দীপক দাস ‘‘কাঁচা বাদাম সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমার নেই।’’ কথাটা শুনে ধাক্কা লাগল। ইন্দ্র বললে মানা যেত। ছেলে খাই-খাই করে বটে। কিন্তু সহ্যশক্তি কম। প্রমাণ পেয়েছি ভাল মতোই। কিন্তু এখন বলছে কে! আমাদের ছোটা ডন। মানে বাবলা। ও তখনও মাঝে মাঝে মাঠে যেত। ক্লাবের হয়ে ফুটবলও খেলত। বয়সও কম। বাদামের চাটনি হজম করতে পারবে […]
খাদ্য সফর
উত্তরের লালমোহন, দক্ষিণের লালমোহন
দীপক দাস লালমোহনের বাড়ি কোথায়? ‘ফেলুদার বইয়ে’, এমন উত্তর আসা অস্বাভাবিক নয়। বই-সিনেমা এবং সন্তোষ দত্তের মিলিত প্রভাব আর কী! ফেলুদার গল্পের লেখক ছাড়াও আরেক লালমোহন জনপ্রিয়। মিষ্টিপ্রিয় বহুজনই এ উত্তর দিতে পারবেন। বাড়ি তার জলপাইগুড়ি। আরও স্পষ্ট করে বললে, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি। জায়গাটা শিলিগুড়ির কাছে। দেশভাগের ফলে বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছিলেন মণীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনিই ফুলবাড়িতে […]
মিষ্টির নাম সাধুবাবা
ফারুক আবদুল্লাহ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকার জনপ্রিয় মিষ্টির খোঁজ করছিলাম ২০২২ সালে। মিষ্টি-খোঁজের কথা শুনে বিপ্লবদা জানান, জিয়াগঞ্জে সাধুবাবা নামে এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়। জিয়াগঞ্জ কলেজের অধ্যাপক তিনি। মিষ্টির এমন নাম শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু তখন মিষ্টি সম্পর্কে দাদা তেমন তথ্য দিতে পারেননি। পরের বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে অঞ্জনদার সঙ্গে কথা হয়। […]
শীতের সিক্ত সন্ধ্যায় পাহাড়ি মোমোর খোঁজে
ফারুক আব্দুল্লাহ ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ সালের বিকেল। মুর্শিদাবাদে সবে একটু শীত পড়তে শুরু করেছে। এর মাঝেই নিম্নচাপ মিগজাউমের প্রভাবে আকাশ মুখভার করে আছে। মাঝে মাঝেই দু’এক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরছে। সব মিলিয়ে শীতের সূচনা লগ্নে মনোরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। সেদিন সারাদিনের ক্লাস নেওয়ার পর বেশ কয়েকজন টিচার্স রুমে আড্ডা জমিয়েছিলাম। পাহাড় থেকে আসা নতুন শিক্ষিকা বসুন্ধরার […]
হালুয়া নয়, কাঁচা ছানার মোহনভোগ
দীপক দাস পথে নেমেছিলাম মিষ্টি-চাকির চক্করে। চাকি চক্রে মিলল মধুর গোল্লা। মোহনভোগ নাম তার। আচমকাই সন্ধান। আমার অনুপ্রেরণা ‘যেখানে দেখিবে ছাই’। মিষ্টির দোকানের শোকেস দেখি তাই। তাতে অমূল্য রতনের মতো মাঝে মাঝে মিষ্টি-মোহন মেলে। আরেকবার প্রমাণ পেলাম। ‘রামকৃষ্ণচাকী’র সন্ধানে বেরিয়েছিলাম। নামটা মেলে হরিপদ ভৌমিক মহাশয়ের লেখা থেকে। এক ধরনের সন্দেশ। প্রাপ্তিস্থান বাগবাজারে রাজা রাজবল্লভ স্ট্রিটের […]
মাতৃভোগের স্বাদ সন্ধানে
দীপক দাস রাজধানীর সঙ্গে যোগ থাকা দরকার। সে দেশের হোক বা রাজ্যের। অনেক ক্ষেত্রেই না হলে হালে পানি মেলে না। রাজধানীতে পড়তে গেলে গৌরবের। চাকরি করলে সম্মানের। ব্যবসা থাকলে সমৃদ্ধির। জেলার প্রতিভারাই কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজধানীর গৌরব বাড়ান। এ যেমন সামাজিক ক্ষেত্রে সত্য তেমনই মিষ্টির জগতেও। ‘মিষ্টিমহলের আনাচেকানাচে’ বছর কয়েক ধরে ঘোরার পরে এমন […]
খুদে শিঙাড়া মিনি মিষ্টি
দীপক দাস হইহই শিঙাড়া। এমনই নাম ছিল। মাথায় চ্যাঙাড়ি করে বিক্রি করতে নিয়ে যেতেন একজন। ছোটবেলার স্মৃতি। তখন প্রথম শ্রেণি বা দ্বিতীয় শ্রেণি। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি গয়লাপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন শিঙাড়াওয়ালা। সকালে ৭টা সাড়ে ৭টার সময়ে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময়ে দেখা হত। হন্তদন্ত হয়ে চ্যাঙাড়ি মাথায় করে চলেছেন। পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করতেন। আবার স্কুল যাওয়ার সময়ে […]
গোপালগোল্লা কোথায় মেলে?
দীপক দাস একটা মাত্র বাক্যের ভরসায় নেমে পড়লাম স্টেশনে। স্টেশনের নামটা বলতে ভিক্টোরীয় শ্লীলতাবোধ বুদবুদ কাটে মনে। বা মধ্যচিত্ততার দ্বিধা। তবে নামফলকে স্টেশনের নামটা দেখে সঙ্কোচ কিছুটা যেন বাগে আসে। নামের বানানটা, ভাতাড়। কিন্তু হিন্দিতে আবার ‘র’ দিয়ে। ইংরেজি বানানের বাংলা করলেও ‘র’-ই হবে। ‘ড়’, ‘র’এর দ্বন্দ্বে আমার সঙ্কোচের বিহ্বলতা একেবারেই কেটে গেল। জেগে উঠল […]
মোটা মিহিদানা আর বোকা ময়রার রসভান্ডার
দীপক দাস দোকানের নামটা চোখ টানে। আসলে নাম ঠিকানা-সহ পুরো লেখাটাই। দাস মহাশয় মিষ্টান্ন ভান্ডার। প্রো: দেবীপ্রসাদ (বোকা ময়রা) দাস। নামের মধ্যে পরিচিতির আভাস। কোনও একটা কিছুর প্রভাব সম্ভবত। আর দ্বিতীয় অংশটায় মালিকের নামের তুলনায় ডাকনামের প্রভাব বেশি সেটা বোঝা যায়। ডাকনামটাই সম্ভবত ব্র্যান্ড। আর এই ব্র্যান্ড নাম দোকানের নামের থেকেই বেশি পরিচিত। আমরাও কিন্তু […]
নবাবি আম-দরবারের খানদানিরা
ফারুক আব্দুল্লাহ বাংলার নবাবেরা ছিলেন আমের বড় পৃষ্টপোষক। তাঁদের হাত ধরেই এক সময় রাজধানী মুর্শিদাবাদ আমের জন্যও বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল। নবাবেরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান স্বাদের আম গাছ নিয়ে এসে বাগান তৈরি করেছিলেন। তবে নবাবি আমল শুরু হওয়ার বহু আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের আম জনপ্রিয় ছিল। তখন মুর্শিদাবাদের আম বলতে চুনাখালির আমকেই বোঝাত। সুজাউদ্দিন খান […]