যথা ইচ্ছা তথা যা
ভর বাদর মাহ ভাদর এবার হয়নি। ছেঁড়া ছেঁড়া ক্ষণিকের মেঘ। স্থানীয় বৃষ্টি। তবুও কবি-প্রিয় বরিষণমুখর ক্ষণে জন্ম হয়েছে কত ছবির। তা নিয়েই আজকের বর্ষা-সফর।
মুহূর্তের কথা যখন উঠল তখন বৃষ্টিতে জন্ম নেওয়া দৃশ্যের কথাই হোক। শুভ বৈদ্য এবং দীপশেখর দাস দুই বন্ধু। প্রথমজনের ছবি তোলায় পাকা হাত। এক একটা ক্লিকে অবিস্মরণীয় সব ছবি তুলে আমাদের বিভিন্ন সফরকে সজীব করেছে। দীপশেখর পরে এসেছে ফটোগ্রাফিতে। কিন্তু সে-ও কম যাচ্ছে না ছবি তোলায়। তাদের কয়েকটি ছবি।
নীচের ছবিটি দেখুন। ছোট্ট মেয়েটি বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাচ্ছে না ফোন?
কাকভেজা কথাটার উৎপত্তি কেন হয়েছে, এই ছবিটা থেকে বুঝতে পারবেন।
রবিশঙ্কর দত্তের চোখ দু’টো বড়ই সংবেদনশীল। তিনি দেখেন এবং লেখেন। আবার ছবিও তোলেন।
তাঁর মোবাইল ক্যামেরায় শহরের জলছবি।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছিল ইন্দ্রজিৎ সাউ। লালবাগের হোটেল আশ্রয়। হোটেলের জানলা আর বারান্দা থেকেই তুলেছে বর্ষার ভাগীরথীর রূপ।
সেই সঙ্গে ভাগীরথীকে কেন্দ্র করে কেমন চলে রোজকারের জীবন তা-ও ধরা পড়েছে তার ক্যামেরায়।
সৌগত পাল মালগাড়িতে ছুটে চলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। ছুটে চলার মুহূর্তে তার মোবাইলেও ধরা পড়ে প্রকৃতি।
ট্রেন থেকে তোলা ডুবে যাওয়া জমিজমা।
মালদা-মুর্শিদাবাদের সংযোগকারী সেতু থেকে কেমন লাগে গঙ্গা?
সৌগত পালের মতো দেবকুমার দাসও ছুটে চলেন। তবে ট্রেনে নয়। বাসে। তার ফাঁকেই ক্যামেরায় ছবিওয়ালা। কলকাতার চেনা ছবি। জল থইথই।
উত্তর ২৪ পরগনার চৈতল ঘাটে তোলা।
বৃষ্টিতে ঝাপসা গঙ্গা নদী আর নৌকা। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে তোলা।
শেষে জীবনানন্দ দাশের বাংলা। যেখানে অবন ঠাকুরের সুবচনীর হাঁসেরা চরে বেড়ায়।
কভারের ছবি— বীরভূমের আহমদপুর। ছবি তুলেছে সৌগত পাল
সমাপ্ত