে। বিপদ সংকেত নিয়ে হেমকুণ্ড ছাড়লাম তিনমূর্তি। উতরাই তখন জনমানবহীন। সময় থাকতেই সবাই রওনা দিয়েছে ঘংঘরিয়ার দিকে। আমরাও জোরে পা চালালাম।

ব্রহ্মকমলের ক্ষেত।

সাফল্যের আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে হয়তো একটু বেশিই জোর দিয়ে ফেলেছিলাম। সাত কিলোমিটার রাস্তা দেড় ঘণ্টাতেই সাবাড়। ঘরে ফিরলাম সন্ধে নামার আগেই।

ছবি-লেখক

(সমাপ্ত)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *