দীপশেখর দাস “ভগবান বুলা রাহে হে। চলো কাল বদ্রীনাথ ধাম হি চলতে হে”— রাতে খেতে বসে বললেন দীনেশ স্যার। আচমকা এমন কথায় আমি আর নিকেশ তো প্রায় বিষম খাই আর কী! স্যর বেশ ঈশ্বরভক্ত। উত্তরাখণ্ডেরই লোক। চামোলি জেলার। তিনজনে ফুলের উপত্যকায় গিয়েছিলুম ওখানকার ‘ঘাসপুসের’ খবর অন্বেষণে (যেখানে ব্রহ্মকমল ফোঁটে দ্রষ্টব্য)। ফুলের উপত্যকার খুব কাছেই বদ্রীনাথ […]
বিশেষ ভ্রমণ
পেলব দানাদারের খোঁজে এক মঙ্গলবার
দীপক দাস দানাদার কখনও উপমা হতে পারে! না বোধহয়। উপমা হতে গেলে গুণ লাগে। রূপ-রস-গন্ধের গুণ। সংস্কৃত সাহিত্য থেকে একগাদা উদাহরণ দেওয়া যায়। দাড়িম্বদানার মতো দন্ত, পক্ব বিম্বোধরোষ্ঠী, চন্দনের সুবাস ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু দানাদারের এমন কোনও গুণ নেই। মিষ্টিমহলে দানাদার তেমন অভিজাত নয়। মিষ্টি নিয়ে সাহিত্যে কোনও উপমা নেই। থাকলেও আমার জানা নেই। যদি থেকেও […]
সপ্ত দহে মজে ছয় ঘুরনচাকি
দীপক দাস মন খারাপ? তা ঘুরতে গেলেই তো পারো! সুকুমার রায়ের বেড়ালের মতো কেউ যদি পরামর্শ দিতে আসেন তাহলে হাতাহাতি বাধার সম্ভাবনা প্রচুর। বললেই এখন বেরিয়ে পড়া যায় না। আগে পাঁজিতে শ্লেষা, মঘা, যাত্রা নাস্তি দেখে বেরনোর সিদ্ধান্ত হত। এখন হরবকত বদলে যাওয়া লকডাউনের তারিখের দিকে নজর রাখতে হয়। যে এলাকায় যেতে চাই সেখানকার পরিস্থিতি […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— দ্বিতীয় পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা ১। ইস্টিকুটুম বাংলায় বহু পাখির সঙ্গে নানা কিংবদন্তী জড়িয়ে রয়েছে। ইস্টিকুটুম সেরকমই একটি। সারা গা হলুদ, ডানা আর মাথায় কালো রংয়ের পাখিটিকে অনেকে আবার বেনেবউও বলে থাকেন। বাংলার অতি পরিচিত পাখিদের মধ্যে একটি। দুপুরবেলা বা পড়ন্ত বিকেলে পাখিটির ডাক দারুণ লাগে। হাওড়া জেলায় যথেষ্টই দেখা যায়। তবে অনুমান, বছর কুড়ি আগের […]
নবাবের ওয়াসিফ মঞ্জিলে একদিন
ফারুক আব্দুল্লাহ ১৭৬৫ সালের কথা। সেই বছরই মুঘল বাদশাহ বাংলার নবাবদের হাত থেকে দেওয়ানির অধিকার বা রাজস্ব আদায়ের অধিকার কেড়ে নিলেন। সেই অধিকার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে দিলে নবাবদের অর্ধেক ক্ষমতা কমে যায়। অবশিষ্ট ক্ষমতাটুকুও নবাব মুনসুর আলির খান ফেরাদুন জা’র আমলে চলে যায়। সেটা উনবিংশ শতকের অন্তিম লগ্নে। আসলে নবাব মুনসুর আলির খান […]
ইস্টিশন ইস্টিশন— চতুর্থ পর্ব
দীপক দাস জালালসি— মল্লিকদের সেলুন কার সে বহুদিন আগের কথা। তখনও আমাদের ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপ হয়নি। ওয়েবসাইটি তো আরও দূরের কথা। কিন্তু মাঝে মাঝে বাইক নিয়ে বেরোতাম আমরা। একবার বেরিয়েছিলাম আমি আর ইন্দ্র। মাজু পেরিয়ে রাস্তার পাশে একটা বাড়ি দেখে একটু থমকেছিলাম। বাড়ি না বলে প্রাসাদ বলাই ভাল। সেই বাড়ির গঠনরীতিতে চোখ আটকেছিল। […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ
যথা ইচ্ছা তথা যা ঘুরতে গিয়ে আমরা তেমন জীবজন্তুর সাক্ষাৎ পাইনি। এক জঙ্গলে উড়ন্ত দুধরাজ তার বাহার দেখিয়ে অদৃশ্য হয়েছেন। দল বেঁধে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কুনকি হাতিদের চান করা দেখেছি। একটা শিয়ালের ছুটে যাওয়া। আর একবার প্রকৃতিতে ময়ূরের নাচ। এ ছাড়া এদিক সেদিক নাম না জানা পাখিদের হঠাৎ দর্শন। জঙ্গলে-পাহাড়ে ঘুরি আমরা। কিন্তু প্রাণীরা আমাদের মোটেও […]
ধূসর সিমলা, অচেনা কুফরি
দীপশেখর দাস কোনও এক জায়গায় যেতে ইচ্ছা হল। বন্ধুরা মিলে জটলা করে অনেক প্ল্যানও হল। কিন্তু শেষমেশ যাওয়া হয়ে উঠল না। এমন তো হয়ই। অন্তত আমার ক্ষেত্রে এটা তো ‘রিপিট টেলিকাস্ট’। নিজেই যে কতবার এরকম প্ল্যান ভেস্তে দিয়েছি! আবার, কোথাও কিছু নেই হঠাৎ করে সুযোগ হল আর ছুটে বেড়িয়ে যাওয়া হল। এমনটাও হয়। এখনও পর্যন্ত […]
ইস্টিশন ইস্টিশন— তৃতীয় পর্ব
দীপক দাস মুন্সিরহাট— আদায় করা স্টেশন প্রাকৃতিক দৃশ্যে সুন্দর মুন্সিরহাট স্টেশনটি। প্ল্যাটফর্মে ওঠার সিঁড়ির উপরে ছাউনি। সিঁড়ির দু’পাশে গাছ আছে বেশ কিছু। স্টেশনে উঠলে এক বিশাল এলাকায় জুড়ে সবুজের সমারোহ। একটু দূরে গাছপালা ঘেরা একটা আশ্রমও রয়েছে। স্টেশনটির সঙ্গে খুব বেশি পরিচয় নেই। কারণ স্টেশনের উপর দিয়ে গিয়েছি বহুবার। কিন্তু নেমেছি মাত্র একবারই। তা-ও রাতে। […]
কমিকস-কার্টুনের খাওয়াদাওয়া
দীপক দাস প্লেট থেকে স্প্যাগেটি লাফিয়ে উঠে ভিলেনের গলা পেঁচিয়ে ধরল। দম বন্ধ হয়ে আসছে ভিলেনের। দু’হাতে টেনে ধরেও প্যাঁচ আলগা করতে পারছে। খাদ্য-খাদক সম্পর্কের এমন উল্টোপথে যাত্রা এর আগে ‘মজার দেশ’এ দেখেছিলাম শুধু। সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কিশলয়’ বইয়ে যোগীন্দ্রনাথ সরকারের ছড়া। যে মজার দেশে জিলিপি তেড়ে এসে কামড় দিতে চায়। কচুরি আর রসগোল্লা নাকি […]