সৌরভ দাস
একটা শ্যাওলারঙা টি-শার্ট আর নেভি ব্লু জিন্স পরে পেরিয়ে যাচ্ছিলাম শালের জঙ্গল। ইতিউতি পিয়াল-মহুয়া ও পলাশের শাখা প্রশাখার বিস্তার। মাটির রং লাল। রুক্ষ্ম কাঁকুড়ে। মালভূমির ঢালুতলের উতরাইয়ের রাস্তা। পিছনে পাখিপাহাড়। ওই রেঞ্জেরই নিম্নতলে মুররাবুরুর জঙ্গল। মার্চের মাঝামাঝি, বেলা আড়াইটে। ঘাড়ে, কপালে ঘাম ফুটে উঠছিল। ফলে টি-শার্টটাও যাচ্ছিল ভিজে। কিন্তু ঘামের গন্ধ ছাপিয়ে উঠছিল অস্ফুট মহুয়ার আলগা ঘ্রাণ।
এ চলার উদ্দেশ্য একটা ছিল। দিগারডি থেকে পারডি ড্যাম। সাড়ে আট কিলোমিটার। এতটা রাস্তা গিয়ে ফেরা এটুকু সময়ের মধ্যে চাপের ছিল। তাই সোজা নয়, আমি ধরেছিলাম বাঁকা রাস্তা। নিশ্চিত বোধ ছিল, এই পাহাড়-জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কোনও রাস্তা ঠিকই চলে গেছে সরোবর অবধি। কিন্তু সে রাস্তা আর যেই হোক আমি জানতাম না। তবু খুঁজতে চাইছিলাম। এবং খুঁজতে খুঁজতে এক সময় গন্তব্যের বোধ হারিয়েছিলাম। এ রকম উদ্দেশ্যহীন আধ ঘণ্টা হাঁটার পরে দু’জন কাঠুরেকে দেখতে পাই। চ্যালা করা সমান আকারের কাঠ গোল করে বেঁধে একটা শক্ত গাছের ডালের দু’দিকে বাঁকের মতো সাজিয়ে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছিল।
পাখিপাহাড়ের পরিচয় চিহ্ন।
নির্জন অরণ্যে ঘোরের মধ্যে এতক্ষণ হাঁটার পরে হঠাৎ মানুষ আবিষ্কার করে যুগপৎ ভ্যাবাচাকা ও অরণ্যের ঘনত্বের বোধ জাগে। তারাও আমার দিকে অবাক বিরক্তির দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। মোটে কয়েক পলক। তবু মনে পড়ে গেলো এ অঞ্চল এখনও মাওবাদীদের আন্ডারগ্রাউন্ড হওয়া কিছু বিচিত্র নয়। ইতিমধ্যে নাগরিক পোশাকের চাকচিক্য আমার সুদূরতার বোধকে জাগিয়ে তুলেছে। ততক্ষণে চিত্ত দে’র নির্দেশে স্থানীয় আদিবাসীর ছেনি-হাতুড়ির দাগে ন্যাড়া পাহাড়ে ফুটে ওঠা পাখিরাও দূরবর্তী। চলার রাস্তা আরও কিছুটা সঙ্কীর্ণ। স্তব্ধতা আরও কিছুটা নিবিড়। গতি শ্লথ হলেও মনের সংকোচকে এক ধাক্কায় কাটিয়ে আমি তাদের পারডি ড্যামের কথাটা জিজ্ঞেস করেই ফেলি। শেষ পর্যন্ত শুধু ‘দূর’ শব্দটাই কানে ঢুকেছিল।
এভাবে আরও মিনিট ২০ হেঁটে এক বৃদ্ধকেও ও রকমই কাঠ নিয়ে যেতে দেখে রাস্তাটা জিজ্ঞেস করায় তিনি অনেক চন্দ্রবিন্দু লাগানো শব্দে কী যে বলেন তার আক্ষরিক অনুবাদে আমি অক্ষম হলেও এটুকু বুঝেছি— দূরত্বের খাতিরেই তিনি এতখানি হাঁটতে বারণ করেছিলেন। তবুও আশা ছিল। তার চেয়েও বেশি ছিল গহনের আকর্ষণ। আমি সামনের দিকেই হাঁটছিলাম। স্তব্ধতা কমে আসছিল। দূরে কেকাডাক, আশেপাশে কোনও পোকার ঝিঁ ঝিঁ আওয়াজ। আমার বাঁ দিকে গুর্গাবুরুর রেঞ্জ উঠে গেছে। ডান দিকের খাদের গভীরতাও অনেকখানি গেছে বেড়ে। ক্রমশ পায়ে চলার রাস্তা ফুরিয়ে এল। সামনের প্রায় না-রাস্তায় অনেক শুকনো পাতার স্তূপ জমেছে—বোঝা যাচ্ছিল অন্তত কয়েক দিন এ রাস্তা কেউ মাড়ায়নি। অনেক নীচে থেকে প্রতিধ্বনিত হতে হতে কাঠ কাটার আওয়াজ আসছিল। আরও একটু এগিয়ে বাঁ দিকে স্যাঁতলাপড়া কালচে পাথরে সাদা কালিতে অপটু হাতের বাংলা বর্ণে লেখা— ‘উপরে উঠবেন না’, নীচে ডেঞ্জার সাইন। সম্ভবত ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকেই এ রকম ব্যবস্থা। এ অঞ্চলে হাতির উপদ্রব প্রচুর। অন্তত মার্চে ফুটি-ফুটি করা মহুয়ার গন্ধে অন্ধকার নামলে হাতি হানা দেয়। তাতে আশেপাশের গ্রামগুলো বিপর্যস্তও হয়। তা ছাড়া বিচিত্র সাপের আনাগোনা এ রাস্তায় নৈমিত্তিক ব্যাপার নিশ্চয়ই। তবুও কী এক আশ্চর্যের টানে আমি সামনে এগিয়েছি। এ সব ভাবনা চিন্তার প্রক্ষেপে আমার গতি তখন দ্রুতলয়ে।
কাঠের বোঝা।
হঠাৎ একটা জায়গায় এসে আমাকে থেমে যেতে হল। সামনে রাস্তা নেই। বিরাট একটা কালো পাথর যেন মাটি চিরে দাঁড়িয়ে আছে। অন্তত আমার তিন মানুষ উঁচু সে পাথর। বহুকালের শ্যাওলায় সে এখন কালো। আশপাশ অস্বাভাবিক রকমের থমথমে। স্যাৎস্যাতে। মাটিটাও নরম। চারপাশে অনেকখানি অন্ধকার। কাঠকাটার আওয়াজ কখন যে দূরে সরে গেছে খেয়াল করিনি। মোবাইল দেখে বুঝলাম প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি আমি টানা হেঁটে এসেছি। কোথাও কেউ নেই, এমনকি পাখির ডাকও স্তব্ধ। সেই প্রথম আমার ভয় হল কিঞ্চিৎ। মনে হল, এখান থেকে প্রাকৃতিক বা অতিপ্রাকৃত যে কোনও কারণে উধাও হয়ে গেলে কেউ টেরও পাবে না। কেন না, কেবল একজন ছাড়া এ মুহূর্তে আমার এইখানে থাকার অস্তিত্ব বাড়ির কাছে আর কেউই পৌঁছে দিতে পারবে না।
ভাবার চেষ্টা করছিলাম, কী কারণে এতদূরে এলাম একা একা? কেন আমি আগেই ফিরে যাইনি? হঠাৎ অপার্থিব প্রাকৃতিক শক্তি টের পাচ্ছি মনে হল। এই কালো পাথর, ওই দুর্নিবার জঙ্গুলে মায়া যেখানে এনে দাঁড় করালো—সেখানে দেশ নেই, রাজনীতি নেই, পশু-পাখি নেই, ভূত-ভবিষ্যৎ কিচ্ছু নেই। কেবল আমি—আর আমার অন্তর্গত ভয়।
সেই কালো পাথর।
মাঝে মাঝে পালাতে মন চায়। কত কারণ থাকে তার। থাকে দুঃখবোধ, সে জাত আত্মগ্লানি। যা আমার একা একা পুরুলিয়া আসার প্রধান নিয়ন্ত্রক। কেবল নিজের থেকে নিজের পালাতে চাওয়ার একটা হেস্তনেস্ত এই পাথর, এই আমি বোধ, এই ভয়।
হেস্তনেস্ত হল কিনা জানি না। কিন্তু আমি দ্রুত ফিরব বলে পিছিয়ে আসতে লাগলাম। মিনিট পাঁচেক পরে অনেকগুলো ছোট রাস্তার মধ্যে রাস্তা গুলিয়ে ওঠে। আমি ভুল রাস্তা ধরি—বোধবুদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে মনে হয়। আবার পিছিয়ে গিয়ে অন্য রাস্তা ধরি। অনিশ্চিত বোধেই তারই একটা ধরে এগোই। সে রাস্তা ফেরার হতেও পারত, নাও পারত। কিন্তু গতি ছিল দ্রুত। পায়ে আমার চটি। কোনও এক গাছের শিকড়ে পা জড়িয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ি। কনুইটা ছড়ে যায়। কেউ কোথাও নেই। গতি আমি কমাইনি। আরও পিছিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পরেই সেই কাঠকাটার আওয়াজটা পেয়ে আশ্বস্ত হই। হাঁটার গতি নরম করে কিছুক্ষণ পরে দূর থেকে যখন পাখিপাহাড়কে আবার দেখতে পাই জোরে একটা শ্বাস নিয়ে একটা গাছের গুঁড়িতে বসে পড়ি। আলো দেখতে পাই।
টের পাই–কনুইয়ে একটা চিনচিনে জ্বালা। শেষাবধি পাখিপাহাড়ের ছেনি-হাতুড়ির দাগে নীল রঙের হাইলাইটার দেওয়া ময়ূর আঁকা পাথরের ফটক পেরিয়ে আসি।
বনপথে জীবনের রসদ নিয়ে বনবাসী।
কিন্তু শাল-পিয়াল-মহুয়ার জঙ্গলের বিস্ময়বোধ, তার রহস্যে আমি তখনও মগ্ন। ঘড়ির কাঁটায় ৫টা ২০। আলো আছে—থাকবেও দীর্ঘক্ষণ। ততক্ষণে নেটওয়ার্ক ফিরে এসেছে। ম্যাপে দেখলাম ওখান থেকে মাঠা মোটে তিন কিলোমিটার। পাকা রাস্তায় হেঁটে গেলে মিনিট চল্লিশেক। তবে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে কাঁচা রাস্তা নয় কেন? নিশ্চয়ই কম সময় লাগবে—এই জ্ঞানে উঁচু-নিচু পাথুরে মাটি পেরিয়ে হাঁটছিলাম। ঘোরের মধ্যে হাঁটছিলাম। নিজের মুখোমুখি দাঁড়ানোর অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা আমাকে আরও সাহসি করে তুলেছিল যেন।
এক-এক করে পেরিয়ে যাচ্ছি পলাশের গাছ। ফুটেছে আগুনরঙা ফুল। তীক্ষ্ণ, উদ্ধত। যদিও চারিদিক লাল করে সমস্ত পলাশ ফুটতে আরো কিছুদিন বাকি। সে প্রায় মার্চের শেষাশেষি।
রুক্ষ উতরাই।
হাঁটতে হাঁটতেই পৌঁছে গেলাম মাঠার বিখ্যাত বিশাল বটগাছের নীচে। যেখানে থমথমে। হাঁটার সময়ে কিছু মহিলাকে ছাগল বা ভেড়া চড়াতে দেখলেও এখন আর কেউ কোথাও নেই। তবুও ঘড়িতে তখনও ছ’টা বাজেনি। ফলে উপরে ওঠাই যায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। যেন আমার আগুপিছু কিছু নেই, কোথাও ফেরার তাড়া নেই; সময়ের হিসেব আমার নিজেরই কাছে। এখন সেখানে বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি হলেও, তখনও, অর্থাৎ ২০২০ সালে চড়াইয়ের রাস্তা ছিলো সাংঘাতিক খারাপ। ছোটো ছোটো ভাঙা পাথরে ভরা। তা-ও খাড়াই ঢাল বেয়ে উপরে উঠলাম—শরীরটাকে বেঁকিয়ে, আশেপাশের লতা-ডাল-শিকড় আঁকড়ে। উপর থেকে নীচের শূন্য খেতজমি পাখির চোখে দেখে নিতে আরাম লাগছিল। সম্পূর্ণ উপরে উঠতে আরও বাকি ছিল—আলো পড়ে আসছিল। নির্দিষ্ট একটা ধাপে একটা বড়, রুক্ষ্ম পাথরের চাঁইয়ের উপরে শুয়ে পড়েছিলাম। উপরে নীলাভ আকাশ, সেখানে লালের ছটা লাগা মেঘ উড়ে যাচ্ছিল। পাশেই ছিল ন্যাড়া একটা শিববৃক্ষ—তার ডালে বাঁধা ছিল ছেঁড়া কাপড়। কেউ মানত করে গেছে হয়ত—হয়তো কোনও প্রেমিকযুগল! কে বলতে পারে?
হঠাৎ ঝুপ করে সন্ধে নামে—আমার হিসেবের আগে। সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি ভূখণ্ডে যে ভাবে, যে সময়ে সন্ধে নামে তার চেয়ে আগে এবং দ্রুত সন্ধে নামল কতশত-বছর-আগের পুরোনো এই জংধরা টিলার ভূগোলে। নেমে এলাম। মূল রাস্তায় কোনও গাড়ি নেই। কেউ একজন বলল শেষ বাস চলে গেছে। আমি হাঁটা লাগালাম। মোটে তিন কিলোমিটার তো—৪০ মিনিট। অন্ধকারেও বাঁ দিকের পাহাড়গুলো বিরাট দৈত্যের মতো লাগছিল। এক জায়গায় রাস্তায় পেঁয়াজি ভাজছিল দেখে দাঁড়ালাম। ওখানে বলে পকৌরী। খেলাম। হঠাৎ ভোলাদা ফোন করল। জানতে চাইল কোথায় আছি। বললাম। শুনে বলল উনি এ দিকেই আসছেন বাজার করতে—আমাকে বাইকে নিয়ে যাবেন—আর হাঁটার দরকার নেই।
ভোলাদা মানে, ভোলা ঘুটুয়াল। আমি সে বারে দাদার হোম স্টে’তেই ছিলেম। তখনও সেটা ঝাঁ চকচকে নাগরিক হয়ে ওঠেনি। তখনও সেটা তৎসম ভাবের ‘বনকুটির’ নামে চিহ্নিত হয়নি। ভোলাদা’ই নিয়ে যাওয়ার সময়ে বলেছিল—মাঠায় এ সময়ে হাতিরপাল যখন-তখন নেমে আসে—সন্ধে পর্যন্ত ও ভাবে ওখানে থাকা ঠিক হয়নি। এই বাড়তি আপ্যায়নটুকু একা বলেই পেয়েছিলাম। তা ছাড়া সেদিন অনেকটা বেলার দিকে দিগারডিতে যখন বাস থেকে প্রথমবারের জন্য নেমেছিলাম ভোলাদা রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, আমাকে নিয়ে যাবে বলেই ।
হোম স্টে’র পাশে মায়াবন—সেখানে একটা টিলা—তার পাশে একটা মাঠ। সন্ধেয় চা-পকোড়া খেয়ে সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। শান্ত লাগছিল। আরাম লাগছিল স্বচ্ছ আকাশের অগুনতি তারা দেখতে। মনে হচ্ছিল এখানে আকাশ কত বড়—অসীম।
সে বার একা একা পুরুলিয়া যাওয়ার বিষয়টা আমার বন্ধু দীপ্তেন্দু ছাড়া আর কেউ জানত না। ও-ই ভোলাদা’র হোম স্টে’র সন্ধান দিয়েছিল—পারডি ড্যামের কথা বলেছিল। আমার জীবনের প্রথম সোলো ট্রিপ। তার আগে অবধি ঘুরেছি দীপুদা—তা-ও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে। পুরুলিয়াও এসেছিলাম মোটে একদিনের জন্যে। কিন্তু সেবারে ছিলাম একেবারে উল্টোদিকে—মুরগুমায়। বর্ষায় পুরুলিয়া মায়াবিনী, রোমান্টিক। সে স্মৃতিও বড়ই রম্য। কিন্তু প্রথমবার একা একা বেরিয়ে কোনও সাবধানতার তোয়াক্কা না করেই যা সেদিন ঘটিয়েছিলাম—তা নিয়ে আজ অবধি আমার কোনও গ্লানি নেই। মনে হতেই পারে আর্বাচীন এবং আনাড়ির মতো কাজ। সত্যিই তো, পরে আরও নানা জায়গায় ঘোরার সূত্রে জেনেছি, অচেনা জায়গায় গেলে কতটা যথার্থ তথ্য নিয়ে যেতে হয়। এখন সে বিষয়ে হয়তো সেয়ানাও হয়ে উঠেছি। কিন্তু জীবনদেবতার অদৃষ্ট টানেই যে ভাবে সেবার পুরুলিয়া গিয়ে পড়ি—তা আমার বিস্ময়বোধের পরাকাষ্ঠা হয়ে রইল। অভ্রান্ত স্মৃতি। বয়স বাড়লে বিস্ময়বোধ কমে যায়—সব তথ্য আসলে ততখানি রোমাঞ্চ দিতে পারে না যতখানি রহস্যের ঘোমটা ঢাকা ভূগোল।
প্রকৃতি এমনই সুন্দর।
ভ্রমণের আমেজ অনেকরকমের। যেমন সে যাত্রাতেও আরও অন্য ভাবে পুরুলিয়ার লোকজীবনকে কাছ থেকে বুঝেছিলাম। তার একটা ছবি মনে গেঁথে গেছে এভাবে, বুদ্ধ পূর্ণিমার রাতে কষ্টিপাথরের মতো কিছু পেটানো শরীরের পুরুষ কালচে-সবুজ পাতার ভাঁজে ভাঁজে শিকার উৎসবে মেতেছে। হাতে তাদের বর্শা, বল্লম—বাজছে দামামা-নাকাড়া। কিন্তু সে গল্প পরে একদিন।
বিঃ দ্রঃ– গেল ডিসেম্বরে আমার প্রিয়তম বন্ধুর সঙ্গে বাইকে এই অঞ্চলে ঘুরেছি বিস্তর। তখন বুঝেছি ও সময় ভুল রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছিলাম। তার চেয়ে সহজতর রাস্তা আছে। যা পাখিপাহাড়ের সামনে দিয়ে চিত্ত দে’র অসম্পূর্ণ বাড়ির পাশ কাটিয়ে, ধাস্কা গ্রাম চিরে অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া যায়। একটু দূর, কিন্তু ওটাই সহজ রাস্তা।
ছবি- লেখক
(সমাপ্ত)
মুররাবুরু, অপূর্ব সব অবাক করা শব্দ দূরের ঝর্না পড়ার শব্দের মতো চমকে দিল। সৌরভ, ভাই হিংসে হচ্ছে। পথভোলা কী এক বিস্ময়ের জাদু ছুটে গেল লেখাটায়। এমন একলা পথিক জীবন সবার হোক
লেখাটা আপনাকে এভাবে স্পর্শ করেছেন দেখে ভালো লাগছে । ভালো থাকবেন দাদা।🌿
নিশ্চয়ই ভাল থাকব। এরকম সব লেখা থাকুক আরও, বারবার রোমাঞ্চে চমকে দাও