দীপক দাস বড়গাছিয়া— কদমতলের স্টেশনটি শিকড়ে যাও। শিকড়ে। বছর কয়েক আগের গানের ভাষায় বললে, ‘গভীরে যাও, আরও গভীরে যাও…’। নবম শ্রেণি থেকে বোধহয় গভীর সন্ধানী হয়ে পড়েছিল মনটা। নাকি অষ্টম শ্রেণিতে? সেই যে বাংলায় নামকরণের সার্থকতা কোশ্চেন! জায়গার নাম পেলেই তার সার্থকতা খোঁজার চেষ্টা করি। যেমন জানলাম মেদিনীপুরের লোধাশুলি। শুলি কোল ভাষার শব্দ। যার মানে […]
অন্য সফর
হাটুরে গল্পের খোঁজে সুপারিগোলার হাটে
ফারুক আব্দুল্লাহ ছোটবেলায় গ্রামের বাড়ি গেলে প্রায়ই বায়না ধরতাম দাদুর সঙ্গে হাটে যাব। পাশের গ্রাম শঙ্করপুরে বিকেলে হাট বসত। দাদুও রাজি যেতেন এক কথাতেই। দাদুর হাত ধরে ছোটবেলার সেই হাটে কাটানো সময়গুলো আজও মনে আছে। হাটের গুঞ্জন এখনও কানে ভাসে। খোলা মাঠে বসা ঝুরি, জিলিপি, ঝালবড়ার দোকান থেকে হাওয়ায় ওড়া সুগন্ধ এখনও টের পাই। হাটের […]
পিছু নিয়েছিলেন বিভূতিভূষণ
রবিশঙ্কর দত্ত দু’একটা চ্যাপ্টা, বেশিরভাগই গোল। ময়দার তৈরি কাঠি। চিনির রসে ডুবিয়ে তোলা। এই তো কটকটি। সেই কটকটি। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে খবরের কাগজের সেই ঠোঙা ভরা কটকটি মুহূর্তে শেষ। একটু আগে গুড়েরটা নিয়ে ঘুরে, হেঁকে গেলেন আরেকজন। সে কাঠির রং আলাদা। লাল বললে বোঝা যাবে না। গেরুয়া মতো। তাতে মিষ্টিটা একটু বেশিই। দশ টাকা শ। […]
জার্সির জোরে তিন জেলায়
যথা ইচ্ছা তথা যা জার্সির একটা আলাদা কেতা আছে। সে তো মাঝে মাঝেই টের পাওয়া যায়। সেই কেতার কারণেই গ্রুপেরও একটা জার্সির দরকার বলে আলোচনা চলছিল কয়েক মাস ধরে। নানা কার্যকারণে তা হয়ে উঠছিল না। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত হল অনেকদিনের চেষ্টায়। গ্রুপের বড় বড় কাজগুলো উদযাপনের জন্য আমরা সফরে বেরোই। যেমন ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর […]
ঋতু বদলে রূপ বদলায় কাঁসাই হল্ট
নন্দিতা দাস ট্রেন থামে। লোকজন ওঠা-নামাও করে। কিন্তু না আছে প্ল্যাটফর্ম, না আর কোনও কিছু, যা দিয়ে স্টেশন বলে চেনা যায়। আনকোরা লোক ভাবতে বাধ্য, ‘গাড়ি বোধহয় সিগন্যালে আটকাল’। কৌতূহলী হয়ে ট্রেনের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে চোখে পড়ে, ফাঁকা ঢেউ খেলানো জমি, একটা তালাবন্ধ টিনের গুমটি (গার্ডবাবুর ভাষায় গ্যাং হাট), পরিত্যক্ত কেবিন অফিস আর একটেরে […]
পিকনিক টিকনিক
যথা ইচ্ছা তথা যা জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। তার ওপর বছরটাও শেষ হয়ে গেল। এখনই তো ফিস্টি-টিস্টি, পিকনিক-টিকনিকের আদর্শ সময়। দু’একদিনের জন্য বেরিয়েও পড়া যেতে পারে। ঘোরাঘুরির কত জায়গা রয়েছে। চলে যান বিষ্ণুপুর। ইতিহাস দর্শন হবে। মাঝপথে দল বেঁধে কোথাও খেয়ে নিলে ফিস্টের মজাই মিলবে। ব্যান্ডেলে অনেক পিকনিকের জায়গা। আমাদের ভাল লেগেছিল রাজহাট। কুন্তি নদীর তীরে […]
ইস্টিশন ইস্টিশন
দীপক দাস ডোমজুড়— রাজপাট হারানো এক স্টেশন ‘কাল ছিল ডাল খালি আজ ফুলে যায় ভরে’। রবি কবির আশাবাদী ছড়া। কিন্তু স্টেশনের ইতিহাসে ছড়াটা পুরো উল্টো। ‘কাল ছিল যাত্রী ভরা, আজ সবাই যায় চলে’। দক্ষিণ-পূ্র্ব রেলের হাওড়া-আমতা রুটের স্টেশন ডোমজুড়। কী ভাবে একটা স্টেশন গুরুত্ব হারিয়ে প্রায় পরিত্যক্ত, নির্জন হয়ে যায়, তার বড় উদাহরণ। রেল রুটের […]
কেঁদতল-কুসুমতল-ঝিলিমিলি— শেষ পর্ব
দীপক দাস আমরা যে বাসে ঝিলিমিলি চলেছি তার নাম ‘নীলকণ্ঠ’। বাস ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় কন্ডাক্টর রোহিণীদার আর তেমন কাজ ছিল না। মাঝে এক রসিক ছোকরার লোক হাসানোর চেষ্টার ঠেলায় অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। রসিক মানে রসবোধওলা নয়। পানরসিক। পুজোর সময়ে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি। সেই খুশিতেই চড়িয়েছে দু’পাত্তর। বা দুই পলিথিন। কী টেনেছে সেটা তো আর জিজ্ঞাসা করা […]
কেঁদতল-কুসুমতল-ঝিলিমিলি
দীপক দাস অটো থেকে নেমে ঝিলিমিলি যাওয়ার বাস পেয়ে গেলাম। শুনতে চামচ থেকে সসপ্যানে মাখনের টুকরো পড়ে হড়কানোর মতো মসৃণ মনে হল তো? কিন্তু এবারের সফর মোটেও সহজ ছিল না। পদে পদে বাধা। বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধার অভিসারের যাওয়ার পথের থেকেও সঙ্কটময়। একেবারেই চলইতে শঙ্কিল পঙ্কিল বাট’। এবারের পুজোর সফরে দল ভারী হবে মনে করা হচ্ছিল। […]
অভিমানী নদী গুমানী, স্টেশনও
সৌগত পাল গুমানী কথাটার অর্থ হিন্দিতে অভিমানী। ছোট্ট একটা নদী। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাহেবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। সামনেই নদীর নামে স্টেশনও। সেটাও নদীর মতোই ছোটোখাটো। আগের স্টেশন কোটালপুকুর। আর একটু বড় স্টেশন পাকুড়। গুমানী ছোটখাট হলেও একটা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণটা হল, এটা রেল বর্ডার। মানে পূর্ব রেলের হাওড়া আর মালদহ ডিভিশনের বর্ডার। এই স্টেশন পর্যন্ত হাওড়া ডিভিশনের […]