১। ছবি তিনটি পাঠিয়েছিলেন শঙ্খদীপ ভট্টাচার্য। বর্ধমানের কোনও গ্রামের ছবি। এবং বাংলার প্রকৃত মুখ এই ছবিগুলোই।
ধান সিদ্ধ করছেন গ্রামের বধূ। এই ছবি আগে গ্রামে চাষি পরিবারগুলোর ঘরে ঘরে দেখা যেত। অনেকে চালকে করে জীবিকা নির্বাহও করতেন। ধান থেকে চাল তৈরির পদ্ধতিকে চালকে বলা হত। এখনও কোনও কোনও গ্রামে দেখা যায় ধান সিদ্ধের ছবি।
ঘুঁটে দেওয়া দেওয়াল। ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’তে রানি রাজপ্রাসাদের দেওয়ালে ঘুঁটে দিতেন। তবে প্রান্তিক জেলাগুলোতে এখনও গরু অন্যতম সম্পদ। ঘুঁটে জ্বালানির উৎস। আর সরলতা মাখা গ্রাম্যবধূ। রবীন্দ্রনাথ ‘বুকভরা মধু বঙ্গের বধূ’।
‘ধানের ক্ষেত্রে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরির খেলা’ তো এই শিশুদের জন্যই।
২। এই বাংলার আরেক রূপ। নাগরিক রূপ। রাজধানী কলকাতার মুখ। ঝকঝকে। ছবি তুলেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে সতু।
রাতের কলকাতা। কত রঙা স্বপ্ন আঁকা।
পরী ঘোরা ভিক্টোরিয়া। রাতে কত মায়াবী।
৩। একবার বেগুনকোদর যাওয়া হয়েছিল। ভূতুড়ে স্টেশন হিসেবে তখন বেশ দুর্নাম স্টেশনটার। খোঁজখবর করতেই যাওয়া। ও বাবা। ভূতের খোঁজ করব কী! স্টেশনের রূপ দেখেই আমরা মুগ্ধ। সেই রূপ দেখেই আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, এত সুন্দর জায়গায় আর যা-ই থাকুক ভূত থাকতে পারে না।
বেগুনকোদর পুরুলিয়ায়। স্টেশন থেকে দূরে শৈলশিখর।
স্টেশনের রূপ।
৪। ইতিহাসের বাংলা।
গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা কত বিশাল বিশাল বাড়ি। কোনও জমিদার বাড়ি। কোনওটা রাজার। কোনওটা রাজার পুরোহিতের।
এক সময়ে বাংলার বহু জায়গায় চলত ন্যারো গেজ লাইনের ট্রেন। চলতি কথায়, ছোট লাইনের ট্রেন। পুরুলিয়া স্টেশনের বাইরে সেই ট্রেনের ইঞ্জিন।
৫। বাংলা থাকবে, বাঙালি থাকবে আর ফুটবল থাকবে না। তা কি কখনও সম্ভব!
কভারের ছবি- পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরাই স্টেশনের কাছে। ট্রেন থেকে তোলা।
(চলবে)