জলযাত্রা বিশেষ ভ্রমণ

সুন্দরবনে দিন দুয়েক- হেঁতালে ঝোপে ওটা কী!

নন্দিতা দাস

২৭ জানুয়ারি। দুপুর ১২টা। ঘরময় জামা কাপড় ছড়ানো। পাশে একটা লাগেজ ব্যাগ। অর্ধেক গোছানো। বসে বসে ভাবছি, বাকি সব গুছিয়ে নেব নাকি ব্যাগ থেকে জামাকাপড় বার করে নিয়ে আবার আলমারিতে তুলে দেব?

কথা ছিল দক্ষিণরায়ের ডেরায় দিন দুয়েক কাটিয়ে আসার। কিন্তু ইতিমধ্যেই  অগ্রজের ঘর থেকে টুকরো টুকরো দূরভাষিক কথোপকথন কানে আসা এবং পূর্বকথিত দোটানার শুরু। সৌজন্যে একবেমদ্বিতীয়ম আমাদের স্বনামধন্য ইন্দ্রদা –শ্রীমান শ্রীযুক্ত গুবলেটেশ্বর।

কথা ছিল রাত ১১টায় গাড়ি ছাড়বে। সেই মতো আমরাও প্রায় প্রস্তুত। যাত্রা শুরুর আর ১২ ঘণ্টাও বাকি নেই। কিন্তু গাড়িই তো পাওয়া যায়নি। এবং সেই নিয়েই পাশের ঘরে তুমুল হট্টগোল। প্রায় ঘণ্টাখানেক ফোনাফুনির পর অবশেষে গাড়ি পাওয়া গেল। দু’টো টাটা সুমো এবং একটি ইনোভা। এবারে দল বেশ ভারী। ইন্দ্রদা গ্রুপ ট্যুর আয়োজন করেছে। সকলে মিলে সুন্দরবন।

রাত ১১টা বেজে ১৫ মিনিট। গাড়ি যিনি নিয়ে আসছেন, তন্ময়দা, দাদার স্কুলের বন্ধু। ফোন করে বললেন বাইরে দাঁড়াতে। আমাদের নিয়ে একেবারে মিটিং পয়েন্টে যাবেন। সেখানে অন্য দু’টি গাড়ি অপেক্ষা করবে। বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে জানুয়ারির কনকনে ঠান্ডায় আমি, মা এবং দাদা দাঁড়িয়ে আছি রাস্তায়। গাড়ি আর আসে না। তন্ময়দাকে ফোন করে জানা গেল, চাকা পাংচার। বদলে নিয়ে আসতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। আমি তখন ভাবতে শুরু করেছি, আমাদের যাত্রামঙ্গল আসলে ঠিক কী রকম হতে চলেছে। শুরু থেকেই বাধা এবং বিপত্তি।

দেখা দিলেন সূর্যদেব।

অবশেষে সব গুছিয়ে গাড়ি ছাড়া হল। মধ্য রাতের শুনশান কুয়াশা মোড়া ১৫ নম্বর রাজ্য সড়ক ধরে তিনটে গাড়ি ছুটল বাঘ-কুমিরের দেশের দিকে। অঙ্কুরহাটিতে একটু থেমে গাড়ির চাকা সারিয়ে নেওয়া হল। তার পর দৌড়। দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার করে রাতের বাসন্তী হাইওয়েতে গাড়ি ছুটছিল মসৃণ গতিতে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার রাস্তা। এসে পৌঁছালাম গদখালি ফেরি ঘাট। মাঝে একবার গাড়ি থামিয়ে চা বিরতি। ইন্দ্রদা বলল জায়গাটার নাম মালঞ্চ।

গদখালি ফেরি ঘাটে গাড়ি রেখে লঞ্চে যাওয়া হবে বালিদ্বীপ। ফেরিঘাটে অপেক্ষা করছি ১৫ জন মানুষ। ফেরিঘাট অন্ধকারে ডুবে আছে। নদীর উপর জমাট বাঁধা কুয়াশা। একটা বাল্ব দপদপ করছে কেবল। একেবারে ভূতের গল্পের প্লট। দলে এবার বাচ্চা আছে বেশ কয়েকজন। একজন এক্কেবারে শিশু। তারা অধৈর্য হয়ে পড়েছে। বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষার পর কুয়াশার বুক চিরে লঞ্চ এসে ভিড়ল ফেরিঘাটে। এম.বি.অঞ্জলি। নদীতে তখন ভাটা। জল নেমে গেছে অনেকটাই নিচে। নিজেকে এবং মালপত্র সামলে জেটির কর্দমাক্ত সিঁড়ি বেয়ে নেমে এলাম লঞ্চের কাছে। ঢেউয়ের ধাক্কায় লঞ্চ দুলছে মৃদু। এইভাবেই নাকি উঠতে হবে। বলে কী! বুকে সাহস নিয়ে উঠে পড়লাম। লঞ্চের পেটের ভিতর মালপত্র জমা করে ডেকে এসে বসলাম। কয়েকজন নীচে রয়ে গেলেন একটু ঘুমিয়ে নেবার জন্য।

সকালেই জীবনযুদ্ধ শুরু এই দম্পতির।

লঞ্চ ততক্ষণে গদখালি ছেড়ে এগোতে শুরু করেছে। লঞ্চের সারথি অশোকদা। তাঁর সহকারী রাজদা। ওঁদের জিজ্ঞাসা করে জানা গেল নদীর নাম বিদ্যা। অন্ধকার ফিকে হয়ে এসেছে ততক্ষণে। নদীর পার বরাবর উঁচু বাঁধ। গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছেন সূর্যদেব। জোলো হাওয়া সোয়েটার ভেদ করে কাঁপিয়ে দিচ্ছে ভিতর পর্যন্ত। লঞ্চের ইঞ্জিনের বিরক্তিকর আওয়াজটাও আর কানে লাগছে না তেমন। বসে বসে মুগ্ধ বিস্ময়ে প্রকৃতির শোভা দেখছি। মাঝে মাঝে লঞ্চের দুলুনিতে ঝিমুনি ধরছে। এই কয়েক ঘণ্টাতেই মনে হচ্ছে যেন দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবন ফেলে এসেছি বহুদূর। তবে আমাদের ব্যস্ততা না থাকলেও তিনজন ভীষণই ব্যস্ত। লঞ্চে উঠেই তাঁরা লেগে পড়েছেন রান্নায়। কাজেই সূর্যোদয়ের শোভা উপভোগ করতে করতেই চলে এল ধোঁয়া ওঠা গরম কফি। নদীর দুইপাশে গ্রামগুলো জেগে উঠছে আস্তে আস্তে। শান্ত, নিস্তরঙ্গ জীবনের জলছবি। কোথাও নদীর পাড়ে এক হাঁটু কাদায় দাঁড়িয়ে জাল ফেলে মাছ ধরছেন বৃদ্ধ দম্পতি। সূর্য যত মাথার উপরে উঠছে কুয়াশা কেটে গিয়ে পরিষ্কার হচ্ছে চারপাশ।

বাদাবনের পরিচিত দৃশ্য।

এমন সময় রাজদা এসে ইন্দ্রদাকে জলখাবারের মেনু জিজ্ঞাসা করলেন। লুচি আর আলুরদম শুনে রাজদার অভিব্যক্তি দেখে আমরা নিশ্চিত, গুবলেটেশ্বর আবার কিছু গুবলেট করেছে। ঠিক তাই। লুচি হবে ময়দা কোথায়? অবশেষে দেখা গেল অনেক কিছুই মিসিং। মুস্কিল আসান হয়ে এলেন অশোকদা। বললেন বালিদ্বীপের বাজারে সবই মোটামুটি পেয়ে যাব আমরা। 

গদখালি থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার পথ পেরিয়ে আমরা এসে নামলাম বালিদ্বীপের ফেরি ঘাটে। আপাতত এখানেই আমাদের দিন দেড়েকের ঠাঁই। হোটেলে গিয়ে স্নান করে তৈরি হয়ে নিলাম সকলে। তার পর বেরিয়ে পড়লাম সারাদিনের জল এবং জঙ্গল যাপনে।

আমাদের প্রথম দিনের ভ্রমণ তালিকায় ছিল দোবাঁকি এবং নেতা ধোপানির ঘাট। কোর এরিয়া। অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। বালিদ্বীপেই বন দফতরের অফিস। ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্ট রেঞ্জ। ওখান থেকেই একজন গাইড দেওয়া হয় সঙ্গে। অনুমতি এবং গাইডকে সঙ্গে নিয়ে আমরা রওনা দিলাম দোবাঁকির দিকে। লঞ্চ ছাড়তে না ছাড়তেই জলখাবারের গরম গরম লুচি আলুরদম এসে হাজির। লুচি আলুরদম খেতে খেতে গাইড ভবতোষবাবুর কথা শুনতে শুনতে আমরা এগিয়ে চললাম।

নদীর পারে কৌতূহলী হরিণশিশু।

নদীতে তখন জোয়ার এসে গেছে। নীলচে সবুজ জল এসে আছড়ে পড়ছে লঞ্চের গায়ে। বাঁদিকে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল নাইলনের মোটা জাল দিয়ে ঘেরা। দক্ষিণরায়ের বাহনকে আটকে রাখার ক্ষুদ্র প্রয়াস আর কী। গাইড ভদ্রলোক বললেন এটি পিরখালির জঙ্গল। ডানদিকে সীমাহীন জলরাশি। জলের রং এক এক জায়গায় এক এক রকম। পাঁচটি নদী এসে মিলেছে এখানে। তাই নাম পঞ্চমুখানি। দেখে মনের ভাব জাগে, ‘আহা কী দেখিলাম! জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না’। এ যেন সুন্দরবনের হাইওয়ে। কেবল কোনও দিক নির্দেশক নেই, নেই কোনও মাইলফলক। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম অশোকদাকে, মনে রাখেন কী করে ? উত্তরে মৃদুভাষী মানুষটি স্মিত হেসেছিলেন কেবল। জেনেছিলাম, আজ প্রায় ১৪ বছর এই নোনাজলের দেশে পর্যটকদের জঙ্গল ভ্রমণ করাচ্ছেন। তাই হয়তো তার অভিজ্ঞ চোখ পথ ভুল করে না।

প্রকৃতির ঢাল। ম্যানগ্রোভ অরণ্য।

সুন্দরবনের জঙ্গল ভারতের অন্য যে কোনও জঙ্গলের থেকে ভৌগোলিক এবং জীববৈচিত্রগত দিক দিয়ে ভীষণ স্বতন্ত্র। জোয়ারের সময় যে পথে গিয়েছি, ভাটায় তাকেই অন্যরকম লাগে।  গাইড ভবতোষবাবু এখানকার গাছপালা এবং বন্যপ্রাণীর বর্ণনা দিচ্ছিলেন। ২০২৪ সালের বাঘসুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাঘের সংখ্যা বর্তমানে ১০২। তবে তেনাদের দর্শন পাওয়ার চেয়ে লটারিতে কোটি টাকা জেতার সম্ভবনা বেশি। নদীর পাড়ের কাদামাটি ফুঁড়ে শলার মতো উঁকি দিচ্ছে ম্যানগ্রোভের শ্বাসমূল। তার ফাঁকে ফাঁকে শিকারের খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে বক, ডাহুক, whimbrel বা ছোট গুলিন্দা জাতীয় পাখি। গাছের ডালে মাছরাঙা। প্রায় আট রকমের মাছরাঙার বাস এই বাদাবনে।

বেলা ১১টা নাগাদ আমাদের লঞ্চ এসে ভিড়ল দোবাঁকি ক্যাম্পে। জেটির নীচে কাদা মাটিতে খেলে বেড়াচ্ছে অসংখ্য লাল কাঁকড়া। একটু শব্দ পেলেই চোখের নিমিষে মিলিয়ে যাচ্ছে গর্তে। তাই এদের নাম ঘোস্ট ক্রাব। দু’পাশে জঙ্গল। মাঝখান দিয়ে দু’পাশে তারের জাল দিয়ে ঘেরা ক্যানোপি ওয়াক। প্রায় দু’ মানুষ উঁচু। ওখান দিয়ে হেঁটে এসে উঠতে হয় ওয়াচ টাওয়ারে। এ যেন জুরাসিক পার্কের সুন্দরবন ভার্সন। হাঁটতে হাঁটতে নীচে তাকালে চোখে পড়ে অজস্র হরিণের খুরের দাগ। এবং তারই মাঝে মাঝে মহারাজার পদচিহ্ন। ওয়াচ টাওয়ারে ভিড়। মানুষজন নিজস্বী তোলায় ব্যস্ত। অগ্রজের হাতে ক্যামেরা। লক্ষ্য করলাম অনেকক্ষণ ধরে এক দিকে তাক করে আছে। পাশে গিয়ে উঁকি মারলাম। বেশ খানিক দূরে একটা গাছের মগডালে বেশ বড় আকারের একটা বক জাতীয় পাখি। পরে ছবি দেখে জেনেছিলাম পার্পল হেরন।

দৃশ্যপট তৈরি হয় যেতে যেতে।

ওয়াচ টাওয়ার থেকে নেমে চললাম লঞ্চের দিকে। ক্যাম্পের ভিতরে ছোট ছোট জলাশয়। রিভার টেরাফিন বা বাটাগুর বাসকার কৃত্রিম প্রজনন ক্ষেত্র। এক ধরনের কচ্ছপ। পুরো শরীর জলের তলায় রেখে কেবল নাকটুকু বার করে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রাণীগুলো। পাশেই বনবিবি আর বাঘদেবতার মন্দির। ছোট একটা টিনের শেড। তাতে বাঘের পিঠে বনবিবির মূর্তি। সকল বিপদে আপদে বাদাবনবাসীকে রক্ষা করেন তিনি।

ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে লঞ্চে উঠতে যাব, অশোকদার সতর্কবাণী কানে এল, “গোলমাল না করে তাড়াতাড়ি লঞ্চে উঠুন। কুমির আছে। ওই পাড়ের দিকে যাচ্ছে। দেখতে পাবেন।“ যেই বলা সেই কাজ। হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লাম সবাই লঞ্চে। তিনি তখন ভাসতে ভাসতে চলেছেন ওই পাড়ে। ঠিক যেন একটা গাছের গুঁড়ি। আমাদের তখন আর পায় কে! তবে এই বেজায় শোরগোলে কুমির মহাশয় বড়ই বিরক্ত হলেন মনে হয়। বেশ খানিক দূরে সরে গিয়ে পাড়ে উঠে শুয়ে পড়লেন লম্বা হয়ে। আমরাও লঞ্চ ঘুরিয়ে চললাম পরবর্তী গন্তব্যের দিকে।

দক্ষিণরায়কে আটকাতে।

যেতে যেতে মধ্যাহ্নভোজন সেরে নেওয়া হলো। চলেছি নেতা ধোপানির ঘাটের দিকে। লঞ্চ ঢুকে পড়েছে খাঁড়ির ভিতর। খাঁড়ির নাম দেউল ভরানি। দু’পাশের জঙ্গল ঘন হয়ে সরে এসেছে একেবারে কাছে। জলের উপর ঝুঁকে আছে হেঁতাল ঝোপ। মহারাজের লুকিয়ে থাকার জায়গা। হলুদ-কালো ডোরাকাটা দাগ হেঁতাল পাতার আড়ালে আলোর লুকোচুরির সঙ্গে মিশে যায় বেমালুম। লঞ্চের দু’দিকে আমি আর অগ্রজ ক্যামেরা তাক করে বসে। যদি তিনি দেখা দেন। গাইডের নির্দেশ, এক্কেবারে শান্ত থাকতে হবে। গোলমাল করা চলবে না। কিন্তু ভোজনরসিক, আড্ডা পিপাসু বাঙালিকে ক্ষণিক চুপ করিয়ে রাখে সে সাধ্যি স্বয়ং জাতীয় পশুরও নেই।

ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির স্মারক স্তম্ভ।

ওই হইহট্টগোলের মধ্যেও কয়েকটা হরিণ আর বেশ কিছু পাখির দেখা মিলল। আর দেখলাম একটা গোসাপ। গায়ে তার সোনালি আভা। শান্ত, নিস্তরঙ্গ চারপাশ। দুপুর রোদে জঙ্গল ঝিম মেরে আছে। লঞ্চের কোলাহলও অনেক থেমে এসেছে। হঠাৎ চিৎকার কানে এল, ‘বাঘ! বাঘ!’ তড়িঘড়ি উঠে এলাম রেলিঙের কাছে। ওই তো! হলদে মতো কী যেন একটা হেঁটে চলেছে হেঁতাল ঝোপের আড়াল দিয়ে। চটজলদি ক্যামেরা তাক করে ফ্রেমবন্দি করতে চাইলাম। ভাল এল না ছবি।

এত উত্তেজনার মধ্যেও গাইড ভদ্রলোক দেখলাম এক্কেবারে তাপ-উত্তাপহীন। প্রথমে ভাবলাম বোধহয় প্রায়ই তেনাদের দেখা পান বলে এমন নিস্পৃহ। আসলে ওঁর অভিজ্ঞ চোখ আগেই বুঝে গিয়েছে আমরা যাকে সোঁদরবনের রয়্যাল বেঙ্গল ভাবছি, আসলে সে লালমুখো বাঁদর। Rhesus Macaque। ক্যামেরার ঝাপসা ছবি জুম করে অনেকক্ষণ ধরে দেখে বোঝা গেল সত্যিই তাই।

যেন কাঠের গুঁড়ি ভাসছে।

প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক চলার পর এসে পড়লাম গাজি খাল। গাজি খাল পেরিয়ে গোসাবা নদী। প্রায় বিকেল তিনটে নাগাদ এসে নামলাম নেতা ধোপানির ঘাটে। সেই মনসামঙ্গলের নেতা ধোপানি। ওয়াচ টাওয়ার আছে এখানেও। আর আছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্র ঘোষণার ফলক। ১৯৮৭ সালে সুন্দরবনকে এই খেতাব দেওয়া হয়েছে অনন্য এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের জন্য।

আমি চলেছি ছবি তুলতে তুলতে। বোর্ডের লেখা পড়তে পড়তে। ততক্ষণে সকলে ওয়াচ টাওয়ারের উপর। আমার মাতা এবং ভ্রাতাও। হঠাৎ কানের এল উপর থেকে অগ্রজ ডাকছেন, “ ওগুলো তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না। এখানে আয়। না হলে একটা জিনিস ফস্কে ফেলবি।“

ছবি— লেখিকা, ইন্দ্রজিৎ সাউ, দীপশেখর দাস

(চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *