বোধহয় কেকার দয়া হল। কিছুটা এগিয়ে এসে ঝোপের মধ্যে থেকে পেখম তুলল। তারপর কাঁপাতে কাঁপাতে মেলে ধরল নিজেকে। সংস্কৃতে যাকে বলে কলাপ বিস্তার। আহা কী বাহার! জন্মান্তরের কথা জানি নে। এ জন্মে তো ভুলব না। ময়ূর-সফরের পুরোটা
অন্য সফর
রামপুরহাট থেকে দুমকা ট্রেন সফর— ভিডিও পর্ব (২)
অনেক কাশ, স্বপ্নের আকাশ আর ট্রেনের জানলায় জীবন তুলো নয়। ওগুলো সব কাশফুলের টুকরো। ট্রেনের প্রবল গতিতে গুচ্ছ কাশফুল আলগা হচ্ছে। আর হু হু করে ঢুকছে ট্রেনের কামরায়। জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি, রেললাইনের পাশে কাশের বনে তখন প্রবল আলোড়ন। ট্রেন আরেকটু এগোতেই একটা ক্ষীণ জলধারা চোখে পড়ল।…ট্রেন আরেকটু এগোলে দূরে ঝোপের আড়াল থেকে ধারাটির […]
রামপুরহাট থেকে দুমকা ট্রেন সফর— ভিডিও পর্ব (১)
অনেক কাশ, স্বপ্নের আকাশ আর ট্রেনের জানলায় জীবন পুরো সফরের সঙ্গী হতে নীচের লিঙ্ক ক্লিক করুন— প্রথম পর্ব- দ্বিতীয় পর্ব- তৃতীয় পর্ব- Rampurhat to dumka train travel
অনেক কাশ, স্বপ্নের আকাশ আর ট্রেনের জানলায় জীবন— শেষ পর্ব
দীপক দাস দুমকা স্টেশনে পা দিয়ে বুঝতে পারলুম গরম কাকে বলে। এতক্ষণ প্রকৃতিতে মজে ছিলুম। তার সঙ্গে ট্রেনের ঘেরাটোপ। সূর্যদেবের আসল রূপটা টের পাইনি। পেলেও বা। কবেই বা ওই প্রাচীন অগ্নিবলয় আমাদের আটকাতে পেরেছে? গত বছর পুজোর সময়ে এরকমই গরম ছিল। ঘামতে ঘামতে ক্লান্ত হয়ে ট্রেনে ঘুমতে ঘুমতে ভূতুড়ে স্টেশনে গেছি তিন শঙ্কর মিলে। গরম […]
অনেক কাশ, স্বপ্নের আকাশ আর ট্রেনের জানলায় জীবন— দ্বিতীয় পর্ব
দীপক দাস বাহামণিকে নিয়ে মজে ছিলুম। খেয়ালই করিনি কচি আর ইন্দ্র আমাদের সঙ্গে নেই! কচিকে নিয়ে আমার একটু টেনশন ছিল। বেচারা শহুরে মানুষ। বন্ধুদের সঙ্গে প্রতি বছর রাতভর কলকাতা ঘুরে ঠাকুর দেখে। এ বছর নবমীতে তাদের পুজোসফর পর্ব ন’বছরে পড়বে। আর আমি কিনা ওকে বনেবাদাড়ে ট্রেনে চড়াতে নিয়ে এসেছি! ওর ভাল না লাগলে সফর ম্যানেজার […]
অনেক কাশ, স্বপ্নের আকাশ আর ট্রেনের জানলায় জীবন
দীপক দাস হু হু করে ঢুকছে তুলো! দেখতে দেখতে টুকরো টুকরো তুলোয় কামরা ভরে গেল। হঠাৎই! উড়ছে। ঘুরছে। মাথায়, গায়ে, গালে, পোশাকে, টুপিতে লেপ্টে যাচ্ছে। তুলো নয়। ওগুলো সব কাশফুলের টুকরো। ট্রেনের প্রবল গতিতে গুচ্ছ কাশফুল আলগা হচ্ছে। আর হু হু করে ঢুকছে ট্রেনের কামরায়। জানলা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি, রেললাইনের পাশে কাশের বনে তখন […]
আমার পোড়া শহরে তুমি…জাগো দুর্গা
জুয়েল সরকার এক তাল মাটি, শুকনো খড়, আর বাঁশের কাঠামো লাগে… আরও লাগে, অনেকটা অধ্যবসায় আর অনুকূল আবহাওয়া…এরপর তুলির টান। শেষে ‘চক্ষুদান’। তবেই তো প্রাণ পাবে মূর্তি। কিছু অস্ত্রশস্ত্র গুঁজে দিতে হবে হাতের ফাঁকে। ব্যাস,তৈরি। ঠিক এই ভাবেই আমাদের ভ্রমণ কাহিনীর বিগ্রহটি খাড়া করেছি। শুভ আর অরিজিতের সঙ্গে ফ্যা ফ্যা করে ঘুরে বেড়ানো নবমীর […]
দামোদরের গ্রাসে
যথা ইচ্ছা তথা যা সত্যিটা স্বীকার করে নেওয়াই ভাল। বেরিয়েছিলাম ভরা দামোদরের ছবি তুলতে। আর অবশ্যই ওই এলাকার বিখ্যাত টুটুলের চিকেন পকোড়া খেতে। ওই এলাকায় অনেকবার গিয়েছে। শীতে-গ্রীষ্মে। মরা দামোদরের ছবি ছিল আমাদের কাছে। ভরা দামোদরকে ধরতে পারিনি। এক মঙ্গলবার বেরিয়ে পড়েছিলাম তিনজনে। দীপক, ইন্দ্র আর দীপশেখর। যেতে যেতেই গন্তব্য পাল্টানো হল। দামোদরের ছবি তুলে […]
একটি ভূতুড়ে স্টেশন আর তিন শঙ্করের কাহিনি
দীপক দাস বাঙালি ছেলেদেরও মুখ ফোটে না। বুকটা খর নিদাঘে নির্জলা জমির মতো ফুটিফাটা হলেও। এতদিন জানতাম, বুক আর মুখের এই বৈপরীত্যে মেয়েদেরই একচেটিয়া। কিন্তু এবারের অভিযানে বোধ হল, সেটির লিঙ্গান্তর ঘটেছে। এবার পুজোয় বেগুনকোদর অভিযান করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। পুরুলিয়ার এক ‘কুখ্যাত’ স্টেশন। সেখানে নাকি ভূত দেখা যায়। ভূত নয়, পেত্নী। সাদা শাড়ি […]
কেকার কথা শোনে
দীপক দাস কানে নয়। চোখে এসেছিল কথাটা। সে অনেক বছর আগের কথা। এক খবরের কাগজে বাচ্চাদের পাতায় বেরিয়েছিল লেখাটা। আমাদের কাছেপিঠে কোথায় যেন ময়ূর পাওয়া যায়। চিড়িয়াখানার ঘেরাটোপের বাসিন্দা নয় তারা। একেবারে ‘সোনার কেল্লা’র রাজস্থানের মতো। রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই লেখার শিরোনামটিও ছিল জবরদস্ত— ‘দেখ তো, চালে ময়ূর বসল কি না’। কী কাণ্ড! সেখানে তিনটি […]