ইতিহাস ছুঁয়ে বিশেষ ভ্রমণ

১৩ লোক দেব-দেবীর গ্রাম জয়পুরে

দীপক দাস

সীমানা ছাড়ানোর ইচ্ছে আমাদের প্রবল। তবে সে সীমানা ভৌগোলিক। স্পর্ধা, অধিকার বা অপরের সহ্যের সীমানা ভাঙার প্রবণতা নেই। ইচ্ছে ছিল, আমাদের জেলা হাওড়ার সব দিকের সীমা অতিক্রম করব। কিছুদিক হয়ে গিয়েছে। বড়গাছিয়া এবং জগৎবল্লভপুর দিয়ে হুগলি, ভাটোরা দিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাগনান-দেউলটি দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, কাজের প্রয়োজনে হাওড়া শহরে গঙ্গানদী পেরিয়ে কলকাতা— ঢুকেছি। বাকি ছিল আমতার দিক দিয়ে শেষ সীমায় যাওয়ার। জয়পুর পেরিয়ে হুগলির পলাশপাই। আগে একবার পলাশপাই গিয়েছিলাম, বাইকে। সেই ভাটোরা দিয়ে মেদিনীপুরের দাসপুর ঢোকার সময়ে। মাড়োখানা নামে বাজারের কাছেই রূপনারায়ণ মুণ্ডেশ্বরীতে শুশুক দেখেছিলাম।

এবারে পুজোর সময়ে সীমানা ছাড়ানোর ইচ্ছেটা প্রবল হল। তার একটা কারণ করোনাভাইরাস অতিমারির জন্য পুজোর সফর স্থগিত করতে হয়েছিল। কিন্তু একদম বাড়িতে বসে থাকার থেকে বেরিয়ে পড়া ভাল। তাই জয়পুর টু পলাশপাই বাছা। আলাপ আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হল, নবমীর দিনে বেরনো হবে। শুনেই গার্ডবাবু (সৌগত) বলে দিল, দুপুরে খেয়েদেয়ে বেরোব। একে বাঙালি তার উপরে বেচারা বাইরে থাকে, নবমীর মাংস-ভাতের টান রোখা মুশকিল। তাই ওর দাবি মেনে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কী করে জানব যে, আমাদের এই স্নেহ অন্য একজন দুর্বলতা হিসেবে নেবেন। তিনি ইন্দ্রজিৎ সাউ। দলের পদ হারানো ফুড মিনিস্টার। আলোচনার দিন কিছু বলেনি। বেরনোর দিন বেলায় গ্রুপে মেসেজ, ‘রান্না হয়নি। বেরোতে আড়াইটে হবে’। ওর ওই এক মেসেজে আমরা বুঝে গিয়েছিলাম ওদের বাড়ির মেনু। আজ বিরিয়ানি হয়েছে। গার্ডবাবু বলল, খুব সম্ভবত হান্ডা নামানোর সময়েই ও কিছুটা বিরিয়ানি চেখেছে। সেটা হজম করে আরও কয়েক প্লেট না ঠুসে বাড়ি থেকে বেরোবে না।

যেতে যেতে প্রকৃতির কাছে দাঁড়ানো।

বেলা একটার মধ্যে বাবলা চলে এল। দেড়টার মধ্যে গার্ডবাবু আর ওর ভাই সৌমিক। আড়াইটের মধ্যে দীপু (মিস্টার ঘাসপুস)। ইন্দ্রর দেরি হবে জেনে ও বেশ ধীরে সুস্থে নবমীর ভোজ সেরেছে। কিন্তু ইন্দ্র এল তিনটের সময়। প্রত্যেক সফরেই ঝোলায়। আর প্রতি যাত্রার আগে ঝগড়া করতেও ইচ্ছে করে না। তাই কিছু না বলেই যাত্রা শুরু করতে বললাম। আমি চাপলাম সৌগতর ভাইয়ের বাইকে। ছোটা ডন, বাবলা আমার ভাই রাজার বাইকে। দীপু একা। ইন্দ্রর বাইকে সৌগত। বাইকে চালানোর সময়ে ইন্দ্র আর রাজা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে সদা তৎপর। তাই ওদের মাঝখানে রাখা হল। সামনে সৌমিক আর আমি। শেষে রাজা আর বাবলা।

আমতা পর্যন্ত চেনা রাস্তা বলে কোনও সমস্যা হয়নি। বেতাই বন্দরের পরেও ঠিকঠাক এগিয়েছিলাম। কিন্তু আটকে গেলাম সিয়াগড়ির সেতুর কাছে। ওই জায়গাটা বড় সুন্দর। খাল পারের লালমাটির রাস্তাটা আর চারপাশের পরিবেশ বড় ভাল লাগে। বাইকগুলো ঢুকে পড়ল খালপারের লালমাটির রাস্তায়। সুন্দর পরিবেশ। খালের জলধারা, বাঁধের এপাশে প্রচুর চাষবাস। আর প্রচুর পাখি। ওপারে পাকা রাস্তা। খালের জলে শেষ বিকেলের তেজহীন সূর্যের আলো পড়ে মায়াবি পরিবেশ। দেখতে আর ছবি তুলতে অনেকটা সময় লেগে গেল। একে দেরি করে বেরিয়েছি। তার উপরে ফটোসেশন। দ্রুত গাড়ি চলল আবার। তবে পড়মড়ি করে নয়।

শ্রীধর মন্দির।

হাওড়ার সীমা টপকাব। কিন্তু জয়পুর কেন বাছলাম? ওই গ্রামটা তো একটু ভিতরে! তার জন্য দায়ী বিনয় ঘোষ। ওঁর ‘পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি’ বইয়ে পেয়েছিলাম, জয়পুর গ্রামের একটা বৈশিষ্ট্য। এখানে নাকি রাস্তার পাশে সারি সারি সমাধি মন্দির দেখা যায়। যেটা বাংলার আর কোনও গ্রামে দেখা যায় না। আমার প্রাক্তন বস, ‘যুগের খবর’ পত্রিকার প্রকাশক তুহিন হাজরার বাড়ি এই এলাকায়। ও জানাল, সমাধি মন্দিরের বিষয়টা শুধু জয়পুর নয়, ওদের সিয়াগড়ি গ্রামেও আছে। ওর কাছ থেকেই রাস্তা জেনেছিলাম ভাল করে। এ ছাড়াও কয়েকটি মন্দিরের সন্ধানও ছিল বিনয় ঘোষের বইয়ে। বিশেষ করে পাঁচু ঠাকুরের মূর্তি।

মন্দিরের কাছে এক নির্মাণ।

পুরাতত্ত্বের খোঁজ থাকুক আর নাই থাকুক, এই এলাকাটার প্রকৃতি অসাধারণ। আর চারিদিকে তাকালে বোঝা যায়, এলাকাটি একসময় জলা জায়গা ছিল। দামোদর আর অসংখ্য খাল ছিল এলাকার প্রাণ। এক সময়ে নৌপথে বাণিজ্যও হত। বেতাই বন্দর নামটি তারই প্রমাণ। চারপাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতে আর জিজ্ঞাসাবাদ করে পৌঁছনো গেল জয়পুর গ্রামে। তখন ঝুঝকো আলো। তখনও কিন্তু আমাদের লক্ষ্য, সমাধি মন্দির, শ্রীধর মন্দির আর পাঁচুঠাকুরের মূর্তি। আশপাশের লোকজন, সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ সেই অনুযায়ী করা হচ্ছিল।

জয়চণ্ডীর থান।

কিন্তু তখনও কি জানি, কী বিস্ময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে! পাকা রাস্তা ছাড়িয়ে ঢালু রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢোকার মন্দির দেখেই অবাক হয়ে গেলাম। কালু রায় আর দক্ষিণ রায়ের মন্দির। কালু রায় কে, জানা ছিল না। কালু গাজিকে জানি। আর দক্ষিণ রায় তো বাঘের দেবতা! তাঁর তো সুন্দরবনে থাকার কথা। তিনি কেন এখানে? উত্তর খুঁজতে হবে।

মহাপ্রভু মন্দির।

বাইক গিয়ে থামল শ্রীধর মন্দিরের কাছে। অসাধারণ মন্দির। টেরাকোটার কাজ মন্দিরের গায়ে। তাতে রামায়ণ, কৃষ্ণলীলার কিছু ঘটনাবলী। মন্দিরটি সুন্দর ভাবে রক্ষিত। মন্দিরটি ১৭৩৯ বা ১৭০৯ শকাব্দে তৈরি। তার মানে ইংরেজি ১৭৮৭ সাল। মন্দিরের সেবাইত পরিবারের শম্ভুনাথ দাস ও পাপিয়া দাসের সঙ্গে কথা হল কিছুক্ষণ। তাঁরা জানালেন, বছর ৬০ আগে মন্দিরটি সংস্কার করা হয়েছিল। মন্দিরের কাছেই ভাঙাচোরা একটা নির্মাণ। দোলমঞ্চ ছিল কি? শ্রীধর মন্দিরের ঢোকার পথেই একটা রাসমঞ্চ আছে। পাশে মহাপ্রভুর মন্দিরও রয়েছে।

রাসমঞ্চ।

এরই মধ্যে ছোট্ট একটা অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটল। এক ভদ্রলোক অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য রাখছিলেন আমাদের। সুবেশ তিনি। কাঁধে নস্যি রঙের ঝোলা ব্যাগ। পাপিয়া দাসই বলছিলেন, যদি কিছু জানার থাকে তাহলে ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলতে পারি আমরা। তিনি কলেজের অধ্যাপক। কথা বলতে গেলাম। তিনি অধ্যাপকসুলভ মানসিকতা নিয়ে আমাকে পড়া ধরতে শুরু করলেন। প্রথম প্রশ্ন, ‘কাকে মৌখিক ইতিহাস বলে জানেন?’ পড়া ধরলেই আমি কাত। বুঝলাম, এর সঙ্গে তর্ক করে লাভ নেই। সবজান্তা মনোভাবের পণ্ডিত। আমাদের স্বল্প জ্ঞান নিয়ে পেরে উঠব না।

পুরনো শ্রীধর মন্দির।

শ্রীধর মন্দিরের সামনে দুর্গাপুজো হচ্ছিল। তার পাশ দিয়ে গিয়ে হাজির হলাম, পঞ্চাননের মন্দিরের সামনে। মন্দিরটা বেশ উঁচুতে অবস্থিত। কয়েক ধাপ সিঁড়ি ভাঙতে হবে। মন্দিরে রয়েছেন ঘোড়ায় চড়া পঞ্চানন, জ্বরাসুর আর পাঁচু ঠাকুর। প্রত্যেকের মূর্তি আছে। কিন্তু বাংলার বেশির ভাগ গ্রামে এঁদের কোনও মূর্তি দেখা যায় না। মন্দিরের সামনের ক্লাবে দেখা হল সরল বসুর সঙ্গে। এই গ্রামের একসময়ের জমিদার বসু পরিবারের সদস্য। তিনি জানালেন, আগে মন্দিরের সামনে এক গাছতলায় পুজো পেতেন তিন দেবতা। পরে মন্দির হয়। কিন্তু এলাকাটি নিচু। বন্যার সময়ে মন্দিরে জল ঢুকে যায়। তাই মন্দিরটি উঁচু জায়গায় করা হয়েছে। জ্বরাসুর জ্বরের দেবতা। লৌকিক দেবতা অবশ্যই। দেবতার নামের মধ্যে অসুর যোগ লক্ষ করার মতো। পঞ্চানন শিবের এক নাম। আর পাঁচু ঠাকুর তো ভূত-প্রেতের দেবতা হিসেবেই পরিচিত। বাচ্চাদের অনেক সময়ে পেঁচোয় ধরে বলে লোকবিশ্বাস। এঁরা সকলেই লোকদেবতা। সরলবাবু এক আশ্চর্য তথ্য দিলেন। জয়পুর গ্রামে মোট ১৩ জন গ্রাম দেব-দেবী রয়েছেন। গ্রামে বিয়ে, অন্নপ্রাশন বা কোনও কাজ হলে এই ১৩ জন দেব-দেবীকে পুজো দিয়েই কাজ শুরু হয়। তিনি নাম বললেন গ্রাম দেবতাদের। মতিলাল, জয়চণ্ডী, পঞ্চবটী (বুঝতে পারিনি কী দেবতা), কালী রায়, বাস্তুমাতা, পঞ্চানন, বিশালাক্ষী, সিংবাহিনী, জলেশ্বর, শীতলা, যশী শীতলা, ধর্মরাজ, বুড়ো পঞ্চানন।

জয়পুরের ত্রিদেব। পঞ্চানন, জ্বরাসুর আর পাঁচু ঠাকুর।

সব দেবতার নাম ঠিক লিখেছি কিনা বুঝতে পারিনি। কারণ সেদিন আর সব দেবতার থানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। একটা নাম ভুল হওয়ার সম্ভাবনা। নোট দেখেও ঠিক করতে পারছি না। জয়পুরের প্রাচীন ধর্মরাজ মতিলাল নামে পরিচিত। বিনয় ঘোষ জানিয়েছেন। আমরা পঞ্চাননতলা থেকে চলে গিয়েছিলাম জলেশ্বর মন্দিরে। শিবমন্দির। তবে মন্দিরে একটি মূর্তি আছে কষ্টিপাথরের। সেটি বিষ্ণুমূর্তি। পাল-সেন যুগের বলেই মনে হয়। বিনয় ঘোষ বলছেন, সেন আমলের।

জলেশ্বরের মন্দিরে সেন যুগের মূর্তি।

জলেশ্বরের পাশেই আছে শীতলা মন্দির। পাকাপোক্ত, বাঁধানো। এ গ্রামের বহু মানুষ কলকাতা বা হাওড়া শহরবাসী। তাঁদের গ্রামে জায়গাজমিও আছে। ফলে মন্দিরগুলোর অবস্থা বেশ ভাল। জলেশ্বর আর শীতলা মন্দিরের মাঝে চারটি সমাধি মন্দির চোখে পড়ল। যা দেখতে এ গ্রামে আসা। এগুলো আসলে পরিবারের কেউ মারা গেলে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়। বাড়ির মেয়েরা সন্ধ্যেবেলা ধূপ, প্রদীপ দেন এই মন্দিরে।

এগুলোই সেই সমাধি মন্দির।

জলেশ্বর থেকে ফেরার মতে পেলাম লক্ষ্মী-জনার্দন মম্দির। বেশ ঝকমকে। ১১১২ বঙ্গাব্দে কালীরাম রায় এটি প্রতিষ্টা করেন। মন্দিরটি দেখলেই বোঝা যায় মাঝে সংস্কার হয়েছে। এর পরেই রয়েছে একটি কালী মন্দির। এটাই বাস্তুমাতার মন্দির। মন্দিরের গায়ে দশমহাবিদ্যার মূর্তি গাঁথা। পুরোহিত বললেন, এই জায়গায় আগে শ্মশান ছিল। তিনি প্রচলিত নানা কাহিনিও শুনিয়েছিলেন। কিন্তু সেসবে আমাদের আগ্রহ ছিল না। আমরা আরেকবার থেমেছিলাম সেই শ্রীধর মন্দিরের কাছে। এখানে বটগাছ তলায় একটি থান আছে। এটাই কি পঞ্চবটী? যেখানটায় দুর্গাপুজো হচ্ছে তার পিছনে আরেকটি পুরনো শ্রীধর মন্দির আছে। একেবারেই জরাজীর্ণ অবস্থা।

লক্ষ্মী-জনার্দনের মন্দির।

ওখান থেকে এসে থেমেছিলাম কালু রায়, দক্ষিণ রায়ের মন্দিরের সামনে। বিশাল পুরনো এক তেঁতুল গাছের নীচে মন্দিরটি। তখন মন্দিরের দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে দেখলাম মূর্তি দু’টি। কৃষ্ণবর্ণের মূর্তিটি নিশ্চয় কালু রায়ের। নীল রঙেরটি সম্ভবত দক্ষিণ রায়ের। দক্ষিণ রায়ের পরিচয় তো সকলেই জানেন। সুন্দরবনের অত্যন্ত মান্য দেবতা। তিনি বাঘের দেবতা হিসেবে পরিচিত। আর কালু রায় কুমিরের দেবতা বলে জানা যায়। সুন্দরবন অঞ্চলে দক্ষিণ রায়ের ভাই হিসেবে পরিচিত কালু রায়। অনেকে তাঁকে ছোট রায়ও বলে থাকেন। দক্ষিণ রায় বড় রায়। দক্ষিণ রায়ের বাহন বাঘ। তাই বাঘকেও বড় রায় বলা হয়।

বাস্তুমাতার মন্দির।

তবে মেদিনীপুরে কালু রায়ের প্রভাব একসময়ে ছিল। শ্রী বল্লভ ও দ্বিজ নিত্যানন্দের কালু রায়ের গীত লিখেছিলেন। মেদিনীপুরের দক্ষিণ-পশ্চিমে এই গীত প্রচলিত। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার বিভিন্ন গ্রামে কালু রায়ের পুজো হয়। কিন্তু কোনও মূর্তি নেই। গাছতলায় পাথরের মূর্তিতেই পূজিত হন। জয়পুরে মূর্তি আছে কালু রায়ের। কিন্তু এই দুই ভাই এখানে কেন? এলাকাটি জলা ছিল এক সময়ে। কুমির থাকলেও থাকতে পারে। মেদিনীপুরে, বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরে, কুমির হয়তো একসময়ে ছিল। কিছু মাস আগে তিনটি কুমিরের বাচ্চা ধরাও পড়েছিল। কিন্তু জয়পুরে বাঘ কি ছিল? কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়ে ওঠেনি। মন্দিরটি চক্রবর্তীদের। কোথায় যে বাড়ি! তখন সন্ধে গড়িয়েছে। নবমীর রাতে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই বাইকে স্টার্ট দিয়েছিলাম। আবার একদিন আসতে হবে।

দক্ষিণ রায় আর কালু রায়।

জয়পুর গ্রামটি আমাদের অবাক করেছিল। বৈষ্ণব, শাক্ত ও লৌকিক দেব-দেবীর এমন চমৎকার অবস্থান অন্য কোনও গ্রামে আছে কি? আমাদের জানা নেই।

ঋণ স্বীকার: ১। সুন্দরবনের লোকসংস্কৃতি- ডক্টর নির্মলেন্দু দাস, ২। পূজা পার্বণের উৎস কথা- পল্লব সেনগুপ্ত, ৩। ভগবানপুর ও ভূপতিনগর থানার ইতিহাস-মন্মথনাথ দাস

কভারের ছবি— শ্রীধর মন্দিরের পোড়ামাটির কাজ।

ছবি- দীপু , সৌগত আর ইন্দ্র।

(সমাপ্ত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *