দীপক দাস ‘কলকাতা থেকে মধুপুরের দূরত্ব…’। ছোটবেলার সেই আতঙ্কের অঙ্ক। ‘অঙ্কে তেরো’ বহু বুরুন বইয়ের সেই ট্রেনকে আঁক কষে মধুপুরে পাঠাতে পারত না। আঁকের গোলমালে ট্রেনের যাত্রীদের যে কী অবস্থা হত! আমাদের কোনও গোলমাল হয়নি। ট্রেন মধুপুরের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু যত সময় যাচ্ছিল আমরাই যেন ট্রেনের কবল থেকে নিজেদের বাঁচাতে চাইছিলাম। শেষপর্যন্ত তো নেমেই পড়েছিলাম […]
অন্য সফর
কুমোরপাড়ার গল্পস্বল্প— কালো পুতুলের পাড়া
দীপক দাস উপড়ুনি মাটির কথা শুনিনি কখনও। এ মাটি আবার বিক্রি হয়। ৮০ টাকা কিলো। সামসের আলি বিক্রি করছিলেন। ঘাটালের চন্দ্রকোনা থেকে এসেছিলেন মাটি বিক্রি করতে। উপড়ুনি মাটি লাগে কুমোরপাড়ায়। মাটির জিনিসপত্র রোদে শুকিয়ে পুড়িয়ে নেওয়ার আগে এলামাটির প্রলেপ লাগিয়ে নিতে হয়। তার উপরে পড়ে উপড়ুনি মাটির প্রলেপ। তবেই ভাল মতো পুড়ে মাটির জিনিসপত্র লাল […]
কুমোরপাড়ার গল্পস্বল্প— কালো কলসির পাড়া
দীপক দাস খুব সম্ভবত লালুপ্রসাদ যাদব তখন রেলমন্ত্রী। তাঁর রেলমন্ত্রক একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। রেলের প্রতিটি স্টেশনে চায়ের দোকানগুলোয় মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রি করতে হবে। এটা ২০০৪ সালের ঘটনা। লালুপ্রসাদ সফল হননি। প্লাস্টিকের কাপেই চা দেওয়া চলত রেলের জায়গার চায়ের স্টলে। স্টেশনে স্টেশনে ‘চা গ্রম’ হেঁকে বেড়ানো চাওয়ালারাও প্লাস্টিকের কাপই ব্যবহার করতেন। লালুপ্রসাদের পরে আবার চেষ্টা […]
কুমোরপাড়ার গল্পস্বল্প— রানিপুতুলের কাহিনি
দীপক দাস পাড়ায় ঢোকার মুখে চোখে পড়ে পণটা। গোলাকার উনুনের মতো। কিন্তু বিশাল। কুমোরপাড়া বোঝা যায় যে কয়েকটা চিহ্ন দিয়ে পণ তার অন্যতম। এতেই কুম্ভকারদের তৈরি মাটির জিনিসপত্র পোড়ানো হয়। পাড়ায় ঢুকতেই পণ দেখতে পেয়ে ভালই লাগল। তার মানে মাটির কাজ হয় এখনও। হাওড়া জেলার কুমোরপাড়াগুলো ঘোরার ইচ্ছে হয়েছিল একবার। সেই সূত্রেই জগৎবল্লভপুর ব্লকের নরেন্দ্রপুরে […]
ইতিউতি হাওড়ার জীবজগৎ— দশম পর্ব
যথা ইচ্ছা তথা যা নানা পাখি দেখা গিয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন গ্রামের এদিক সেদিকে। ছবি তোলা হয়েছে টুকটাক। কিন্তু সেসব সাজানো হয়নি। এই সময়ে প্রকৃতি আর মিষ্টি মগ্ন হয়ে পড়েছিলাম আমরা, যথা ইচ্ছা তথা যা’ পরিবারের সদস্যরা। জীবজগতের দিকে তাকানো হয়নি তেমন। আজ আবার হাজির আমরা প্রকৃতির সুন্দর কিছু উপহার নিয়ে। ১। ছোট বসন্তবৌরি দুপুরে হঠাৎ […]
চায়ের দোকানের আত্মীয়স্বজনেরা
কৌশিক কোনার সবে মাত্র মা দুর্গার আরাধনা শেষ হয়েছে। ঢাকের শব্দ এখনও কানের মধ্যে বাজছে। ঠান্ডা এখনও সে ভাবে পড়েনি। তবে হালকা শীতের আমেজ রয়েছে। এমনই এক সন্ধ্যায় প্রকৃতি খামখেয়ালিপনা শুরু করল। সন্ধ্যায় বেশ ভালই বৃষ্টি হল। ঘণ্টাখানেক ধরে বৃষ্টি ঝরেই চলেছে। কখনও একটু কম বা কখনও বেশি। আমি যথানিয়মে দোকান খুলে বসে আছি। বৃষ্টির […]
ধাপধাড়া গোবিন্দপুরের খোঁজ?
দীপক দাস ধ্যাদধেড়ে বা ধাপধাড়া। সঙ্গে গোবিন্দপুর। এমন মানিকজোড় গ্রামটি কোথায়? একটু দূরে বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, নেমন্তন্ন বাড়ি হলেই যে মানিকজোড় গাঁওয়ের নাম লোকে স্মরণ করে! হাসির গল্পে মজার দৃশ্যের অবতারণা হয়? জানা নেই। কথার কথাই ভাবতাম। ভুল ভাঙল এক সফরে বেরিয়ে। দীপ্তেন্দুবিকাশ জানা আমাদের নিয়ে যাচ্ছিল শুঁড়ে কালনা। বিখ্যাত অম্বিকা কালনার সঙ্গে এ কালনাকে মেশালে […]
স্টেশন পেরিয়ে পাহাড়তলির বাঁকে
সৌগত পাল রোজের চলার পথে স্টেশন পার হতে হয় কত। ট্রেন থামলে স্টেশনের নাম নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে মনে হয়েছিল, কত অদ্ভুত অদ্ভুত স্টেশনের নাম আছে রেল মানচিত্রে। আমার চলার পথে কিছু নমুনা পেয়েছিলাম। যেমন ধমধমিয়া বা তালঝাড়ি। এরকম সারা ভারতের রেল মানচিত্রে কত অজানা স্টেশন ছড়িয়ে আছে। নদীর নামে স্টেশন যেমন আছে তেমনই পুকুর, […]
হেমন্ত, শক্তি, শ্যামসুন্দরের বহড়ু
শুভ বৈদ্য কিংবদন্তী শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, প্রবাদপ্রতিম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বিখ্যাত চিকিৎসক নীলরতন সরকার। একই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। কোনও স্কুল থেকে একজন মাত্র বিখ্যাত ছাত্র বেরোলে কত আনন্দ হয়। আর একটা স্কুল থেকে তিন তিনজন প্রবাদপ্রতিম ছাত্র! বহড়ু উচ্চ বিদ্যালয়কে রত্নখনি ছাড়া আর কী বলা যাবে? বহড়ুতে আমরা কিন্তু গিয়েছিলাম পুরোপুরি অন্য কারণে। জয়নগরের বিখ্যাত […]
ছাপা গাছের গ্রাম পেরিয়ে শুশুক দর্শন
দীপশেখর দাস বিলেতে নাকি লোকে সপ্তাহ শেষের একদিনের ছুটিতে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। আমেরিকাতেও এরকম চল আছে। আমেরিকা বা বিলেত ভারী সুন্দর জায়গা। তাদের সমুদ্র পার ভাল, ঝরনা ভাল, পার্ক ভাল। এমনকি গ্রামগুলোও সব ছবির মতো। গ্রাম বললে আমার চলবে না। বলতে হবে কান্ট্রিসাইড। এ দেশ থেকে লোকে কান্ট্রিসাইডে ঘুরতে গিয়ে চোখ কপালে তুলে ফেলে। কী […]