পাহাড়িয়া বাঁশি বিশেষ ভ্রমণ

মিছিল নিয়ে মুসৌরি— শেষ পর্ব

সৌগত পাল

যেতে হবে লালটিব্বা। সকালে হোটেল থেকে বেরিয়ে ম্যাল রোডে গেলাম। ওখানে গাড়ি ভাড়া। রথীনদা রাতেই জানিয়ে রেখেছিল, ওরা তিন জন যাবে না। সকালে যেন ডাকাডাকি না করা হয়।

লালটিব্বা গাছগাছালি ঘেরা বেশ উঁচু টিলার মতো জায়গা। সেখানে একটা ওয়াচ টাওয়ার বানানো হয়েছে। সেটা থেকে চারপাশটা খুব সুন্দর দেখতে লাগে। ওয়াচ টাওয়ারের নীচে একটা ক্যাফে আছে। এখান থেকে চা কফি কিনে ওয়াচ টাওয়ারে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটল। নিজেদের ছবি ইচ্ছা মতো তোলা হল।

ফেরার পথে দাঁড়ানো হল ‘চার দুকান’এর সামনে। চারটি পাশাপাশি দোকান। এগুলো অনেক পুরনো। ফাস্ট ফুড, চা এসব বিক্রি হচ্ছে। এখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে আবার ম্যাল রোডে। গাড়ি ভাড়া মিটিয়ে হাঁটা লাগানোর পর হঠাৎ পিছনে হইচই। কেউ নাকি গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়েছে। গিয়ে দেখি আমারই অর্ধাঙ্গিনী। সামনে পৌঁছলে তিনি অক্ষত অবস্থায় উঠে এসে অভিযোগের ঝোলা উপুড় করে দিলেন। কোনও কিছুই খেয়াল রাখতে পারি না। একটা জিনিস সামলে রাখতে পারি না। তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারছি না দেখে তিনি দেখালেন যে আমার পকেটে একটি সানগ্লাস রাখা ছিল। গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে গেছিল। রোদচশমাকে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে গাড়ির সামনে ডিগবাজি দিয়েছেন। চশমা উদ্ধার শেষে ম্যালে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম‌। ম্যালের দোকানপাট তখন পুরোপুরি খোলেনি। বাইক ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা বাইকে মুসৌরি ঘুরতে চান তাঁরা এখান থেকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে আসতে পারেন।

ম্যাল পর্ব শেষে ফিরে এলাম হোটেলে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ধনৌলটি। গাড়োয়াল হিমালয়ের ছোট্ট একটা পাহাড়ি এলাকা। ১১টার মধ্যে আমাদের গাড়ি ম্যাল রোড ছেড়ে দুপুরে ১টার কিছু পরে ধনৌলটি পৌঁছে দিয়েছিল। ধনৌলটিতে থাকার ব্যবস্থা ছিল তাঁবুর মধ্যে। মোট ৯টা তাঁবুতে সকলের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল। এই তাঁবুর বুকিং করতে ক্যাপটেনের সঙ্গে এখানকার প্রতিনিধির ফোনালাপের কথা এখন মনে পড়ল। সেই অসামান্য হিন্দির অনুপ্রেরণা কোথা থেকে তা নিয়ে ক্যাপটেন মুখ খোলেননি।

সুরকুণ্ডা মন্দির থেকে সূর্যাস্ত।

আমরা যখন ধনৌলটির কাছাকাছি এসে গেছি তখন ক্যাপটেন তাঁবুর বুকিং অফিসে ফোন করলেন। জানালেন যে আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছে যাব। কথাবার্তা চলছিল। হঠাৎ ক্যাপটেন বললেন, “বাচ্চা পাঁচ, লেকিন চার্জেবেল বাচ্চা দো।’’ ফোন রাখতেই তন্ময়দার প্রশ্ন, ‘চার্জেবেল বাচ্চা’ মানে কী? চার্জ করতে হয়? ক্যাপটেনের ব্যাখ্যা যে বাচ্চাদের ভাড়া লাগবে তারা চার্জেবেল। বাকিরা নর্মাল। বোঝো কাণ্ড!

ধনৌলটি পৌঁছে ব্যাগপত্র যে যার আস্তানায় রাখা হল। আমাদের স্বাগত জানিয়ে দেওয়া হল পানীয়। গোলাপি রঙের প্রচণ্ড মিষ্টি পানীয়। জিজ্ঞেস করে জানলাম, এটা গুরাসের শরবত। গুরাস এখানে প্রচুর পাওয়া যায়। রাস্তায় অনেক গুরাস ফুল দেখেছি। শরবত পর্ব শেষে খাবার খেতে এলাম। ভাত, ডাল, একটা তরকারি। সঙ্গে ডিম কারি চাটনি আর পাঁপর।

খাবার শেষে যাত্রা সাত কিলোমিটার দূরে সুরকুণ্ডা দেবীর মন্দির দেখতে। গাড়ি আমাদের যেখানে ছেড়ে দিল সেখান থেকে মন্দির হেঁটে উঠতে হবে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার। হাঁটার কথায় দলের মিছিল এক তৃতীয়াংশ কমে গেল। উপরে হেঁটে উঠতে কেউ রাজি নয়। সাকুল্যে সাত জন উঠতে রাজি হয়েছে। এদের মধ্যে অনিচ্ছুক কিন্তু বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে এ রকম সদস্য আছে। ক্যাপটেনের পিছনে মার্চ করে যাত্রা শুরু হল সুরকুণ্ডা মন্দিরে। কথিত আছে, এখানে সতীর মাথা পড়েছিল। তাই এই মন্দিরের নাম শিরখণ্ড বা সরখণ্ড। সেটিই লোকমুখে সুরকুণ্ডা নামে পরিচিত। এটি সতীপীঠের অন্যতম। প্রায় ৪৫ মিনিট হেঁটে পৌঁছলাম মন্দির। অবশ্য কেউ একজন শেষে আর না হাঁটতে পেরে হামাগুড়ি দিয়ে উঠেছিল। যদিও পরে সেই কথা তীব্র ভাবে অস্বীকার করে সে।

গুরাস। এরই শরবত খাওয়া হয়েছিল।

মন্দিরের অবস্থান সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত দেখার জন্য একদম আদর্শ। আমরাও সাক্ষী থাকলাম এক অসাধারণ সূর্যাস্তের। সূর্যাস্ত দেখে নামতে থাকলাম নীচে। পাহাড়ে অন্ধকার খুব তাড়াতাড়ি হয়। তাঁবুতে ফিরে সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে পকোড়া আর আড্ডা চলল। ঠান্ডা আজ বাকি দিনের তুলনায় অনেক বেশি। তাই রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে যে যার তাঁবুতে ঢুকে পড়ব। খাবারে বিশেষত্ব তেমন নেই। তবে একটা মিষ্টি ছিল যেটা প্রথমবার খেলাম। পাউরুটিকে চিনির রসে ডোবালে যে রকম হয় অনেকটা সে রকম। কাল অনেকটা রাস্তা যেতে হবে। তাই ঠিক হল সকালের খাবার এখান থেকে প্যাক করে নেব। গাড়িতে যেতে যেতে খাওয়া হবে।

সকালে ৮টার মধ্যে বেরিয়ে পড়া হল। গন্তব্য তেহরি ড্যাম। ভারতের দীর্ঘতম ড্যাম। নীলজলে পূর্ণ তেহরি অসাধারণ সুন্দর। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে রোদের তাপ বেড়েছে। কাল ধনৌলটিতে ঠান্ডায় জমে যাচ্ছিলাম। আর আজ রীতিমতো ঘামতে হচ্ছে। ড্যামের জলে চক্কর কেটে আসার জন্য বোট আছে। তবে একটা বোটে ছ’জন করে যাওয়া যায়। তাই এক বোটে সকলে যেতে পারিনি।

তেহরি ড্যামে বোটিং।

সুন্দর সময় কাটিয়ে শুরু হল লম্বা পথ পাড়ি। সোজা যাওয়া হবে হৃষীকেশ। ওখান থেকে হরিদ্বার। কিন্ত তেহরি ছেড়ে কিছু দূর পর সমস্যা শুরু হল। সদস্যদের শরীর জবাব দিতে শুরু করল। প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কারণ পাহাড়ে গাড়িতে অনেকের অস্বস্তি হয়। তার পর বড় গাড়ি। তাই হয়তো যারা পিছনে বসেছে তাদের সমস্যা হচ্ছে ভেবে সিট বদলাবদলি করা হল। তাতেও কোনও সুরাহা হল না। বেশি উচ্চতা অথবা পাহাড়ি বাঁক যুক্ত রাস্তা কী কারণে অসুস্থতা, সেটা উদ্ধার করা গেল না।

ক্লান্ত অবসন্ন শরীরে খাবার জন্য রাস্তায় থামা হল। তার পর আবার যাত্রা। বিকেলে হৃষীকেশ। হেঁটে পৌঁছলাম বড় রাস্তায়। ওখান থেকে অটো ধরে যাব রামঝুলা আর লছমনঝুলা দেখতে। এখানেও যথারীতি আলাদা আলাদা অটোয় সওয়ার হয়ে যাত্রা। গাড়ি থেকে নামার কারণে বা অনেকটা সমতলে নেমে আসার জন্য শরীরে যে অস্বস্তি ছিল তা গায়েব। তবে দলের কিছু সদস্য গাড়িতেই বসে আছে। তারা আর পথে নামেনি। আমরা ঘুরে এলে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে।

কেবল কার থেকে হৃষীকেশ।

অটোতে ওঠার পর অটোওয়ালাদাদা বললেন, রামঝুলা বন্ধ আছে। তাই আমাদের লছমনঝুলার সামনে নামিয়ে দিলেন। আমরা ঝুলা বা সেতু পার করে নদীর ওপারে গেলাম। হেঁটে বেড়ালাম। নদীর বাঁধানো ঘাটে বসে উপভোগ করছিলাম। আলো ঝলমল নদীর দু’পাড় সাথে আলোর মালায় সেজে উঠা সেতু বেশ লাগছিল। হঠাৎ ক্যাপটেনের তলব এল গাড়ি ছাড়তে হবে। হরিদ্বার পৌঁছতে হবে।

গাড়িতে পৌঁছে দেখলাম ক্যাপটেন গম্ভীর। আমার উপর রাগ হয়েছে দেরি করেছি বলে। বোঝাতে গেলাম যে জায়গাটা ভাল লাগছিল তাই বসেছিলাম। ক্যাপটেন জানতে চাইল, সেতু যখন বন্ধ কোথায় সময় কাটালাম? কথায় কথায় জানা গেল, ক্যাপটেন যে অটোতে গেছেন সেই অটোওয়ালা পুরো রাস্তা নিয়ে গিয়ে বলেছে সেতু বন্ধ আছে। যেখান থেকে উঠিয়ে ছিল আবার পৌঁছে দিয়ে গিয়েছে। এবং দু’পিঠের ভাড়া নিয়েছে। মানে ক্যাপটেনের সঙ্গে ধোঁকা হো গ্যয়া।

হর কী পৌড়ি ঘাটে সন্ধ্যারতি।

ক্যাপটেন গোটা রাস্তা গোমড়া মুখে বসে রইলেন। আমরা হরিদ্বার পৌঁছলাম। আমাদের হোটেল বিষ্ণু ঘাটের কাছাকাছি। বড় গাড়ি ওখানে ঢুকবে না। বড় রাস্তা থেকে অটো নিতে হল। রাতের খাওয়া সেরে ঘাটের কাছাকাছি হাঁটাহাঁটি করলাম। কাল সারাদিন এখানেই থাকা এবং রাতে ফেরার ট্রেন।

সকালে উঠে ক্যাপটেন তাড়া দিলেন। সকলে সদলবলে যাওয়া হবে বিষ্ণুঘাটে স্নান করে পাপমোচন করতে। প্রথম লাইন খুদেগুলোর। ওদের অপরাধ কী জানা নেই। ওই সকালে নদীর ঠান্ডা হাওয়া আর কনকনে জলে ওদের স্নান করিয়ে বাবা-মায়েরা নিশ্চয় অপরাধ করছে। বাচ্চাগুলো সবাই এর প্রতিশোধ নিল। ঠান্ডা জল গায়ে পড়তে সকলে একসঙ্গে কেঁদে উঠল। পরক্ষণেই যে যার মা-বাবাকে কিল ঘুষিতে অস্থির করে তুলল।

আজ আর দূরে কোথাও ঘোরাঘুরি নেই। কাছেই দু’টো মন্দির আছে। পাহাড়ের উপর মনসা আর চণ্ডী মন্দির। যেতে হবে কেবল কারে চেপে। মন্দিরগুলোতে বাঁদরের খুব উৎপাত। রীতিমতো ছিনতাই চালাতে দেখা গেল। অসতর্ক থাকলেই হাত থেকে জিনিস ছিনতাই করে নেবে বানর সেনা।

হর কী পৌড়ির গলিতে দোকানপাট।

মন্দির সফর করে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করতে দল বেঁধে বেরনো হল। এখানে বিখ্যাত দাদা-বৌদির হোটেল। কিন্তু সব হোটেলের নাম দাদা-বৌদির হোটেল। এগুলোর কোনটা আদি তা আমরা ওই সময়ে খুঁজে বার করতে পারিনি। একটা দাদা-বৌদির হোটেলে দুপুরে খাবার খেলাম।

খাওয়া শেষে কিছু লোক হোটেলে ফিরে গেল। আমরা দু’জনে হরিদ্বারের দোকানপাট ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। একটা দোকানে খেলাম রসমালাই। দারুণ তার স্বাদ। ঘুরে ঘুরে বিকেলবেলা এসে পৌঁছলাম হর কী পৌড়ি ঘাটে। সন্ধ্যারতি দেখে একেবারে ফিরে যাব হোটেলে। দলের বাকি সদস্যরা ভাত ঘুম সেরে এসে পড়েছে। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে কেউ কাউকে খোঁজার চেষ্টা না করে সন্ধ্যারতি দেখে ফেরা হল হোটেলে। ব্যাগ গুছিয়ে বেরোলাম রাতের খাবার খেতে। আরও একটা দাদা বৌদির হোটেলে। তার পর অটো চেপে দল বেঁধে হরিদ্বার স্টেশন। এখান থেকেই আমাদের ট্রেন দুন এক্সপ্রেস। আগামী দু’দিন ট্রেনে।

সকালে ঘুম ভেঙে দেখলাম ট্রেন বেশ দেরিতে চলছে। এমনিতেই দুন এক্সপ্রেসের অনেক স্টপ। তার উপর লেট তো শুরু থেকেই ছায়াসঙ্গী। তাই সে রকম পাত্তা দিলাম না। স্টেশনে গাড়ি থামলে নামছিলাম। গরমের তীব্রতা বাইরে বোঝা যাচ্ছিল। লখনউ স্টেশন এলে ক্যাপটেনকে খোঁচালাম, বাতিল হওয়া লখনউ ট্যুরটা শেষে করে নেবে কিনা। ক্যাপটেন তখন হিসাব নিয়ে বসেছেন। তাই খুব একটা পাত্তা পাওয়া গেল না। অযোধ্যা ছাড়ার পর দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।

ট্রেন এখন একটা প্রায় প্ল্যাটফর্ম শূন্য স্টেশনে দাঁড়িয়ে। আমাদের কামরার সামনেই স্টেশন মাস্টারের অফিস। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গেলাম। ক্যাপটেন নিজেদের পরিচয় দিয়ে গল্প জুড়লেন। জানা গেল, একটা মালগাড়ি যাবে। তার পর এই ট্রেনের লাইন পাওয়া যাবে‌। চিরকাল মালগাড়িকে লুপে রেখে এক্সপ্রেস বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন পাস করতে দেখা আমরা এই উলটপুরাণে তাজ্জব হয়ে গেলাম।

বিকেলে ক্যাপটেন দলীয় মিটিং ডাকলেন পরবর্তী ভ্রমণের জায়গা কী হতে পারে তা আলোচনার জন্য। পাহাড়ি পাকদণ্ডীর কবলে পড়ে সিংহভাগ সদস্য পরবর্তী গন্তব্য সমুদ্রে করার জন্য জোর গলায় দাবি জানাতে থাকল। ক্যাপটেনের সহকারী উল্টো সুরে পাহাড়েই ভোট দিয়ে রাখলাম। সিদ্ধান্ত না হয়ে মিটিং তখনের মতো মুলতবি করা হল। এবার ক্যাপটেন সফরের মূল্যায়ন নিয়ে পড়লেন। আমার মতামত জানালাম। দেরাদুনে কিছুই দেখতে পারিনি ট্রেন লেটের কারণে। মুসৌরিতে রাস্তা জ্যামে। মুসৌরিতে একটা দিন বেশি রাখা হলে ভাল হত। ধনৌলটি খুব ভাল লেগেছে। আর তেহরি থেকে হরিদ্বারও ভাল। তবে রাস্তায় শরীর খারাপ লাগায় তাল কেটেছে। শেষ দিন হরিদ্বারে শুয়ে বসেই কেটেছে। সব মিলিয়ে পাস মার্ক পেতে পারে। বড় বা লম্বা ট্যুরে দুই বা তার বেশি প্ল্যান করে রাখা উচিত। যাতে প্রথম প্ল্যান কাজ না করলে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

আলোকিত লছমনঝুলা।

রাত হচ্ছে। ট্রেন এগিয়ে চলেছে বেনারস বা বারাণসী থেকে মোগরসরাইয়ের দিকে। আর স্মৃতির পাতা থেকে উঠে আসছে কর্মজীবনের প্রথম দিনগুলো। ট্রেন মোগলসরাই বা অধুনা দীনদয়াল উপাধ্যায়ে বেশ কিছুক্ষণ থামবে। তাই নেমে প্ল্যাটফর্মটা দু’বার চক্কর দিলাম। দু’চারটে ছবি তুললাম।

ট্রেন ছাড়ার পর ক্যাপটেনকে বিদায় সম্ভাষণ করে ঘুমোতে গেলাম। কারণ ক্যাপটেনের যাত্রা শেষ হবে আসানসোলে। সঙ্গে গোপালদার। বাকিরা নামব বর্ধমান। আসানসোল খুব ভোরে ট্রেন পৌঁছলে সবাই ঘুমিয়ে থাকব।

সকাল ০৮:৩০ নাগাদ ট্রেন পৌঁছে দিল বর্ধমান। ০৯:১০ এর প্যাসেঞ্জার ট্রেন ধরে রামপুরহাট। তার পর আবার সেই গতানুগতিক জীবন। অপেক্ষা পরবর্তী সফরের।

কভারের ছবি— সুরকুন্ডা মন্দির থেকে নীচের জনপদ

ছবি— লেখক

(সমাপ্ত)

One thought on “মিছিল নিয়ে মুসৌরি— শেষ পর্ব

  1. অসাধারণ লেখা, খুব ভালো লাগলো।
    পরবর্তী সফরের অপেক্ষায়……..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *