সৌমিত্র সেন বাঁকাভুরু এবং নৈশযাত্রা শুনছেন! এখন যেটা পড়ছেন (মানে, এই ‘যথা ইচ্ছা, তথা যা’র ছাতায়) সেটা মোটেই কোনও ভ্রমণকাহিনি নয়, এটি একটি নিপাট গোয়েন্দাকাহিনি! অন্তত, আমার নিজের তেমনই মনে হয়েছে (আপনার যা খুশি মনে হতে পারে।)। এবং এটুকু জেনে রাখুন, এই গোয়েন্দাকাহিনিতে তদন্তে নামা হবে কি, হবে না, তার সবটাই ঠিক হয়েছিল আধ ঘণ্টায়! […]
ইতিহাস ছুঁয়ে
রাধানগরের মহানাগরিক
সৌগত পাল বাইকে আমাদের প্রথম ভ্রমণ রাধানগর। আমাদের মানে ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপের। কেন যে রাধানগর বাছা হয়েছিল, এখন আর মনে নেই। রামমোহন রায়ের প্রতি ভক্তির কারণে? নাকি নতুন জায়গা দেখার আকাঙ্ক্ষায়? এখন ভুলে গিয়েছি। তবে বেরিয়ে পড়েছিলুম এক মঙ্গলবার। আমরা ছ’জন। তিন বাইকে। গ্রাম-শহরের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তা নিয়ে নতুন করে বলারও কিছু […]
কলকাতার রাজমহলে, গোরস্থানেও
দীপশেখর দাস কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ১০-১২ জনের একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। সেই এক্সকারসনের পর থেকেই। সবকটারই পায়ের তলায় সরষে। অবশ্য আমাদের তিনজনের, আমার-সুদীপ্তা আর শুভরই, বেশি। আমরা ছিলাম ছকবাজ। মানে প্ল্যানমাস্টার আরকী! আর বাকিরা শাগরেদ। আসলে দলের মধ্যে আমরা হাতেগোনা কয়েকজনই মেসে থাকতাম। বাকিরা কল্যাণী বা তার আশপাশের বাসিন্দা। তাই মেসের একঘেয়েমি কাটাতে বেড়িয়ে পড়তাম […]
হাওড়ার কলকাতা
দীপক দাস ছোটবেলায় শুনেছিলুম গ্রামের নামটা। বহুদিন আগে একবার কাজের সূত্রে গ্রামের উপর দিয়ে গিয়েছিলুম। এই সেদিন, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর ২৯ তারিখে, ‘যথা ইচ্ছা তথা যা’ গ্রুপের উদ্যানভোজনে গিয়ে চাক্ষুস করলুম। গ্রামের নাম ছোট কলকাতা। হাওড়া জেলার পশ্চিমদিকে দামোদর নদের তীরে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ জনপদ রসপুর। সেই জনপদেরই একটি গ্রাম ছোট কলকাতা। আগে বলা হতো […]
পাণ্ডুয়ার মণিমালা
দীপক দাস ভারতচন্দ্রের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় মাধ্যমিকে পড়ার সময়। সেই অমর পঙক্তি, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ দিয়ে। ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’। ‘অন্নদামঙ্গল’-এর কাব্যাংশ। পরে উচ্চমাধ্যমিকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আবার দেখা। গোটা পনেরো নম্বরের সেই ইতিহাস শিক্ষা। সে বছরের উচ্চমাধ্যমিকে রায়গুণাকরের দাম বেশি ছিল না। ‘টীকা লিখ’র সাজেশনে স্থান পেয়েছিলেন। ফলে বেশি পড়া […]
বীরচন্দ্রপুরের পথে
অ্যাঞ্জেলিকা ভট্টাচার্য বসন্তের শেষে বীরভূমের প্রাকৄতিক দৃশ্য বিশেষ লোভনীয়। লাল মাটি আর পলাশের মেলবন্ধন। সাঁইথিয়ার নন্দকেশ্বরী মায়ের মন্দির সতীর একান্ন পীঠের উনপঞ্চাশতম পীঠ। এখানে সতীর কণ্ঠহার পড়েছিল। সকালেই এখানে পুজো দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বীরচন্দ্রপুরের উদ্দেশ্যে। পথে কোটাসুরে খেলাম ডালপুরি আর ছোলার ডাল। ময়ূরাক্ষীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে দেখলাম নদী শুকিয়ে মাঠ হয়েগেছে।পলি পরে নদীর বুক […]
ছান্দারে ছন্নছাড়ারা
দীপক দাস পোকাটা নড়ে উঠেছিল বাসের গায়ে লেখা দেখে। দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দুপুর। এক পেট খেয়ে ঘর খোঁজার তালে ছিলাম আমরা। দেখি, একটা বাসে লেখা, বেলিয়াতোড়। সপ্তমীর সকাল থেকে বাঁকুড়ার অনেকটা অংশ চষে ফেলেছি। ছাতনা, কবি চণ্ডীদাসের বাসুলী মন্দির, শুশুনিয়া পাহাড়, যমধারার জঙ্গল, বিহারীনাথ, মুকুটমণিপুর হয়ে বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ডে। এবার হোটেল খুঁজে মালপত্র রেখে বিশ্রাম। রাতে বাসস্ট্যান্ডের […]
ছুঁয়ে এলাম ইতিহাস
দীপশেখর দাস ছুটি হল গত ৩১ ডিসেম্বর। বরাবরের জন্য। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবন শেষ হল ওই দিন। এবার অখণ্ড অবসর। মায়ের ছুটির আবেদনেও অফিসের ইতিবাচক সাড়া পেতেই প্ল্যানটা করে ফেললাম। আমরা চারজন। বাবা-মা-আমি আর সহোদরা। সঙ্গে সেজজেঠু আর ছোটদার বড় ছেলে। জঙ্গল ঘোরার নেশাটা আমার চিরকালের। রাজগীর নাকি পাহাড় আর জঙ্গলের মিশেল। ফলে, রোখ সাকে […]