এই পর্বটিকে অনায়াসে জীবন-ছবি পর্ব বলা যেতে পারে। ঘোরাফেরার ফাঁকে বাংলার জীবনের যেসব টুকরো চোখে পড়েছিল, তারই কোলাজ এই পর্ব।
১। হুগলি জেলার রাজহাটের আমবাগানে বনভোজনে গিয়েছিলাম আমরা। রাজহাট ময়ূরের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু গ্রামটার প্রকৃতি অসাধারণ। আমবাগান, বাঁশঝাড়, মানুষজন।
গ্রামের এক গৃহস্থের বাড়ি ধানের মরাই।
গ্রামের এক রাস্তা। ছায়ার ঘোমটা মুখে টানা।
২। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থেকে আমঝর্নার দিকে যাওয়ার পথে দেখা হয়েছিল একঝলক। কুরকুট ছাড়তে চলেছে এক যুবক। কুরকুট মানে পিঁপড়ে। পিঁপড়ের আর তার ডিম জঙ্গলমহলের মানুষগুলোর জীবনধারণের অন্যতম উপায়।
৩। বর্ষায় ভরে ওঠে খালবিল। মাঠঘাট। দেখা যায় কিছুজনকে। মাছ ধরতে নেমেছে বর্ষার জলে।
৪। জঙ্গলেই জীবন।
সক্কালবেলা দেখা হয়েছিল দলটার সঙ্গে। শালপাতা, জ্বালানি কুড়োতে জঙ্গলে ঢুকেছেন। জয়পুরের জঙ্গলে।
অযোধ্যা পাহাড়ের কচিরা। জঙ্গল থেকে কাঠ নিয়ে ফিরছে। পরনে ইস্কুল থেকে পাওয়া জামা।
মুরগুমা থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে যেতে। পথের পাশে দেখেছিলেম তাঁর ঘরখানি।
৫। লে চল পার…ওরে মাঝি…
গুপ্তিপাড়ায় গঙ্গার পারে। ওপারে নদিয়া।
হাওয়া জেলার জয়নগরের খিলা নামে একটি জায়গা। দামোদর নদীতে পারাপার চলে দড়ি ধরে।
কভারের ছবি- চাঁপাডাঙা পেরিয়ে দামোদর।
(সমাপ্ত)