ফারুক আবদুল্লাহ
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের কথা। একটি জার্নালে মুর্শিদাবাদের কিছু বিস্মৃতপ্রায় মসজিদ নিয়ে লেখার জন্য পুরনো নথিপত্র ঘাঁটাঘাটি করছি। জেলার পুরনো জনপদগুলি খোঁজার জন্য। মনে হয়েছিল পুরনো জনপদের খোঁজ পেলে পুরনো মসজিদের সন্ধানও পেয়ে যেতে পারি। একদিন মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার ঘাঁটতে গিয়ে ‘চুনাখালি’ নামের এক পুরনো জনপদের খোঁজ পাই। চুনাখালি আমার বেশ পরিচিত এলাকা হলেও জনপদটি যে এত পুরনো সে বিষয়ে তেমন কোনও ধারণাই ছিল না। গেজেটিয়ার থেকে জানতে পারি, চুনাখালিতে দু’টি পুরনো মসজিদ রয়েছে। একটি সুলতানি আমলের। অন্যটি নবাবি আমলের।
কলেজে পড়াকালীন সময়ে চুনাখালির বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী হয়েছিল। প্রথমে আমি তাদের কাছেই মসজিদগুলির খোঁজ নিয়েছিলাম। কিন্তু তারা প্রত্যেকেই বেশ হতাশ করেছিল। প্রাচীন মসজিদের কথা নাকি তারা ইতিপূর্বে শোনেইনি।
একপ্রকার বাধ্য হয়েই উপগ্রহ মানচিত্রে মসজিদ দু’টি খুঁজতে শুরু করি এবং ব্যর্থ হই। ঘন গাছগাছালিতে ঢাকা এলাকায় কোনও মসজিদের অস্তিত্ব আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। নানান প্রতিকূলতায় চুনাখালির মসজিদ নিয়ে আমার আগ্রহ ক্রমশ কমে যাচ্ছিল। একবার মনে হল পুরনো মসজিদ দু’টি খুব সম্ভবত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই হয়তো এলাকাবাসীরা অবগত নন। সে কথা কিছুতেই মন মানতে চাইছিল না। তাই নিজেই খোঁজে বার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
অনেক শ্রমের পরে পাওয়া জঙ্গলে ঢাকা মসজিদটি।
ঠিক পরের দিনই (১৮ জানুয়ারি) বেরিয়ে পড়লাম চুনাখালির উদ্দেশ্যে। বাড়ি থেকে বাসে চুনাখালি মাত্র ৩০-৩৫ মিনিটের পথ। চুনাখালি যখন পৌঁছালাম তখন বেলা প্রায় ১২টা হবে। মনের সঙ্গে লড়াই করে এক প্রকার জোর করেই আজ ক্ষেত্রসমীক্ষায় এসেছি। এসে বেশ চিন্তায় পড়লাম। ঠিক কোথায় থেকে খোঁজ শুরু করব! তথ্য তো কিছু নেই। স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরাও মসজিদের অবস্থান বলতে পারলেন না। বাধ্য হয়েই এগিয়ে যেতে থাকলাম পাকা রাস্তা ধরে লালবাগের দিকে। সামনে যাকেই পাচ্ছি জিজ্ঞেস করছি। কিন্তু কেউই মসজিদ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না। বিরক্ত হয়ে সব আশা ছেড়ে দিলাম। বেশ ক্লান্তি লাগছে। রাস্তার পাশেই এক কুমোরের দোকানে এসে দাঁড়ালাম। তিনি বেশ কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন এদিকে আসার কারণ সম্পর্কে। তাঁকে সব খুলে বলতেই তিনি আমাকে একটি ঢালাই রাস্তা দেখিয়ে বললেন, ‘‘এই রাস্তা ধরে সোজা চলে গেলেই দরগাতলা পড়বে। সেখানে একটি পুরনো মসজিদ পাবেন।’’
ভদ্রলোকের কথা শুনে বেশ উচ্ছ্বসিত হয় উঠলাম। সব ক্লান্তি যেন নিমেষেই দূর হয়ে গেল। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম। কিন্তু কিছুটা এগিয়ে আবার রাস্তা গুলিয়ে গেল। ঠিক কোন দিকে গেলে দরগাতলায় পৌঁছাবো বুঝতে পারছিলাম না। রাস্তার দুই ধারে সারি দেওয়া টালির বাড়ি। হাঁটার সময় রাস্তায় যাঁকেই পাচ্ছি তাকেই জিজ্ঞাসা করছি দরগাতলা যাওয়ার সঠিক পথ। প্রত্যেকেই বলছেন, “এই রাস্তা ধরে আরও কিছুটা যেতে হবে।’’ আরও কিছুটা এগিয়ে দেখি, একজন বয়স্ক মহিলা একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞেস করতে তিনি বললেন, “যে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন তাতে অনেক সময় লাগবে। আপনি বরং এই মাঠের রাস্তা ধরে এগিয়ে যান। মাঠ পেরিয়ে বড় আমবাগান পড়বে। বাগান পার করলেই দরগাতলায় পৌঁছে যাবেন।”
মসজিদের ভিতরের অংশ।
ভদ্রমহিলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাস্তা থেকে সোজা মাঠে নেমে গেলাম। বিরাট সেই মাঠ। ভরা দুপুরে খাঁ খাঁ করছে। মাঠ পেরোতেই বেশ কিছুটা সময় লাগল। তার পর সেই আম বাগান। সে কী বিরাট আম বাগান! আমি এই প্রথম এমন আমবাগান দেখলাম। যত দূর চোখ যাচ্ছে শুধুই আমের গাছ। সেই ভরা দুপুরেও বাগানের ভেতরটা কেমন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে। কেমন যেন গাছমছম করছিল হাঁটার সময়। কিছুটা হাঁটতেই একজন বয়স্ক মহিলার সঙ্গে দেখা। বাগানে আমের পাতা কুড়চ্ছেন। তাঁকেও জিজ্ঞাসা করলাম দরগাতলার দূরত্ব সম্পর্কে। তিনি জানালেন,” বাগানটা পেরোলে সামনেই দরগাতলা। এবার সাহস পেলাম। এসেই পড়েছি, আর ভাবনা নেই। কিছুটা এগোতেই বাগান ফুরিয়ে এল। একটি বড় পুকুর বাগানের ঠিক পাশেই। সেই পুকুরের পাশ দিয়ে একটি সরু রাস্তা রয়েছে। রাস্তা যাচ্ছে চাষের জমির দিকে। এবার কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। ঠিক কোন দিক দিয়ে যাব? চারদিকে চাষের জমি। আর জমির ভেতর দিয়েও রাস্তা নেই। আসলে আমি ভেবেছিলাম হয়তো বাগান পেরিয়ে একটা রাস্তা পাব। যে রাস্তা আমাকে সোজা দরগাতলায় নিয়ে যাবে। হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। তখনই সরষে খেতের ভেতর দিয়ে একজনকে হেঁটে আসতে দেখলাম। জিজ্ঞাসা করতে তিনি “এই তো দরগাতলা” বলে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। কিন্তু রাস্তা? তিনি বললেন, “এটাই তো রাস্তা। জমির ভেতর দিয়েই আপনাকে যেতে হবে।” নিরুপায় হয়ে সরষে খেতের ভেতর দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। কয়েক পা এগোতেই চোখের সামনে ভেসে উঠল একটি মসজিদের পিছনের দিক। মসজিদের মাথায় তিনটি গম্বুজ রয়েছে। তখন কী যে আনন্দ হচ্ছিল! আমার সব ক্লান্তি যেন মুহূর্তেই উবে গেলো।
নতুন করে করা মসজিদ।
সরষে খেত পার করে পৌঁছলাম সেই দরগাতলায়। তখন ঘড়িতে প্রায় ২টো বাজে। দরগার পশ্চিম দিকে অবস্থিত সেই মসজিদটিকে এবার সামনে থেকে ভাল ভাবে দেখলাম। কিন্তু মসজিদের পুরনো রূপ আর অক্ষত নেই। দরগাতলার কাছাকাছি তেমন জনবসতিও নেই। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণের দেখা পেলাম সেখানে। ছবি তুলতে দেখে তাঁরা কারণ জানতে চাইলেন। আসলে তাঁরা আমাকে সাংবাদিক ভেবেছিলেন। আমি তাঁদের ভুল ভাঙিয়ে দিলাম। তাঁদের কাছেই মসজিদ, দরগা সম্পর্কে নানান কথা জানতে চাইলাম। তাঁরা জানালেন, এই মসজিদটি নির্মাণের আগে এখানে ছোট ইটের তিন গম্বুজওয়ালা একটি ভাঙা মসজিদ ছিল। সেই জরাজীর্ণ মসজিদটি ভেঙেই ২০০৯ সালে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। তবে নতুন করে মসজিদটি তৈরি করা হলেও পুরনো মসজিদের গায়ে লাগানো পাথুরে লিপিটি নব নির্মিত মসজিদের মাথায় লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরানো মসজিদটি খুব সম্ভবত নবাবি আমলের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিল বলেই জনশ্রুতি।
মসনদ-এ আউলিয়া মোসলেম শাহের দরগা।
মসজিদটি দেখা শেষ করেই মনে এল এখানে অবস্থিত নবাবি আমলের আরও একটি মসজিদের কথা। মুর্শিদাবাদ জেলা গেজেটিয়ারে আগেই পড়েছিলাম। স্থানীয় ভদ্রলোকদের জিজ্ঞাসা করলাম, “এখনে তো আরও একটি মসজিদ থাকার কথা। সেটি কোন দিকে?” আমার কথা শুনে তাঁদের মধ্যে একজন একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে বসলেন “আপনি এত কিছুর খোঁজ কোথা থেকে পেলেন?” কৌতূহল নিবারণ করতেই তাঁরা আমাকে সঙ্গে নিয়ে এগোলেন সেই মসজিদের দিকে। এই মসজিদটি দরগার উত্তর-পূর্বের রাস্তার পূর্ব দিকে অবস্থিত। কিছুটা এগিয়ে যেতেই চোখে পড়লো আপাদমস্তক ঝোপ ঝাড়ে ঢাকা একটি কাঠামো। কেউ বলে না দিলে হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা কোন স্থাপত্য কীর্তি। মনে হবে যেন পুরোটাই জঙ্গল। এক এক করে আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলেন। জঙ্গল মাড়িয়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকতে যাব, তাঁরা বললেন, “ভেতরে যাবেন না। বিষধর সাপের আঁতুর ঘর।’’ সাপে ভীষণ ভয় পায়। কিন্তু ভেতরে যেতেই হবে। আমারও যেন জেদ চেপে বসেছে। আসলে এতটা পথ পেরিয়ে বহু কষ্টে এখানে এসে পৌঁছেছি। শুধুমাত্র সাপের ভয়ে ভেতরে না ঢুকেই চলে যাব? যা হবার হবে ভেবে ঢুকে পড়লাম। ঢুকে দেখি সত্যিই জরাজীর্ণ অবস্থা। সাপ তো আছেই, রয়েছে অজস্র বাদুড়ের বাসা। আমি দ্রুত কয়েকটি ছবি তুলে বেরিয়ে এলাম।
মাজারের দেওয়ালে বসানো পুরনো ফার্সি লিপি।
মসজিদ দেখার কাজ শেষ। একবার দরগায় প্রবেশের ইচ্ছে জাগল। দরগায় প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল মাজারের গায়ে পিরের নাম লেখা আছে ‘মসনদে আউলিয়া পীর মোসলেম শাহ’। নামটা পড়ে হঠাৎ মনে হল, পিরের নামের আগে ‘মসনদে আউলিয়া’ লেখা কেন? এটা নিশ্চয় তাঁর উপাধি হবে। তবে এমন উপাধিই বা কেন? আমি যতদূর জানি ‘মসনদে আউলিয়া’ নামে কোনও উপাধি হয় না। হতেই পারে এটা আমার অজ্ঞতা। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আরও বহু পিরের মাজার। কিন্তু সেখানেও পিরের নামের আগে এমন উপাধি চোখে পড়েনি। তবে কি আমার কোথাও ভুল হচ্ছে? এমন নানান কথা ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে গেল আরও একটি উপাধির কথা। উপাধিটি ‘মসনদ এ আলা’। এই উপাধিটি সুলতানি আমলে সুলতানদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের এবং দরবারের গুণিজনদের দেওয়া হত। মুঘল বাদশাহ আকবরের আমলেও এই উপাধি প্রদান করা হত।
মাজারের দেওয়ালে আরবি লিপি।
মনে বহু প্রশ্ন এসে ভিড় জমাতে শুরু করলো। চুনাখালির পির মোসলেম শাহও কি বাংলার সুলতানদের উচ্চপদস্থ কোনও আধিকারিক ছিলেন? তিনি কি কোনও রাজনৈতিক অশান্তির কারণেই সব ত্যাগ করে শেষ জীবনে পিরের ছদ্মবেশে এখানে আত্মগোপন করেছিলেন? নাকি গুণিজন হিসেবেই তিনি এই উপাধিটি লাভ করেছিলেন? জানা যায় না কিছুই। আসলে এই মোসলেম শাহ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তেমন কোনও তথ্যই পাওয়া যায় না। তবে তাঁর সম্পর্কে এলাকায় প্রচুর গল্প রয়েছে। দরগায় লাগানো ফলক থেকে জানা যায়, দরগাটি ৮৯৬ হিজরিতে নির্মিত হয়। অর্থাৎ ১৪৯১ খ্রিস্টাব্দ। কিন্তু পুরনো দরগাটি ভেঙে পড়লে ২০০৯ সালে দরগাটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়। ভেতরে প্রবেশ করতেই নজর গিয়ে পড়লো মাজারের আধুনিক দেওয়ালে আটকানো একটি প্রাচীন পাথুরে লিপি। যেটি ফার্সি ভাষায় লেখা। লিপিটির লিখন শৈলী দেখলে সবাই মুগ্ধ হতে বাধ্য। মাজারের অপর একটি দেওয়ালেও দেখলাম আরবি ভাষায় লেখা আরও একটি লিপি। ঘরের ভেতরে সবুজ কাপড়ে ঢাকা দেওয়া পির মোসলেম শাহের সমাধি।
কথিত আছে, পির মোসলেম শাহ নাকি পঞ্চদশ শতকের প্রথম দিকে চুনাখালিতে আসেন এবং নিজের একটি আস্তানা গড়ে সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেন। প্রথমে তাঁর আস্তানা তেমন উন্নত না হলেও পরবর্তীকালে গৌড়ের সুলতান মুজাফফর শাহ নাকি তাঁর আস্তানাটি সুন্দর ভাবে নির্মাণ করে দিয়েছিলেন।
মসনদ-এ আউলিয়া পির মোসলেম শাহের সমাধি।
এর মধ্যেই গঙ্গা দিয়ে বয়ে যায় বহু জল। সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে। আসে মুঘলরা। এক সময় বাংলায় মুঘলদের অধীনে নবাবি শাসন প্রতষ্ঠিত হয়। তার পর আসে ইংরেজ শাসন। কথিত যে, উনিশ শতকের কোনও এক সময় কাশিমবাজারে মহামারি দেখা দিয়েছিল। খুব সম্ভবত কলেরা। চুনাখালিতেও নাকি সেই মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় বহু মানুষ মরতে শুরু করল। মৃত্যু ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে থাকেন অনেকে। জনশ্রুতি, মানুষ রোগের ভয়ে শহর ছাড়ার সময় নিজের ইটের তৈরি পাকা বাড়ি ভেঙে তা গরুর গাড়িতে করে নতুন এলাকায় গিয়ে উঠত। সেখানে বাড়ি নির্মাণ করত। ফলে শহর ক্রমশ জনশূন্য হয়ে পড়ে। মানুষের অভাবে এক সময় পীরের দরগাটিও পরিত্যক্ত হয়ে বহু যুগ জঙ্গলে ঢেকে থাকে। জঙ্গল পরিষ্কার করে এই এলাকায় আবার মানুষের বসবাস শুরু হয়। দরগাটিও পুনরায় চালু করা হয়। তবে দরগাটি পুনরায় চালু করার পিছনে বহু অলৌকিক গল্প আজও এলাকাবাসীর মুখে ফেরে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে যাচ্ছে আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে এবার। মসজিদের খোঁজে এসে হঠাৎ করেই এত কিছুর খোঁজ পেয়ে যাব তা সত্যিই ভাবতে পারিনি। মন একেবারে ফুরফুরে হয় গিয়েছে। এবার ফেরার পালা। স্থানীয়দের কাছে চুনাখালি বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার সহজ রাস্তা জেনে নিয়েছিলাম। সেই রাস্তা ধরে এক অবর্ণনীয় মানসিক প্রশান্তি নিয়ে এগোতে থাকলাম। পেছনে পড়ে রইল পির মোসলেম শাহের দরগা ও দু’টি পুরনো মসজিদ ও একঝাঁক সাহায্যকারী স্থানীয় মানুষ।
পথ নির্দেশ- কলকাতা থেকে আসতে হলে শিয়ালদা থেকে বহরমপুর কোর্ট স্টেশন, কাশিমবাজার স্টেশন, বা মুর্শিদাবাদ স্টেশনে নেমে চুনাখালি খুব সহজেই আসা যায়। বহরমপুর স্টেশন থেকে বাসে বা অটোয় চুনাখালি পৌঁছতে সময় লাগবে ৭-১০ মিনিট। কাশিমবাজার থেকে টোটোয় চুনাখালি পৌঁছতে সময় লাগবে ১০-১৫ মিনিট। মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে চুনাখালি পৌঁছতে সময় লাগবে ৮-১০ মিনিট। চুনাখালিতে নেমে টোটোয় গন্তব্য আরও ১০-১২ মিনিট।
কভারের ছবি— জঙ্গলে ঢাকা মসজিদ
ছবি— লেখক
(সমাপ্ত)