অন্য সফর বিশেষ ভ্রমণ

প্রবাসের পুজো— অ্যারিজোনায় উমা

স্বরূপ দে

আমেরিকার অ্যারিজোনা প্রদেশে ‘বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যারিজোনা’র সদস্যদের আয়োজনে দুর্গাপুজো হল। বঙ্গে দেবী কৈলাসে ফিরে গিয়েছেন সপ্তাহখানেক। কিন্তু আমাদের এখানে সময়সুযোগের পুজো। এবার অর্থাৎ ২০১৮ সালের পুজো হল ২৬-২৮ অক্টোবর। শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে রবিবার রাত ৭টা পর্যন্ত।

সেলফি সময়।

আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। কলকাতা থেকে গিয়েছিল বাংলা গানের দল ‘দোহার’। শনিবার রাতে তাদের গান মাতিয়ে দিল দর্শকদের।

দোহারের সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশন।

মা দেরিতে এলেও আয়োজনের কোনও ত্রুটি ছিল না। সব রীতি রেওয়াজ মেনেই আয়োজন।

উমা বন্দনার উপাচার।

পুষ্পাঞ্জলি, দেবী বন্দনায় ভক্ত এবং পুরোহিত।

চলছে পুজো।

সারা বছর জিনস-টপ-ব্লেজারে সজ্জিত মহোদয়ারাও বঙ্গ রমণী সেজে ওঠেন সপ্তাহ শেষের এই একটি উৎসবে।

দেবীবরণ চলছে।

উমা বিদায়বেলায় চলল সিঁদুর খেলাও।

সিঁদুর খেলার মুহূর্ত।

রয়েছে কড়া অগ্নিবিধি। তাই ধুনুচি রাখা নিষেধ। কাজেই ধূপকাঠি নিয়ে চলল ধুনুচি নাচ।

ধূপ বা ধুনুচি নাচ।

ঢাকি কোথায় পাওয়া যাবে? তাই একদিনের জন্য বিকার, টেস্টটিউব, মাইক্রোস্কোপ ছেড়ে ঢাকের কাঠি হাতে নেওয়া।

লেখক যখন ঢাকি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ধকল অনেক গেল। এবার ভূরিভোজের পালা। একেবারে বাঙালি খাওয়াদাওয়া। ভাত, মুগের ডাল, আলু-কপির তরকারি, বেগুন ভাজা, মাছের মুড়ো দিয়ে ঘণ্ট, মাছের কালিয়া, চাটনি, পাপড় ভাজা, মিষ্টি, পায়েস। তৃপ্তি করে খাওয়া হল মধ্যাহ্নভোজ।

এস বসো মধ্যাহ্নভোজে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এবার মায়ের বিসর্জনের পালা। তবে নদী, খাল, বিল বা জলাশয়ে নয়। বিশেষ ভাবে তৈরি বক্সে। পরের বছর আবার ঝেড়ে পুঁছে এই মাকেই বরণ করা হবে। মোটামুটি ৪-৫ বছর একই প্রতিমা থাকে।

প্রতিমা নিরঞ্জন।

আসছে বছর আবার হবে।

লেখক আমেরিকার অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক।

ছবি লেখকের সৌজন্যে।

(সমাপ্ত)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *