সৌগত পাল লেখাটা শুরু করার আগে ভাবছিলাম লিখব কী। নদীর নামে স্টেশনের মধ্যে এটা রাখা চলবে কিনা। কারণ যে স্টেশনের কথা হচ্ছে সেটা ঠিক নদীর নামে স্টেশন নয়। নদীর উপর ব্রিজের নামে। শেষমেষ দেখলাম, নদী যখন উপস্থিত তখন লিখতে কোনও বাধা নেই। এ স্টেশনও সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের। আগের দু’টো লেখা স্টেশনের মতো (কোপাই আর গুমানি) […]
Author: jathatatha
ইস্টিশন ইস্টিশন
দীপক দাস ডোমজুড়— রাজপাট হারানো এক স্টেশন ‘কাল ছিল ডাল খালি আজ ফুলে যায় ভরে’। রবি কবির আশাবাদী ছড়া। কিন্তু স্টেশনের ইতিহাসে ছড়াটা পুরো উল্টো। ‘কাল ছিল যাত্রী ভরা, আজ সবাই যায় চলে’। দক্ষিণ-পূ্র্ব রেলের হাওড়া-আমতা রুটের স্টেশন ডোমজুড়। কী ভাবে একটা স্টেশন গুরুত্ব হারিয়ে প্রায় পরিত্যক্ত, নির্জন হয়ে যায়, তার বড় উদাহরণ। রেল রুটের […]
বুলবুলের সঙ্গে ইটাচুনা রাজবাড়ি
তনয়া মুখোপাধ্যায় কোনও ভ্রমণ গ্রুপের সদস্য হলে কোনওদিন মনে হয় না বাড়িতে কাটাচ্ছি। সবসময় বেশ বিনা খরচে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানো যায়। কিন্তু সত্যি যখন পরপর মাসগুলোর সারা সপ্তাহ জুড়ে MS excel আর সপ্তাহান্তে Surf excel বিরাজ করে তখন সব ফেলে কোথাও একটা পালানো ছাড়া গতি থাকে না। বড় বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গী বা ছুটি কোনওটাই […]
কেঁদতল-কুসুমতল-ঝিলিমিলি— শেষ পর্ব
দীপক দাস আমরা যে বাসে ঝিলিমিলি চলেছি তার নাম ‘নীলকণ্ঠ’। বাস ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় কন্ডাক্টর রোহিণীদার আর তেমন কাজ ছিল না। মাঝে এক রসিক ছোকরার লোক হাসানোর চেষ্টার ঠেলায় অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। রসিক মানে রসবোধওলা নয়। পানরসিক। পুজোর সময়ে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। সেই খুশিতেই চড়িয়েছে দু’পাত্তর। বা দুই পলিথিন। কী টেনেছে সেটা তো আর জিজ্ঞাসা করা […]
কেঁদতল-কুসুমতল-ঝিলিমিলি
দীপক দাস অটো থেকে নেমে ঝিলিমিলি যাওয়ার বাস পেয়ে গেলাম। শুনতে চামচ থেকে সসপ্যানে মাখনের টুকরো পড়ে হড়কানোর মতো মসৃণ মনে হল তো? কিন্তু এবারের সফর মোটেও সহজ ছিল না। পদে পদে বাধা। বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধার অভিসারের যাওয়ার পথের থেকেও সঙ্কটময়। একেবারেই চলইতে শঙ্কিল পঙ্কিল বাট’। এবারের পুজোর সফরে দল ভারী হবে মনে করা হচ্ছিল। […]
বালমিঠাই বনাম রসকদম্ব
দীপক দাস মিষ্টি নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে কোনওদিন ভাবিনি। সাহিত্যে একটা তুলনামূলক শাখা হয়। পড়াশোনা করে ডিগ্রিও পাওয়া যায়। এক সময় খুব ইচ্ছেও ছিল পড়ার। কিন্তু নম্বরে কুলিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে…তুলনামূলক মিষ্টি। গোলটা বাঁধিয়েছে বাল মিঠাই। উত্তরাখণ্ডের মিষ্টি। আসলে আলমোড়ার। আলমোড়ার দু’টো মিষ্টি স্পেশাল। তার একটা হল বাল মিঠাই। না, এর মধ্যে আলমোড়ায় যাওয়া […]
অভিমানী নদী গুমানী, স্টেশনও
সৌগত পাল গুমানী কথাটার অর্থ হিন্দিতে অভিমানী। ছোট্ট একটা নদী। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। সামনেই নদীর নামে স্টেশনও। সেটাও নদীর মতোই ছোটোখাটো। আগের স্টেশন কোটালপুকুর। আর একটু বড় স্টেশন পাকুড়। গুমানী ছোটখাট হলেও একটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণটা হল, এটা রেল বর্ডার। মানে পূর্ব রেলের হাওড়া আর মালদহ ডিভিশনের বর্ডার। এই স্টেশন পর্যন্ত হাওড়া ডিভিশনের […]
এক রাতে তিন জেলার পুজো
বিভাস বাগ পুজোর সময়ে বাড়ি থেকে পালাই, প্রতি বছর। প্রতি বছর মানে বেশ কয়েক বছর ধরে এটাই চলছে আমাদের। আমাদের মানে ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপের। ওহ্! আমাকে তো চিনতে পারছেন না? ওই যে দীপু, ইন্দ্রদা, গার্ডবাবু, বড়দার লেখায় যাকে ‘ছোটা ডন’ বলে লেখা হয়, আমিই সেই ডন। অনেক সময়ে বাবলা বলেও লেখা হয়। ওটা […]
ছানাবড়ার ছুটোছুটিতে দইয়ের ঝুড়ি
দীপক দাস ঘাঁটি গেড়েছিলাম ওমরাহ গঞ্জে। আমি আর ইন্দ্র। জায়গার নাম শুনেই মালুম অভিজাত এবং ক্ষমতাবানদের এলাকা। নবাবি আমলের আমির ওমরাহ থাকতেন এখানে। দিল্লির কনট প্লেসের মতো। ভাবছেন নিশ্চয় নবাবি খানা খেতে ঘাঁটি গেড়েছি আমরা? ভাবনার জন্য দোষ দেওয়া যায় না। সঙ্গে যখন ইন্দ্র আছে তখন এমন ভাবনাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা নবাবি খানার খোঁজে ওমরাহ […]
ফরাসি গঙ্গার পার আর ওলন্দাজ গোরস্থানে বিপদ
দীপশেখর দাস আমাদের যথা ইচ্ছা তথা যা দলের পথচলা শুরু মঙ্গলযাত্রা দিয়ে। দলের অধিনায়ক দীপকদার সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবারে। সহ-অধিনায়ক (সময় বিশেষে অধিনায়ক) ইন্দ্রদাও ব্যবসা বন্ধ রাখে ওই দিন। বাকি আমি, বাবলা, সৌগতরা তখন অকেজো। কাজেই আমাদের অফুরন্ত সময়। তাই আমাদের যাত্রা হত ওই মঙ্গলেই। ক্রমেই আমি, বাবলা, সৌগত বড় হলুম। মঙ্গলবারে ব্যস্ত হয়ে পড়লুম। ক্যাপ্টেন […]