সুইট সুইডেন, জ্ঞানপীঠ জার্মানি
শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায়
যুদ্ধের প্রয়োজন ফুরোলে দুর্গের কপালে কী থাকে? সুইডেনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের নাম স্কানে কাউন্টি। একসময়ে এই কাউন্টি ডেনমার্কের দখলে ছিল। তারপর যুদ্ধ। কাউন্টি এল সুইডেনে। স্টকহোম এখান থেকে অনেক দূর। আশেপাশে ইউনিভার্সিটি বলতে কোপেনহেগেনে। কিন্তু যুদ্ধের পর পড়তে যাব ডেনমার্কে? নাহ্। অগত্যা নিজেদের ইউনিভার্সিটি। দুর্গের ঘরগুলো থেকে অস্ত্র সরে গেল, এলো বই-খাতা-কালি-কলম। ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্র করে সেজে উঠল ছোট্ট শহর লুন্ড। আর এই সেই দুর্গ। এখন সুইডেনের সবেচেয়ে খানদানি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবন।
কথাটা আসলে গোটিংগেন। ছোটবেলায় নারায়ণ সান্যালের বইয়ে পড়েছি গোটিনজেন। জার্মানির ছোট্ট শহর। শহরের অস্তিত্বের সবটুকুই একটা ইউনিভার্সিটিকে কেন্দ্র করে। জর্জ আগস্ট ইউনিভার্সিটি গোটিংগেন। এখনো পর্যন্ত খান চল্লিশেক নোবেল এখানে এসে ঢুকেছে। যদি না হিটলার মাথা গরম করে জার্মানিকে ইহুদিমুক্ত করতে যেতেন, তাহলে তালিকাটা নিঃসন্দেহে আরও দীর্ঘ হত। আইনস্টাইন থেকে শুরু করে সে যুগের কোন বিজ্ঞানী এখানে কাজ করেননি! রাস্তার নামগুলো, বাসের স্টপেজগুলো সব কোনো না কোনো বিজ্ঞানীর নামে, যাদের নাম স্কুল কলেজের টেক্সট বইয়ে পড়েছি। সেই শহরেই তোলা এই ছবিটা। ম্যাপল গাছের ছাওয়ায় বসে গপ্পো করছেন ফ্রেডরিক গস আর উইলহেম ওয়েবার। আলাদা আলাদা করে দু’জনের পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে এমনই এক আড্ডার ফাঁকে এই দুই মাথা থেকে বেরিয়ে এসেছিল তড়িচ্চুম্বকীয় টেলিগ্রাফের ভাবনা।
বাগানের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যখন এঁদের দেখা পেলাম তখন বাতাসের তাপমাত্রা শূন্যের ছয় ডিগ্রী নিচে। গ্লাভস খুলে ছবি তুলতে বেশ কষ্ট। তারপরে ভাবলুম এই ঠান্ডায় এমন দুজন মানুষ যদি রাতদিন গাছতলায় বসে থাকতে পারেন আমাদের জন্য, তবে আমিই বা…
বনলতা সেনের গ্রামে
মমিনুল ইসলাম মিঠু
নাটোর একটি জেলার নাম।এর নাম শোনেননি এমন বাঙালি নেই বোধহয়। জীবনানন্দের বনলতা সেন তো নাটোরেরই। রূপসী নাটোর দেখতে সত্যিই অতুল্য।অপরূপ শান্ত গ্রামের ছবি,সে তো নাটোরেই দেখা যায়। মাঠগুলো দৃশ্যময় নানা সাজে।ফসলের ক্ষেত,ঝোঁপ-ঝাড়,আল সবকিছু যেন যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
ঠিক একারনেই প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ স্বস্তি শান্তি একমুঠো হলেও পেয়েছিলেন নাটোরের বনলতাসেনের কাছ থেকে।একারনে নাটোর সব বাঙালির মনে ছবি এঁকেছে প্রশান্তির।
অ্যান্টিলোপ ক্যানিয়নের সি হর্স
স্বরূপ দে
আমেরিকার অ্যারিজোনায় লোয়ার অ্যান্টিলোপ ক্যানিয়নের এই বিশেষ অংশটি প্রথম নজরে আসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের এক ফটোগ্রাফারের। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, পাথরের ফাঁক দিয়ে আকাশের যে অংশটি দেখা যাচ্ছে সেটি একটি সমুদ্রঘোড়া বা Sea-horse এর আকৃতি নিয়েছে। প্রকৃতির নিপুণ শিল্পের এরকম বেশ কয়েকটি নিদর্শন লোয়ার অ্যান্টিলোপ ক্যানিয়নে রয়েছে। সি হর্স এগুলির মধ্যে সেরা।
ওয়াশিংটন ডিসি’র লিঙ্কন মেমোরিয়াল টাওয়ার। আব্রাহাম লিঙ্কনের স্মরণে।
সারনকোটের সুন্দর
সুব্রত চক্রবর্তী
নেপালের পোখরায় অবস্থিত সারনকোট। সারঙ্গকোট পাহাড়ের কাছে অবস্থিত গ্রামটির সৌন্দর্য বর্ণনায় ফুটিয়ে তোলা যায় না। ছবিতে ধরা দিয়েছেন শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা।
নীলগিরি থেকে নাফ
জাহিদুর রহমান
দু’টোই বাংলাদেশে অবস্থিত। নীলগিরি বান্দারবান জেলায়। সর্বদা মেঘে ঢাকা নীলগিরি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এই এটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলে।
নাফ নদী বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত। নদীর অপর দিকে মায়ানমার। রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গে নাফ নদীর কথা মাঝে মাঝে আন্তর্জাতিক খবরে উঠে আসে। কিন্তু এখানকার প্রকৃতির অতুলনীয়।
আমেরিকার স্মারক
রাখী নাথ কর্মকার
ইউ এস ক্যাপিটলের শুভ্র গম্বুজের গা বেয়ে ঠিকরে পড়ছে ঝলমলে সকালের কুহকিনী আলো ।১৭৯৩ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ক্যাপিটল হিলের ওপর এই প্রবাদপ্রতিম অট্টালিকাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মূলভবনটির নির্মাণকার্য শেষ হয় ১৮২৬ সালে ।যদিও তারপরেও বহুবিধ সম্প্রসারণ , সংস্কারকারসাধন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্যাপিটলের উৎকর্ষসাধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত।১৯ শতাব্দীর অনিন্দ্যসুন্দর ‘নিওক্ল্যাসিকাল’ স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত প্রায় ৭৫১ ফুট দীর্ঘ , ৩৫০ফুট প্রশস্ত এবং ২৮৮ফুট উঁচু চিত্তাকর্ষক ইমারতের বরফসাদা গম্বুজের ওপর শোভা পাচ্ছে ব্রোঞ্জের ‘স্ট্যাচু অফ ফ্রিডম’ যেটি ১৮৬৩ সালে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল ।আমেরিকার ‘ফাউন্ডিং ফাদার’দের আদর্শের মূর্ত প্রতীক এই ইউ এস ক্যাপিটল বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমান্বিত অট্টালিকা ।
আপার নিউ ইয়র্ক উপসাগরের প্রাণচঞ্চলতা জুড়ে জেগে থাকা এক টুকরো প্রস্তরাকীর্ণ দ্বী্পে অধিষ্ঠিত মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি যা’ আসলে বন্ধুরাষ্ট্র ফ্রান্সের তরফ থেকে বন্ধুত্বের প্রতীকস্বরূপ এক অনন্য উপহার যা ১৮৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতার শতবর্ষ উপলক্ষে তার ঠিক দশ বছর পরে অর্থাৎ ১৮৮৬ সালে ফ্রান্স তুলে দিয়েছিল আমেরিকার হাতে এবং যা পরে আমেরিকার জাতীয় সৌধ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। রোমান স্বাধীনতার দেবী ‘লিবার্টাসে’র আদলে তৈরী এই দেবীরও পরনে ভারী, ঢোলা পোশাক । ফরাসি ভাস্কর ফ্রেডেরিক অগস্ত বারথোল্ডির তৈরী এই ‘লিবার্টি এনলাইটেনিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ পেডিস্ট্যল থেকে ১৫১ফুট উঁচু,যার পায়ের তলায় পড়ে রয়েছে ভাঙা শিকল যা আসলে মুক্তির জয়গান গেয়ে চলেছে। স্বাধীনতার প্রতীক এই ‘লিবার্টি এনলাইটেনিং দ্য ওয়ার্ল্ড’ সাদরে স্বাগত জানিয়েছিল ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি সেইসব বহিরাগতদের যারা ১৮৯২থেকে ১৯৫৪ সালের মধ্যে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় আমেরিকায় প্রবেশ করেছিল ।
তরুন আর আমস্টারডাম
মঞ্জুশ্রী মণ্ডল
তরুন। পোল্যান্ডের পুরনো শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। গথিক স্থাপত্যে নির্মিত প্রাসাদোপন নির্মাণ ছড়িয়ে রয়েছে শহর জুড়ে। নীচের ছবিটি শহরেরই একটি হ্রদ। শহরবাসী জলের অপচয় জানেন না। বৃষ্টির বা বরফ গলা উদ্বৃত্ত জল জমিয়ে ওঁরা জলাশয় তৈরি করেন। আমাদের পুকুরের মতো অনেকটা। তবে তার নিয়মিত পরিচর্চাও চলে।
আমস্টারডাম সেন্ট্রাল নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। ডাচদের এই দেশে ঘুরতে হলে এখান থেকে শুরু করাই ভাল। শহর জুড়ে প্রচুর ক্যানেল।
অন্যতম জলপথও। শহরের বিভিন্ন অংশকে জুড়ছে এই ক্যানেলগুলি। ক্যানেলে নৌকাবিহার করা যায়। শহরে ঘুরতে গেলে চোখে পড়বে প্রচুর সাইকেল আরোহীর। শহরের প্রাণকেন্দ্রে কিশোর থেকে মাঝবয়সী সাইক্লিস্টদের ভিড় বেশ ভাল লাগে।
বেলজিয়ামের বরফ
সাজ্জাদুল ইসলাম নয়ন
ছুটি কাটালাম বেলজিয়ামে। স্পষ্ট করে বললে, আরদেনা শহরে। জায়গাটা বেলজিয়াম-জার্মানির সীমান্তে। পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে বেশ নাম এর।
আরেকটা কথা বলতে ভুলে যাচ্ছিলাম। শহরটা শীতকালীন স্পোর্টসের জন্য বিখ্যাত। বিশেষ করে স্কিয়িং।
কভারের ছবি- আমস্টারডাম শহরের ক্যানেল
ছবি— মঞ্জুশ্রী মণ্ডল
(সমাপ্ত)