দীপক দাস
শেষ পর্যন্ত ক্ষীণ কণ্ঠে আর্তনাদ সেরে টোটো দেহ রাখল।
যান যন্ত্রণা কাকে বলে! সে যাঁরা হাওড়া-শিয়ালদা আর ক্যানিং স্ট্রিট দিয়ে রোজ যাতায়াত করেন তাঁরা ভালই জানেন। এর সঙ্গে আমাদের এই ঝাড়গ্রাম সফরকেও জুড়ে নেবেন দয়া করে। সেই একদম শুরু থেকে চলছে। ভোর চারটের সময়ে ছোট ভাই বাইকে করে বড়গাছিয়া স্টেশনে দিয়ে আসতে গিয়েছিল। ভাইকে ঘুম থেকে তোলা হয়েছে। তার ওপর আমি আর বাবলা চেপেছে। টাল সামলাতে না পেরে হ্যান্ডল ঘুরে গিয়ে বাবলার ব্যাগ একটা গাছে ঘষে গেল। ব্যাগ না থাকলে বাবলার পা ঘষে যেত। বড়গাছিয়ায় গিয়ে দেখি, প্রথম ট্রেনটাই বাতিল। সপ্তমী বলে। তারপর লোক হয়নি বলে মেমুর গ্যালপিং থেকে লোকাল হওয়া। এখন টোটো কোম্পানি সোজা কোমায় চলে গেল।
জায়গাটার নাম বামুনডিহা। যেখানে টোটো চলা থামাল তার কাছেই একটা পুজো হচ্ছে। সে হোক। টোটোর কী হবে? চালক আশ্বাস দিলেন, এখানে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। আধ ঘণ্টা চার্জ দিলেই আমরা বেলপাহাড়ি ফিরতে পারব। আধ ঘণ্টা তো কোনও ব্যাপারই নয়। ঘুরে ফিরে কাটিয়ে দেব। পাড়াটা একটু দেখে নেওয়া যাবে এই ফাঁকে। টোটোওয়ালা চলে গেলেন। আমরা পাড়া ঘুরতে বেরোলাম।
পুজোটা মোটামুটি ধরনের। মণ্ডপের সামনে উপাচারের পসরা সাজানো। ফলমূল, নারকেল আর প্রচুর সাদা বাতাসা। আমাদের টানতে পারে এমন কিছু নেই। মণ্ডপের আলোর বৃত্ত ছাড়িয়ে পাড়ায় ঢোকা গেল। পাড়ার মোড়ে একটা দোকান। কাচের বাক্সে ফুচকা। খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু দোকানদার জানালেন, এখন বিক্রি হবে না। এ সবই স্কুলের সামনে বিক্রির জন্য। পুজোর সময়ে স্কুল খোলা থাকে? কে জানে বাবা! দোকান থেকে লজেন্স কেনা হল। পালস। এখন নাকি সবচেয়ে বেশি বিক্রির লজেন্স। এত দূরে! বাণিজ্যের কী অবাধ গতি! দেখেশুনে এক সিরিয়ালের কেন্দ্রীয় চরিত্রের মতো বলতে ইচ্ছে হল, ‘বাবা পালস, তুমি এখানেও এয়েচো!’
এক ঝালমুড়িওলার থেকে মুড়ি কিনে খেতে খেতে পাড়া বেড়াচ্ছিলাম। আলো-ছায়ার খেলাময় পাড়া। বর্ণনা করার কিছু নেই। যাঁরা জঙ্গলময় এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করেন তাঁরা জানেন। পাড়ায় শুধু দু’টো জিনিস আমাদের অবাক করেছিল। প্রথমটা, এক ফুচকাওয়ালা। কাচের শোকেসে নয়। এখানে ফুচকা বিক্রি হচ্ছে স্টিলের বড় ড্রামে। এক ড্রাম থেকে ফুচকা, আরেক ড্রাম থেকে জল, ব্যাগ থেকে মশলা বের করলেন বিক্রেতা। তারপর ফুচকাগুলো ড্রামের ঢাকনিতে সাজালেন। মশলা ভরলেন। ড্রামের তেঁতুল জলে ডোবালেন, তারপর কাঁচা শালপাতায় পরিবেশন। ভালই লাগল। দ্বিতীয় দৃশ্য, একটা লোককে দেখলুম জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকে গেলেন। বিস্মিত হয়েছিলুম। একটু জোরেই বলে ফেলেছিলুম, ‘লোকটা জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকে গেল রে!’ দলের সবাই ফিসফিস করে বলল, আস্তে আস্তে। ‘ওটা জানলা নয় দরজা। আকারে একটু ছোট।’ যে লোকটি ঘরে ঢুকেছিলেন তিনি আর তাঁর স্ত্রী আমাদের দিকে অবাক চোখে তাকিয়েছিলেন।
পাড়া ঘুরে আবার মণ্ডপের সামনে। আধ ঘণ্টার বেশি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু টোটোচালক কোথায়? আর কত ঘুরে বেড়াব! এবার তো লোকে আমাদের ঘুরে ঘুরে দেখছেন। এমন অজ পাড়া গাঁয়ে মাথায় স্টাইল করে রুমাল বেঁধে, গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে কারা এঁরা? সন্দেহের চোখেই তাকাচ্ছেন সকলে। আমাদেরও একটু অস্বস্তি হচ্ছিল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ঘুরে ফিরে, একে অপরের পা টানাটানি করে সময়টা কাটানো গেল।…
বেলপাহাড়ি ফিরতে সাড়ে আটটা বেজে গেল। টোটোচালক অমল নন্দীর বাড়ি পাশের গ্রাম গন্ডাপালে। একটা পুজো হচ্ছে। আমাদের নিয়ে গেলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, আলোর ঝলকানিও রয়েছে। কিন্তু সপ্তমীর রাতেও মণ্ডপের কাজ চলছে। গলায় ক্যামেরা ঝোলানো দর্শনার্থীদের দেখে কর্মকর্তারাদের কেউ কেউ একটু সংকোচেই পড়ে গেলেন।
রাতের খাবারটা তেমন জমল না। সকলের ইচ্ছে ছিল, দেশি মুরগির। তা-ই দিয়েছেন। কিন্তু সে মুরগি নিশ্চয় নাবালক ছিল। বাবলা তো বলল, ডাকপাখিও হতে পারে। মুরগির গলাটা কড়ে আঙুলের মতো সরু। সকাল দেখে দিন বোঝা যায়। আমরা রাত দেখে দিন বুঝতে পারলাম।
সকাল হতেই আবার যান যন্ত্রণা। সব গাড়ি ভাড়ায় চলে গিয়েছে। বেলপাহাড়িতে গাড়ির আকাল। গাড়ি পেতেও নাকাল। একটা গাড়ি ছিল। সে-ও সুযোগ বুঝে বিশাল ভাও। মারুতি ভ্যানের চালক হাঁকলেন দু’হাজার টাকা। পাগল! আমরা গোটা জয়পুরের জঙ্গল চষেছি ইঞ্জিন ভ্যানে। অটোয় ঘাটশিলা, বুরুডি, গালুডি। আমাদের থেকে টাকা আদায় অত সোজা নয়। চালক নাছোড়। আমরা একবগ্গা। দরাদরিতে আমাদের একটাই লাভ, জ্ঞান। নতুন এক ভাড়ার পদ্ধতির কথা জানা গেল। ড্রাই পদ্ধতি। চালককে থোক ৯০০ টাকা দিতে হবে। আর বাকিটা প্রতি কিলোমিটার পিছু ১০ টাকা। হিসেবে দেখা গেল ওই ২০০০ টাকাই পড়বে। গাড়ি খোঁজার মরিয়া ভাবে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা চকের সকলে আমাদের চিনে গেলেন। অনেক সাহায্যকারী জড়ো হয়ে গেলেন। একটা গাড়ি মিলল। কিন্তু সেই গাড়ি আবার পাঁচ কিলোমিটার দূরে বালিচুয়ায় রয়েছে। আমাদের সেখানে গিয়ে গাড়ি ধরতে হবে। বাতিল হল সেটিও। শেষে মিলল আমাদের সেই গরিব রথ। ছোটা হাতি। ১৩০০ টাকা ভাড়া।
ছোটা হাতি তো ভাড়া করা হল। কিন্তু আমাদের দলের দাঁতাল গেল ক্ষেপে। ম্যাটাডর করে সে যাবে না। সফরের প্রতি পর্বে সে পোশাক পাল্টায়! খোলা গাড়িতে গেলে মান থাকবে না। ধুলোয় চুলও নষ্ট হতে পারে। ওকে কেবিনে পুরে দিলুম। আর আমরা বসলুম ছোটা হাতির খোলা পিঠে। হাত-পা ছড়িয়ে। গাড়ি ছুটল আমঝর্না, ঢাঙ্গিকুসুম, হদহদির দিকে।
ঘেরাটোপ থাকা গাড়িতে গেলে কোনও এলাকার এক পাশের সৌন্দর্য দেখা যায়। কিন্তু হুড খোলা গরিব রথে আমরা চারপাশেই নজর রাখতে পারছিলুম। আনন্দে দীপু তো ইয়া হু করে আওয়াজ দিল। কী দেখলাম? শেষ হতে না চাওয়া সৌন্দর্য আর প্রচুর জীবনের টুকরো। দিন তখন সাত সকাল গড়িয়ে আট সকাল। অল্প শীতের আমেজ। সূর্যের আলোটা বেশ মিষ্টি লাগছিল। কাছে জঙ্গল, দূরে পাহাড়ের মাথা। দু’টোই ঘন সবুজ। রাস্তার পাশের জমিতে হাল বলদ নিয়ে চাষ করছেন কেউ। দু’একটা সাইকেল আরোহী কোনও কাজে চলেছেন। গাড়ি হুশ করে তাঁদের পার হয়ে যাচ্ছে। এক জায়গায় এক তরুণকে দেখলুম, আম পাড়ার জালতির মতো কিছু একটা নিয়ে চলেছে। তবে এই জালতি তৈরি মশারির মতো ছোট ছিদ্রের কিছু দিয়ে। এটা কুরকুট ঝাড়ার অস্ত্র। কুরকুট মানে পিঁপড়ের ডিম। জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের খাওয়ার এবং রোজগারের অন্যতম উপায় কুরকুট ঝাড়া। জীবিকার অভিজ্ঞতা থেকে জানি, এই কুরকুট মাত্র ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে যায় ফড়েরা। আর শহরে মাছ ধরিয়েদের কাছে সেগুলো বিক্রি হয় ১২০০-১৫০০০ টাকা কেজি দরে। মধ্যসত্ত্বভোগীরা চিরকালই সুবিধেজনক অবস্থায় থাকে।
কোথাও সন্তান কাঁখে নিয়ে কোনও গাছের ডাল দিয়ে দাঁত মাঝছেন মা। এক জায়গায় দেখলুম, রাস্তার পাশের বাড়ির সামনে গুটিকয়েক বাচ্চা বসে আছে। কেউ আনমনে খেলছে। কেউ গাড়ি দেখছে। এক জায়গায় দেখলাম, একটা বাচ্চা উপুড় হয়ে বসে ভাত খাচ্ছে। পান্তা ভাত। এক ঝলক দেখেই বোঝা গেল সেই ভাত সাদা ফ্যাটফ্যাটে। কোনও তরকারির বালাই নেই। মোবাইল ঘড়িতে তখন সাড়ে আটটা বাজে।…
চলতে চলতে এক সময়ে নজরে এল এলাকার পরিচয় দেওয়া আধুনিক নামফলক। তাতে লেখা আমলাশোল। এক ভয়ঙ্কর ইতিহাসের সাক্ষী। আমরা থামিনি। থামতে ইচ্ছে করেনি। কেন নামব? এখানে কটা লোক না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছিল বলে? আর আমরা প্রকৃতি দেখতে এসে সেই লজ্জাজনক ইতিহাস বয়ে চলা গ্রামের ছবি তুলব? সে যে জালিয়ানওয়ালা বাগে গিয়ে সেলফি তোলার সামিল হবে! গাড়ি গিয়ে থামল একেবারে জঙ্গলে গিয়ে। আমঝর্না পেরিয়ে এসেছি। কাছের গ্রামটাও। ইচ্ছে ছোটা হাতি নিয়ে এই জঙ্গলের ভিতরে সাফারি করার। কিন্তু দু’ধার থেকে জঙ্গল ঝাঁপানো রাস্তাটা শুঁড়িপথের মতো। বড্ড সরু। ঢুকে যদি গাড়ি ঘোরানো না যায়? কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে একটা বাইক এল। দু’জন আরোহী তাতে। তাঁদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেল, কিছুটা গেলেই ঝাঁটিঝর্না নামে একটা গ্রাম আছে। সেখানে ময়ূরও আছে। রাস্তায় গাড়ি যাবে। আর জঙ্গলে হাতি নেই।
জঙ্গলে ঢুকল আমাদের ছোটা হাতি। রোমাঞ্চে তখন আমরা দাঁড়িয়ে পড়েছি। রাস্তা বটে একখানা। গর্ত, সরু, এবড়োখেবড়ো। গাড়ি টাল খাচ্ছে, আমরাও কাত হচ্ছি। রাস্তার উপর ঝুঁকে পড়া গাছের ডালের ঝাপটা থেকে বাঁচতে মাথা নিচু করছি। কিন্তু এগিয়ে চলেছি। নিঝুম জঙ্গলে শুধু আমাদের গাড়ির ইঞ্জিনের আওয়াজ। তিন-চার কিলোমিটার যাওয়ার পরে একটা বাড়ি পড়ল। খোকন সিংয়ের বাড়ি। ওর বউটা উঠোনে বসে বাবুই ঘাসের দড়ি পাকাচ্ছিল। মায়ের দু’পাশ থেকে দু’টো বাচ্চা উঁকি মারছে। খোকন ঘরের চৌকাঠে বসে খৈনি মুলছে। পটাপট ছবি তুললাম। গরিবি আর লড়াই চিরকাল ভাল বিক্রি হয়।
কিন্তু ময়ূর। খোকন সিংয়ের একটা বাড়ি নিয়েই পাড়া। দু’টো বাচ্চা ছেলে মেয়ে ছাগল চরাতে যাচ্ছিল জঙ্গলে। তাদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেল আরেকটু যেতে হবে। ঝাঁটিঝর্না আসলে ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়গ্রাম ছেড়ে জঙ্গল দিয়ে ঝাড়খণ্ডে এসে পৌঁছেছি। গ্রামের কেউ কেউ জঙ্গল থেকে ময়ূরের ডিম কুড়িয়ে এনে মুরগির তায়ে ফুটিয়েছেন। তিনটে ময়ূর আছে গ্রামে। দু’টো কোথায় ঘুরতে গিয়েছে। একটা আছে পাড়ায়। ইন্দ্র আর দীপু উঁকিঝুকি দিয়ে কলা আর কচু বনে লুকিয়ে থাকা ময়ূরের ছবি তুলে আনল। আমাদের বাড়াবাড়িতে বিরক্ত হচ্ছিল ময়ূরটা। উড়ে গেল। আমরাও ফিরে এলাম। দুই মহিলা একপাল ছাগল নিয়ে চরাতে বেরিয়েছেন। দেখলাম কোনও কোনও ছাগলের গলায় ঘণ্টা বাঁধা। জানা গেল, দলের পাণ্ডার গলায় ঘণ্টা বাঁধা। বাকি ছাগল দলের মোড়লেরই পোঁ ধরে। ওর পিছু পিছু সব ছাগল যদি জঙ্গলে ঢোকে তাহলে হাতিতে মারতে পারে। বা গোটা দলটাই হারিয়ে যেতে পারে। ছাগলের পাল কোথায় আছে বোঝার জন্যই ঘণ্টা। রাস্তার পাশে এক জায়গায় একটা মূর্তি চোখে পড়ল। তির ধনুক হাতে। উনি চুয়াড় বিদ্রোহের নেতা অচল সিংহের অন্যতম সহযোগী। ইংরেজরা তাঁকে বেড়াদা শিবিরে ফাঁসি দেয়।
ফেরার সময়ে আমঝর্নার সেই ঝিলের ধারে থেমেছিলাম। কেমন রূপ আমঝর্নার? ধরুন আপনি পুকুরে চান করেন রোজ। আর সেই পুকুরে পাহাড়ের ছায়া পড়ে। আবার সেই পুকুরে যদি শালুক ফুটে থাকে? সেই পাহাড়টা যদি ন্যাড়া না হয়ে ঘন সবুজ হয়? কেমন লাগবে আপনার? মুখ আপনাআপনি ওয়াও শব্দটা বেরিয়ে আসবে। আমাদেরও এসেছিল। ঝিলের উল্টোদিকটাও অসাধারণ। সবুজ আদিগন্ত ধানের খেত। অনেক দূরে সেই খেত শেষ হচ্ছে জঙ্গল আর পাহাড়ের পা ছুঁয়ে। ছবি ছবি আর ছবি।
এরপর দ্রুত ফেরার পালা। ফেরার পথে ঢুকেছিলাম নব মিস্ত্রির বাড়ি। পাথর কেটে নানা কারুকাজ করেন। কী যে সেই অধ্যাবসায় না দেখলে বোঝা যায় না। আমরা কিনলাম কিছু স্মারক।
কী দেখলাম আমঝর্নায়? দেখলাম, প্রকৃতি এখানে হাসছে। সে চাঁদের হাসির থেকেও বাঁধ ভাঙা। কিন্তু প্রকৃতির সন্তানেরা? পথে একটা শবর পাড়ায় থমকে ছিলাম। ভাঙাচোরা বাড়ি। অনেক শিশু। তাদের চেহারা দেখলে আর কিছুই বলার দরকার পড়ে না। কিন্তু দেওয়াল লিখন স্পষ্ট পড়া যায়। দীপু দেখাল। আর ইন্দ্র ছবি তুলল, ‘২ টাকা কেজি দরে চাল যদি পেতে চাও আজেবাজে বাদ দাও’। দিলেই কি হাসির শব্দ শোনা যাবে অরণ্যের অন্ধকার থেকে? উত্তরে থাকি মৌন।
ছবি— ইন্দ্রজিৎ সাউ এবং দীপশেখর দাস
(শেষ)