দীপক দাস সেবারের সেই ট্রেন সফরের কথা মনে পড়লে দু’টো ছবি ভেসে ওঠে। একটা ছবিতে শুধু সুন্দর…সুন্দর আর সুন্দর। ভূত দেখতে যাওয়ার রোমাঞ্চটা কবেই যেন চাপা দিয়েছে প্রকৃতি। অনন্ত, অপরূপ প্রকৃতি। আরেকটা ছবিতে একটা ফিচেল হাসি। শয়তানির হাসিও বলা যায়। অল্প প্রসারিত হওয়া ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরনো কথাগুলোও মনে পড়ে, ‘বাগালিয়া, কী বাগালিয়া?’ বাগিয়ে নেওয়ার […]
বিশেষ ভ্রমণ
মনোহরার পাশে জনাইয়ের আরও তিন
দীপক দাস মিষ্টি-নামে অনেক কিছু এসে যায়। এ হল মিষ্টিমহলের আনাচেকানাচে ঘোরাঘুরির কিঞ্চিৎ প্রত্যয়। না হলে একটা মিষ্টির গোঁফ কামাতে ৭-৮ বছর লাগে! তা-ও গুপো আর গুঁফোর আধার কার্ডের তথ্যে ভুল থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা। গুপো আর গুঁফো একই দেহে ভিন্ন নাম? নাকি কুল আলাদা? সঠিক জেনে উঠতে পেরেছি, এমন দৃঢ় দাবি করার আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না। […]
গড়, মন্দির, মার্টিন রেলের বাহিরগড়
দীপক দাস একটা পুকুর। পাড়ে বাঁশবাগান ও অন্য গাছ রয়েছে। গাছের পাতা পড়ে পুকুরের জলে সম্ভবত বহু অণুজীব জন্মেছে। জলের উপরিভাগে কেমন একটা একটা লালচে সর পড়েছে। জলের রংটাও সবুজ। পুকুর পাড়ে একটা বাঁধানো চাতাল। সেটির পুকুরের দিকের অংশে দু’টি লম্বাটে বাঁধানো বসার জায়গা। দু’টো মিলিয়ে ইংরেজি এল অক্ষরের মতো রয়েছে। একটা পুরনো, ক্ষয়াটে। আরেকটি […]
ওড়িশার পটচিত্রের গ্রাম রঘুরাজপুরে
তনয় শীল যাত্রা শুরু হয়েছিল জগন্নাথদেব দর্শনে। কিন্তু হঠাৎ জানা তথ্যে অটো চাকা বেঁকে গেল শিল্পীদের এক গ্রামের দিকে। দেবদর্শনের আগে শিল্পী দর্শন। সেই গ্রামেও অবশ্য দেবদর্শন হয়েছিল। জগন্নাথদেবেরই দর্শন। একটু অন্য ভাবে। সে কথা বলতেই আজ ফিরে আসা। গত ১৯ নভেম্বর, ২০২১ সাল। সন্ধ্যে ৭টা ৫ মিনিটের ‘হাওড়া-পুরী’ এক্সপ্রেস। চেপে বসেছিলাম মাকে নিয়ে। রওনা […]
একটি মিষ্টির দোকান ও বিভূতিভূষণের স্মৃতিপথ
দীপক দাস খোঁজ শুরু হয়েছিল পান্তুয়ার। পথ গিয়ে মিলল ‘পথের কবি’র পদপ্রান্তে। তার পর তাঁর পদচিহ্ন ধরে সফরের আয়োজন। এ সফরের স্বাদ অনেক রকম। মিষ্টি, কষায়। সফরের শুরুটা কিন্তু আকস্মিক। দলের সকলেই ব্যস্ত। একা একা ‘হেথা নয় অন্য কোথা’ করে বেড়াচ্ছিলাম। হঠাৎ একদিন দীপুবাবুর ফোন, ‘‘কচি আসবে। একটা জায়গা ঠিক করো। মঙ্গলবার বেরোব।’’ কচি মানে […]
ক্যাম্প…কমলালেবু…বরোলি…ভিস্তা ডোম— শেষ পর্ব
সৌগত পাল তিস্তার জলে রাফটিং করার ইচ্ছে ছিল। সকালে দেখলাম জল কমে গিয়েছে। তাই লুচি তরকারি খেয়ে তিস্তাকে বিদায় জানিয়ে চললাম কার্শিয়াংয়ের দিকে। কার্শিয়াংয়ে সন্তোষদার ছেলে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করে। ছেলেকে কিছু জিনিসপত্র দিয়ে সন্তোষদা আমাদের নিয়ে চললেন ডেলো পাহাড়ে। আমরা শুধুই বেড়াতে যাচ্ছি। বৈঠক করতে নয়। ডেলো পার্কে ঢোকার জন্য টিকিট করতে হয়। ভিতরে […]
ক্যাম্প…কমলালেবু…বরোলি…ভিস্তা ডোম
সৌগত পাল আমার সহকর্মী দেবাশিস একটা কথা বারবার বলে, ‘‘আমার কোনও কাজ সহজে হয় না। একবারে হয় না।’’ দেবাশিসকে নিয়ে বলতে গেলে একটা গোটা লেখা হয়ে যাবে। আজ ওকে নিয়ে লেখার দিন নয়। আজ লিখব দীপুদাকে নিয়ে। না, ইনি আমাদের কালো বেড়াল দীপুবাবু নন। বাঙালির চিরকালীন দীপুদা। দীপুদার সূত্রে দেবাশিসেরর কথাটা মনে পড়েছিল। দীপুদার দা […]
দেবী বসুমাতার উৎস সন্ধানে
দীপক দাস নজর ঘুরেছিল আচমকাই। ওই রাস্তা দিয়ে বারকয়েক গিয়েছি। ছাত্রাবস্থায় এবং সম্প্রতি। কিন্তু নজরে পড়েনি। ওইদিকে গেলে ভুলেশ্বর মন্দিরই চোখ টেনে নেয়। আর আমার দরকারও থাকে ভুলেশ্বর মন্দিরে। ডোমজুড়ে ৫৭ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে বাঁ দিকের রাস্তাটা ভুলেশ্বর মন্দিরের দিকে গিয়েছে, এটাই দিগনির্দেশ। একদিন হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ে একটি প্রাথমিক স্কুল, বসুমাতাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়। […]
দিনেমারদের ফ্রেডরিক নগরে এক দুপুরে
দীপক দাস খেতে গিয়ে ঘোরা হয়ে গেল। ঘুরতে গিয়ে খাওয়াদাওয়ার বাহুল্য আমাদের থাকে না। আবার খেতে গেলে ঘুরতে পারা যায় না। তখন শুধু স্বাদ সন্ধান চলে। এবার একটু ব্যতিক্রমই হল বলা চলে। কিশোর কুমারের ‘যানা থা জাপান পৌঁছ গয়ে চিন’এর মতো পুরোপুরি না হলেও খানিকটা সেরকমই। গুটকে সন্দেশ খেতে শ্রীরামপুর গিয়েছিলাম। তার আগে ভাই শ্রীধর […]
গুটকে সন্দেশ আর দুই কিংবদন্তী
দীপক দাস মিষ্টির এমন মজারু নাম কখনও শুনিনি। মজার জন্য মিষ্টি তৈরি হয়েছে। যেমন সূর্য মোদকের জলভরা তালশাঁস সন্দেশ। জামাই ঠকাতে তৈরি। এটিও সন্দেশ। কিন্তু নাম শুনলেই মনে হয়, পাড়ার কোনও ফাজিল ছোকরা এই বুঝি মুখ ফস্কে কিছু বলে ফেলল। সন্দেশের নাম গুটকে। পাড়ায় পাড়ায় কত গুটকে এক সময় ছিল। সন্তানের নামকরণে এবং ডাক নামে […]