সৌগত পাল
কেমন হবে যদি ৩০ ঘণ্টার ট্রেন সফরে আরও ৪ ঘণ্টা যোগ করতে হয়? ট্রেন লেট করে। ট্রেনে বসে ক্লান্ত আপনি ভাবছেন, নামতে পারলেই শরীরটা হোটেলের বিছানায় ফেলে দেব। তখন জানতে পারলেন হোটেলের বুকিংটাও বাতিল হয়ে গিয়েছে!
মনে হচ্ছে না কোনও ওয়েব সিরিজের প্লট? ট্রেলার তো দিয়েই দিলাম।এবার শুরু থেকে শুরু করাই ভাল।
আগের বার দার্জিলিং থেকে ফেরার ট্রেনেই এই সফরের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল। কোথা যাওয়া হবে সেটা নিয়েই চিন্তাভাবনা করতে দেরি। মধ্যবিত্তের রেশনের জীবন তো। এমন ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে যাতে কম সময়ে বেশি ঘোরা হয়। কারণ ছুটি ফুরন্ত আর পেতে গলদঘর্ম। অনেক চিন্তাভাবনা করে ঠিক হল, লখনউ। সেখান থেকে দেরাদুন, মুসৌরি।
আমাদের ক্যাপ্টেন বিকাশদার মেয়ের জন্মদিন পয়লা বৈশাখ। বিকাশদার ইচ্ছে, মেয়ের জন্মদিনটা নবাবি চালে পালন করবে। আমিও আনন্দে সায় দিলাম। অধমেরও ইচ্ছে, একটু নবাবি কায়দায় গলৌতি কাবাব বিরিয়ানি সহযোগে এক বছর বুড়ো হওয়া। সেই মতো ১৪ এপ্রিল ট্রেনে ওঠা হবে ঠিক হল। এবারের দলটা বেশ বড়। পুরনো সবাই তো আছেই, আরও কয়েকজন মিলে ২৫ জনের মিছিল।
ডাকাতিয়া গুহা রবার্স কেভ।
তিনবার ব্রেক জার্নি করতে হবে। সেই মতো টিকিট করা হবে। দু’একজন বলে ফেলল, দু’মাসও পুরো হল না ঘুরে এলাম। আবার টিকিট? হাওড়া/শিয়ালদহ/আসানসোল থেকে লখনউ যাওয়া হবে। লখনউ একদিন ঘুরে চলে যাব দেরাদুন। দেরাদুন, মুসৌরি সঙ্গে হরিদ্বার ঘুরে ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন।
সেই মতো টিকিট হল। কয়েকদিন পর ক্যাপ্টেনের টিম মিটিং। এপ্রিল মাসে লখনউয়ের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির আশেপাশে থাকে। ওই সময় যাওয়াটা মনে হয় ঠিক হবে না। ফলে আবার টিকিট বাতিল করা আর সরাসরি দেরাদুনের টিকিট কাটা। নবাবি জন্মদিন বাদ গেল। তার বদলে বাংলা সিনেমার সংলাপ অনুযায়ী বলতে হচ্ছে, এবার জন্মদিন বাড়ির ছাদে নয়, হবে পাহাড়ের কোলে।
ক্যাপ্টেন দায়িত্ব নিয়ে গাড়ির ব্যবস্হা করে ফেলেছে। আমার উপর দায়িত্ব দেরাদুনের অর্ধেক হোটেল বুক করার। মানে একজনের নামে পাঁচটার বেশি ঘর বুক হবে না তাই দু’জনকে পাঁচটা করে ১০টা ঘর বুক করতে হবে। ক্যাপ্টেন আমাকে ডেপুটি হিসাবে বেছে নিয়েছে। তাকে খুশি তো করতেই হবে। হোটেল বুকিং করে দিলাম এবং কোনও রেস্ত ছাড়াই। রেস্ত হোটেলে পৌঁছে দিলেই চলবে।
আমাদের মিছিলের একটা অংশ।
এবার কে কী ভাবে যাবে আর খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। কারণ দু’টো দিন ট্রেনে কাটবে। টিকিট করা হয়েছে কুম্ভ এক্সপ্রেসে। হাওড়া থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে পরদিন সন্ধ্যা ৬টায় দেরাদুন পৌঁছবে। বর্ধমানের তিনজন কীরিটিদা, বাপ্পাদিত্য আর বিপ্লব হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠবে। রামপুরহাট থেকে তিনজন— আমি, রথীনদা আর সন্দীপ, চলে যাব আসানসোল। বিকাশদা, তন্ময়দা আর গোপাল আদ্রা থেকে চলে আসবে আসানসোল।
সকাল ১০টায় রামপুরহাট থেকে ট্রেনে যাব অন্ডাল। ওখানে ট্রেন পাল্টে আসানসোল। সকালে টিফিন খেয়ে বেরিয়ে ট্রেন ধরা হল। অন্ডাল পৌঁছে দুপুরের খাওয়াদাওয়া। খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। রথীনদা নিয়ে এসেছিল চিকেন কষা। আর আমার দায়িত্ব পরোটার। জব্বর একটা ভোজ শেষে ট্রেন ধরে পৌঁছে গেলাম আসানসোল। বিকাশদা, তন্ময়দা আগেই পৌঁছে গিয়েছে। বিকাশদা রাতের খাবার বন্দোবস্ত করতে গিয়েছে স্টেশনের বাইরে। ট্রেন আসতে তখনও দেরি আছে। স্টেশন থেকে জল কিনে রাখা হল। গরম টের পাওয়া যাচ্ছে বেশ। শিল্পাঞ্চল ও কোলিয়ারি হওয়ার জন্য গাছগাছালি কম আর আবহাওয়া শুষ্ক।
গুহায় জল সই হয়ে চলা।
ট্রেনের ঘোষণা হতে সকলে প্রস্তুত হলাম। লোকজন বেশি। তাই ব্যাগপত্র অনেক। এত লোকের খাবারের জন্য আলাদা দু’টো ব্যাগ হয়েছে। তাতে ট্রেনে মুখ চালানোর জন্য শসা পেয়ারা আপেলের সঙ্গে মুড়ি, বাদাম, চানাচুর সবই আছে। মুড়ির তো রীতিমতো আন্তঃজেলা সম্মেলন। বাঁকুড়া, বীরভূম আর বর্ধমান, তিন জেলার মুড়ি।
ট্রেনে উঠে জায়গা দেখে গুছিয়ে বসতে দু’টো স্টেশন পার হয়ে গেল। এত জন লোক তাই সকলের এক সঙ্গে জায়গা পাওয়া মুশকিল। মহিলা মহলের আড্ডা শুরু হয়ে গেল বসার পরেই। আমাদের ক্যাপ্টেন ক্লান্ত হয়ে আপার বার্থে বডি ফেলে দিলেন। আমি ধারের সিটে বসে বাঙালির এক সময়ের পশ্চিম মধুপুরের সূর্যাস্ত দেখতে লাগলাম।
পাহাড়বাসীর বসতি।
পাটনায় প্রথম বাধা এল। চেন টেনেছে কোন হতভাগা। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল ট্রেন। তখন আমাদের খাওয়াদাওয়া চলছে। ৪-৫টা দলে ভাগ হয়ে। খাবার গুছিয়ে বসতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লেগেছিল। পেঁয়াজ আছে আমাদের কাছে তো শসা পাশের কোচে। আবার ছুরি আরও দু’টো কোচ পরে। খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়লাম। মাঝরাতে ক্যাপ্টেন ঘুম ভাঙিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেল।
সকালে ঘুম ভাঙার পর দেখা গেল ট্রেন অনেকটাই বিলম্বে চলছে। আর আমাদের আড্ডা চলছে। সহযাত্রীদের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। দুপুরে ট্রেনের প্যান্ট্রি কার থেকে খাবার অর্ডার করা হল। এ দিকে ট্রেন ক্রমশ দেরি হয়েই যাচ্ছে। কিছুদূর চলেই থমকে। দীর্ঘ ট্রেন যাত্রায় সকলকেই বিরক্ত করছে। বিশেষত দলের কচিকাঁচাদের।
কেম্পটির জলে জলক্রীড়া।
পৌঁছতে দেরি হলে কী ভাবে সামলানো যাবে সে পরিকল্পনা তৈরি করছিল ক্যাপ্টেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে বুক করা হোটেল থেকে একটা মেসেজ এসেছিল। সেটা দেখার কথা মনে ছিল না। পরে ফোন দেখতে গিয়ে সেটা দেখে আক্কেলগুড়ুম। মেসেজ বলছে, আপনাদের হোটেল বুকিং আজ দুপুর ২টোর মধ্যে নিশ্চিত না করার কারণে বাতিল করা হয়েছে! পরবর্তী আধ ঘণ্টায় একটা ঝড় বয়ে গেল। হরিদ্বার, মুসৌরি, দেরাদুনে যত হোটেলওয়ালার নম্বর আমাদের কাছে ছিল সকলকে ফোন করা হল। আশার আলো কেউ দিচ্ছেন না। অবশেষে স্বস্তি মিলল। ফোন পর্ব শেষ হওয়ার পর দেখলাম, ট্রেন হরিদ্বার স্টেশন ছেড়ে রওনা দিল তখন সন্ধ্যা ৭টার মতো। আর এক ঘণ্টার মধ্যে দেরাদুন পৌঁছে যাব। দেরি হলেও খুব সমস্যা হবে না।
রাতের খাওয়া কী হবে সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হল। কারণ আজ পয়লা বৈশাখ। বিশেষ কিছু খেতে হবে। সেই সঙ্গে দলের দুই সদস্যের জন্মদিন বলে কথা। তখনও বুঝতে পারিনি সমস্যা এখনও শেষ হয়নি। হরিদ্বারের পর ট্রেন ঢুকে পড়ল সিঙ্গল লাইন সেকশনে। আমতা লোকালের নিত্যযাত্রীরা সিঙ্গল লাইনের যন্ত্রণা তো বোঝেন! প্রতি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ছে। উল্টোদিক থেকে আসা ট্রেনকে পাস করানোর জন্য। অবশেষে রাত ১০টা নাগাদ দেরাদুন স্টেশনে। বাক্সপ্যাটরা গুছিয়ে অটোয় করে হোটেলে পৌঁছনো হল। একটা রাস্তার মোড় থেকে দু’দিকে দু’টি হোটেল। তাই দুই দলে ভাগ হয়ে হোটেলে পৌঁছানো হল। তার পর খাবারের সন্ধান। রুটি তরকারির সঙ্গে আজকের স্পেশাল মেনু চিকেনের কোনও একটা পদ। তার পর শুরু হল জন্মদিন পালন। যে দুই সদস্যের জন্মদিন তারা দুই আলাদা হোটেলে। তাই একসঙ্গে জন্মদিন পালন হয়ে উঠল না। জন্মদিনের শেষ প্রহরে রাত ১১:৩০টার সময়ে বুড়ো বয়সে মোমবাতি নিভিয়ে এক বছর বয়স বাড়িয়ে ফেললাম।
সন্ধ্যা নামার আগে আলো আঁধারির খেলা।
সকালে সফর শুরু ২২ সিটের ট্র্যাভেলার গাড়িতে। পুরো সফরে আমাদের বাহন। গাড়ি প্রথম গিয়ে থামল তপোকেশ্বর মন্দিরের সামনে। সেখানে সকলের একসঙ্গে ছবি তোলা হল। মন্দির দর্শন শেষে খাওয়াদাওয়ার পালা সেরে বিখ্যাত দুন স্কুলকে পাশে ফেলে আমাদের গাড়ি ছুটে চলল রবার্সকেভ বা গুচ্চুপানির উদ্দেশ্যে।
রবার্সকেভ বা গুচ্চুপানি নিয়ে স্থানীয় মতবাদ হল, এই গুহায় ডাকাতরা লুকিয়ে থাকত ইংরেজ আমলে। বর্তমানে যথেষ্ট জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বহুজন ছবি তুলতে ঘুরতে এসেছেন দেখলাম। মাথার উপর গাছগাছালি এবং গোড়ালি অবধি জলের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে ভালই লাগবে। তবে প্রথমে ঠান্ডা জলে পা ভেজাতে একটু কষ্ট হবে। আর এখানে এলে স্লিপার জাতীয় জুতো পরে আসাই সুবিধা। গোড়ালি ভেজা জল কোথাও একটু গভীর। একটু দেখে পা না ফেললে জামাকাপড় ভিজিয়ে দিতে পারে। বেশ অনেকক্ষণ সময় এখানে কাটিয়ে আমরা গাড়িতে উঠলাম। পরবর্তী গন্তব্য কেম্পটি ফলস।
গাড়িতে ওঠার পর শুরু সমস্যা। আমরা বেশ সকালে এসেছিলাম। তাই আমাদের ড্রাইভারদাদা গাড়ি একদম ভিতরে পার্ক করেছিলেন। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে ভিড় বেড়েছে। আর গাড়িও। সব গাড়ি রবার্সকেভে পার্কিং করে রাস্তা জট। তাই ওখান থেকে মূল রাস্তায় বেরোতে অনেক সময় নষ্ট হল। দুপুরের খাবার খাওয়া হল রাস্তাতেই। এখানে ক্যাপ্টেনের একটা ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। রাস্তায় অযথা দেরি হওয়ায় সময় বাঁচাতে আমরা যদি সরাসরি মুসৌরি চলে যেতাম তা হলে সন্ধ্যায় পৌঁছে মুসৌরি ম্যাল রোড ঘোরা হত। কিন্তু কেম্পটি ফলস দেখে তার পর মুসৌরি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ক্যাপটেন।
কেম্পটি ফলস যাওয়ার রাস্তা বেশ খারাপ। রাস্তার কাজ চলছে। তাই গাড়ি খুব ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। ফলসের বেশ অনেকটা আগে গাড়ি থেকে নেমে আমরা হেঁটে চললাম। রাস্তা থেকে অনেকটা নীচে ফলস। অনেকটা উঁচু পাহাড় থেকে সবেগে নেমে আসছে জলধারা। আর জল জমে একটা পুকুরের মতো তৈরি হয়েছে। প্রচুর মানুষ সেই জলে স্নান করছেন। আমাদের দলের বেশিরভাগ সদস্য স্নান করতে নেমে পড়ল। জলের মধ্যে সবার ছবি তুলব আর জামাকাপড় পাহারা দেব, এই বলে বিকেল বেলায় স্নান করা থেকে নিজেকে বাঁচালাম।
অনেক জলকেলি করে ক্যাপটেন আয়েস করে গাড়িতে বসে পরবর্তী কার্যক্রম বলে দিলেন। বিকেল ৫টায় গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টায় মুসৌরি পৌঁছনো হবে। পৌঁছে বেশ অনেকক্ষণ ম্যাল ঘোরা হবে।
তার পর ক্যাপ্টেন ফুরফুরে থেকে ক্রমশ গম্ভীর হতে থাকলেন। কারণ দু’ঘণ্টা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আমাদের গাড়ি রোড রোলারের মতো চলছে। তার পর গাড়ি আর নড়ে না। সামনে সারি দিয়ে শুধু গাড়ি।
এতক্ষণ গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে সকলে বিরক্ত। দিনের বেলা হলে গাড়ি থেকে তবু প্রকৃতি দেখা যায়। কিন্তু বাইরে অন্ধকার। দেরি হওয়ার সঙ্গে রাতে খাবার কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। আমাদের হোটেল বুকিং আছে মুসৌরি ম্যালে। ভাবা হয়েছিল, সন্ধ্যায় ম্যাল ঘোরা হবে আর ওখান থেকেই খাবার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু এখন যা অবস্থা কখন পৌঁছতে পারব কেউ জানে না। তাই হোটেলে ফোন করে খাবারের কথা বলে দেওয়া হল।
বড় সুন্দর ভাবে সেজেছে প্রকৃতি।
যত সময় যাচ্ছে সকলের ধৈর্যের বাঁধ একটু করে ভাঙছে। সবার মনের কথা কখন গাড়ি থেকে নামা হবে। বাচ্ছারা সেই প্রশ্ন করলে আমরা উত্তর দিতে পারছি না। রথীনদা ক্যাপ্টেনকে শুনিয়ে দিল যে এই দূরপাল্লার ট্যুর ক্যাপ্টেন সামলাতে পারছে না। কাছাকাছি ট্যুর ঠিক আছে। মানে ওহে ক্যাপ্টেন তুমি ঘরের মাঠে ঠিক আছ। কিন্তু বিদেশে তোমার দ্বারা হবে না। প্রতি ট্যুরে এই দু’জনের মধ্যে কথার লড়াই চলতে থাকে।
আগের দিনের কিছু আগে ওই ০৯:৩০ নাগাদ মুসৌরি ম্যালে আমাদের গাড়ি এসে পৌঁছল। এখানে গাড়ি বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেবে না তাই তাড়াতাড়ি মালপত্র-সহ নিজেরা গাড়ি খালি করলাম। হোটেল থেকে লোক এসেছিলেন আমাদের রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে যেতে। ১০ মিটার দূরত্বে রাস্তা চেনার কী আছে। এটাই ভেবেছিলাম। কিন্ত দেখলাম চিনতে হবে। ম্যাল থেকে ঢালু ঘোরানো পথ বেয়ে তিনতলা সমান নেমে আমাদের হোটেল। সোজাসুজি মাপলে ১০মিটার। কিন্তু উল্লম্ব মাপ যে এক কিলোমিটার সেটা হোটেলে এসে বুঝতে পেরেছিলাম।
যে যার ঘর বুঝে নিয়ে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খাওয়া হল।ক্যাপটেন কাল সকালে বেরনো হবে বলে দিয়ে ঘরে চলে গেল।
দু’টো গোটা দিন শেষ হতে চলল রাস্তাতেই বেশির ভাগ সময় রেখে এসেছি। পরের দিনগুলো কী হবে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
কভারের ছবি— কেম্পটি ফলস থেকে মুসৌরি যাবার পথে
ছবি— লেখক
(চলবে)